অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম – বাংলা তৃতীয় অধ্যায় আস-সালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী এই পোস্টে আমরা জানবো ৭ম শ্রেনীর বিষয় বাংলা এর তৃতীয় অধ্যায়, অর্থ বুঝে বাক্য লিখি সম্পর্কে। সুপ্রিয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আজ আমি অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এ অধ্যায়ে আপনি প্রতিটি শব্দের অর্থ বুঝে কিভাবে বাক্য লিখবেন তা শিখতে পারবেন। এভাবে অর্থ বুঝে বাক্য লেখা শিখলে আপনি যেকোন ক্লাশে বিভিন্ন টপিকের উপর বাক্য তৈরি করে রচনা বা প্যারাগ্রাফটা লিখতে পারবেন।
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম জানার জন্য পাঠ থেকে বিশেষ্য খুঁজি
‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে বিশেষ্য পদ খুঁজে বের করে একটি তালিকা তৈরি করো।
নাটকের নাম | বিশেষ্য শব্দ |
‘চিঠি বিলি’ ছড়া থেকে পাওয়া | ছাতা, মাথা, ব্যাঙ, চিঠি, বিলি, দেয়া, খেয়া, মাঝি, চিংড়ি, রোদ, নদী, ব্যাঙা, ভাই, খলসে, বাচ্চা, চোখ, হাল, বিল, ভেটকি, নাতনি, দেশ, কাতলা, বর্ষা, ভরসা। |
‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে পাওয়া | মোড়ল, কবিরাজ, হাসু, রহমত, লোক, বিছানা, নাড়ি, পরীক্ষা, আত্মীয়, চাকর, অসুখ, নিস্তার, ভয়, মন, সুবর্ণপুর, মানুষ, গোরু, ধান, লুট, কান্না, হাসি, ব্যারাম, অশান্তি, ওষুধ, বাড়ি, কোলাহল, প্রাণী, মনোযোগ, শ্রবণ, মনিব, কর্ম, বাঘ, চোখ, হিমালয়, পাহাড়, সমুদ্র, চন্দ্র, নক্ষত্র, সহ্য, হাড়, শরবত, জোর, মুরগি, জবাই, দাম, ভাই, শান্তি, কথা, মাথা, প্রতিজ্ঞা, জবরদস্তি, | লোভ, পাপ, মৃত্যু, অত্যাচার, চিন্তা, সুখ, দুঃখ, টাকা, ব্যামো, রাত্রি, ফতুয়া, সংগ্রহ, জামা, গা, রোগ, বখশিশ, বন, অন্ধকার, রাত, চাঁদ, আলো, কুঁড়েঘর, হাত, ভাই, জিনিস, ধন, ভিখারি, ভিক্ষা, ভূত, ঘর, কাঠ, বাজার, চাল, ডাল, ঘুম, কাবার, চোর, সোনাদানা, জামাজুতা, পাগল, দুনিয়া, রাজা, বাদশা, কষ্ট। |
অনুচ্ছেদ লিখে বিশেষ্য খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে বিশেষ্য শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।
উত্তর: সাদা মেঘে আকাশ ছেয়ে আছে। হঠাৎ টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হলো। করিম ভাঙা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল। তার বেখেয়ালি মন হালকা বৃষ্টি আর মৃদু হাওয়ায় ব্যাকুল হয়ে উঠল। করিম মনে মনে ভাবল বাড়ি ফিরবে কী করে এ বাদলার মধ্য দিয়ে। তার মা আবার দেরি হলে অহেতুক চিন্তা করবে। করিম আবার ভাবলো ছাদে শুকাতে দেওয়া জামা-কাপড় মা কি ঘরে নিয়েছে কি না কে জানে। নয়তো শুকনো কাপড়-চোপড়গুলো আবার বৃষ্টির জলে ভিজবে। করিম ওসব চিন্তা বাদ দিয়ে ভাবলো যা হয় হোক। এ ভাঙা ছাতা নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকার কোনো মানে হয় না। তার ভয়ে বরং কোনো পথিক ছাউনিতে আশ্রয় নেওয়া ঢের বুদ্ধিমানের কাজ।
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ২
আসুন নমুনা-২ থেকে এভান্স লেভেলের অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শিখে নিই। এখানে সর্বনাম বিষয়ে ব্যাখ্যা তুকে ধরব। পারুল ফোন করে জানাল, তার প্রিয় একটা বই হারিয়ে গেছে। সেটি টেবিলের উপরে রাখা ছিল। শাহেদ সেখান থেকে বইটা নিয়েছে বলে তার সন্দেহ হয়। তবে ঠিক কে নিয়েছে, পারুল সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয়। সন্দেহের তালিকায় মিনু আর চিনুর নামও আছে। পারুলের ধারণা, ওরাও বইটা নিতে পারে।
সব শুনে আমি বললাম, কোনো ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে কাউকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। যে নিয়েছে, সে হয়তো পড়ার জন্যই নিয়েছে। কয়েক দিন অপেক্ষা করে দেখো, বইটা পাওয়া যায় কি না। কিছু দিন পরে পারুল নিজেই জানাল, বইটা পাওয়া গেছে। পারুলের বাবা বইটা বুকশেলফে তুলে রেখেছিলেন। তিনি বুঝতেও পারেননি, এক বই নিয়ে এত ঘটনা ঘটে যাবে। আর পারুলও না বুঝে অন্যদের দোষ দিচ্ছিল!
