৬ ঘন্টার ভয়াবহ আগুনে ২’শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই, অক্ষত কোরআন

এবার নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী ইসলামিয়া মার্কেটে গতকাল ইফতারের সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ ৬ ঘন্টা আগুনের তান্ডবে ২’শতাধিক দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হলেও অক্ষত আছে পবিত্র আল-কোরআন। গতকাল রাত সাড়ে বারোটার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।তবে আগুনের ধোঁয়া

এখনোও আছে। আগুনে স্টেশন মার্কেট, হোসেন মার্কেট ও ইসলাম মার্কেটের জুতার দোকান, ফার্মেসী, কাপড়, হার্ডওয়্যার, বই, প্লাস্টিক ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানসহ হকারদের ২০০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।কিন্তু অক্ষত ছিল পবিত্র আল-

কোরআন শরীফ। এ অলৌকিক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোচিত হয়েছে। অনেকে ছবিটিকে ফেসবুক পেজে শেয়ার এবং ছবি তুলে সংরক্ষণ করেছেন। এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানান,আশেপাশে পানির

সুরক্ষা না থাকায় আগুনের ভয়াবহতা আরোও ছড়িয়ে পড়ে।আগুনের ভয়াবহতা যাতে আরও দ্রুত না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য আমরা মাইজদী, চাটখিল, কবিরহাট, সেনবাগ,কোম্পানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটদের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরোও জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে স্থানীয়

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন,জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম,চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্লাহ,জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের এবং সাধারণ মানুষের যে সহযোগীতা করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডে স্টেশন মার্কেট,হোসেন মার্কেট ও ইসলাম মার্কেটের জুতার দোকান, ফার্মেসী, কাপড়, হার্ডওয়্যার, বই, প্লাস্টিক ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানসহ এবং হকারদের দোকানসহ ২০০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।