সর্বনাম
বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দকে সর্বনাম বলে। বাক্যের মধ্যে বিশেষ্য যে ভূমিকা পালন করে, সর্বনাম অনুরূপ ভূমিকা পালন করে। যেমন- শিমূল মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করতো। তাই সে পরীক্ষায় ভালো করেছে। দ্বিতীয় বাক্যের ‘সে’ প্রথম বাক্যের ‘শিমূল’-এর পরিবর্তে বসেছে।
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম – বাংলা তৃতীয় অধ্যায়
পাঠ থেকে সর্বনাম খুঁজে অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম
‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে সর্বনাম শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো। উত্তর:
নাটকের নাম | সর্বনাম শব্দ |
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া | সে, তার। |
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়া | তোমার, আমাদের, যে, ওই, এর, তার, আপনি, আমি, তাই, আমার,। আমাকে, তুমি, অন্যের, এটি, এ.। যাকেই, সেই, আমরা, কারও, আমরাও, কে, তোমরা, যা, তোমাকে। |
অনুচ্ছেদ লিখে সর্বনাম খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে সর্বনাম শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।
……………………………………………………………………………….
……………………………………………………………………………….
……………………………………………………………………………….
উত্তর: কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের পরিণাম অত্যন্ত করুণ। মস্তিষ্কের পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে ১৯৪২ সাল থেকেই তিনি ছিলেন জীবিত থেকেও মৃত। দীর্ঘকাল তিনি ছিলেন নির্বাক ও ভাবশূন্য। যুদ্ধপরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করেন।
১৯৭৬ সালে কবির জীবনপ্রদীপ নির্বাপিত হলে তাঁর সমাধি রচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণে।কিছুদিন আগে তাঁর ১২৪তম জন্মবার্ষিকী বেশ জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়েছে। এদিন নজরুল একাডেমি থেকে বিশেষ ক্রোড়পত্র বের হয়েছে। বর্তমান সময়ে এসেও কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গান ও কবিতা আমাদের মনে একইরূপ আলোড়ন সৃষ্টি করে। তাঁর সৃষ্টিকর্মের আবেদন আজও সমানভাবে বিদ্যমান।
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ৩
এখানে নমুনা-৩ এ অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শিখতে বিশেষণ আলোচনা করব। নীল-সাদা স্কুলজামা পরে কয়েকটি মেয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল। মেঠো পথের দুপাশে সবুজ ধানখেত। হঠাৎ সামনের মেয়েটি থমকে দাঁড়াল। বলল, ‘দ্যাখ দ্যাখ, কী সুন্দর একটা পাখি উড়ে যাচ্ছে।’ পাশের মেয়েটি উপরে তাকিয়ে কোনো পাখি দেখতে পেল না। নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে সে শুধু সাদামেঘ ভেসে যেতে দেখল। অন্যরাও সেই পাখিটা খুঁজতে লাগল। কিন্তু ততক্ষণে উড়ন্ত পাখিটা চোখের আড়াল হয়ে গেছে।
ধানখেত পার হতেই একটা বড়ো পুকুর। সেখানকার পানি টলটলে। পুকুরের ধারে একটা বড়ো আমগাছ। সেই আমগাছের দিকে তাকিয়ে একটি মেয়ে বলল, ‘আমার মনে হচ্ছে, এবার অনেক আম ধরবে।’ সবাই তাকিয়ে দেখল, আমগাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। সাদা মুকুলে আমগাছের সবুজ পাতা ঢাকা পড়েছে। গাছের নিচে একজন বয়স্ক লোক পুরানো চেয়ারে বসে ছিলেন। তাঁর বয়স কম-বেশি সত্তর বছর।
তিনি ওদের কথা শুনে বললেন, ‘ও ঠিকই বলেছে। যে বছর ধান ভালো হয়, সে বছর আমের ফলনও ভালো হয়।’ কিছু শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায়। উপরের নমুনা থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা কর।
উত্তরঃ–
নীল, সাদা, মেঠো, সবুজ, সুন্দর, উড়ন্ত, একটা, বড়ো, টলটলে, অনেক, প্রচুর, বয়স্ক, পুরানো, কম-বেশি, সত্তর, ভালো।
আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।
বিশেষণ এর অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়মঃ–
যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের পুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা বোঝায়, তাকে বিশেষণ শব্দ বলে। যেমন- লাল ফুল, ভালো কথা, দশ টাকা, লক্ষ জনতা, টাটকা সবজি। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো বিশেষণ।
পাঠ থেকে বিশেষণ খুঁজে অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়মঃ-
‘চিঠি বিলি’ হুড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে বিশেষণ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো। উত্তরঃ–
নাটকের নাম | বিশেষণ শব্দ |
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া | জবর, সাচ্চা, ঝলসে, সারা, দারুণ, বাদলা। |
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়া | বিশ্বাসী, ভালো, উজাড়, কঠিন, ধনী, আজে- বাজে, রোগী, মূর্খ, মামাতো, নিষ্ঠুর, শান্ত, মিথ্যা, সুখী, হাড়-মড়মড়, সোজা, অসুখী, হাজার, ছোটো, তাজ্জব, বড়ো, পেটুক, চুপ, দুঃখী, সারা, খেয়ে-দেয়ে, একলা, প্রাণখোলা, সত্যি, মস্ত, খুব, মিছে। |
অনুচ্ছেদ লিখে বিশেষণ খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে বিশেষণ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও:
উত্তর: রাঙামাটি ঘুরতে এসে মনটা ভালো হয়ে গেল। চারপাশে লাল মাটি আর কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ জল। এখানে ঘণ্টা চুক্তিতে বিভিন্ন আকারের নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। লেকের মাঝ দিয়ে চলার সময় মাঝখানে দ্বীপের মতো যে স্থানটি গড়ে উঠেছে তা চাকমাদের বাসস্থান। আমি জানি চাকমারা পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অন্তর্গত। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম মেয়েরাই সকল অর্থনৈতিক কার্যাবলির সাথে সম্পৃক্ত।
এখানে চাকমা মেয়েদের হাতে-বোনা কাপড় তারা নিজেরাই পসরা সাজিয়ে বিক্রি করে। এই পাহাড়ে যেসব ফল-ফলাদি ফলে তা খুব সুস্বাদু। আমি চাকমা মেয়েদের হাতে-বোনা একটি হলুদ শাল কিনলাম। মনে হলো ওরা কাপড় বুনতে খুব দক্ষ। এরই মধ্যে শেষ বিকেলের নরম আলো চারদিকে অন্তত সৌন্দর্য বিকিরণ করছিল। আমরা চাকমা পল্লিকে বিদায় জানিয়ে শহরের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম।
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ৪
আপনাদের জন্য নমুনা-৪ এ অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শেখার জন্য ক্রিয়া শব্দগুলো চেনার উপায় শিখাব। সবাই যখন খেলে, রিনার ভাই রাজীব তখন পড়তে বসে। আবার সবাই যখন পড়তে বসে, রাজীব তখন ঘুমায়। আর সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, রাজীব তখন খেলে। আজকাল কী যে করছে ছেলেটা! বয়স সবে চার বছর পূর্ণ হলো। সবকিছুতেই তার এলোমেলো আচরণ।
বাবা একদিন কথায় কথায় মাকে বললেন, ‘আচ্ছা, ছেলেটার সব কাজ এমন এলোমেলো হচ্ছে কেন?’ মা হেসে বললেন, ‘কোথায়! সব কাজ তো এলোমেলো হচ্ছে না। এই যেমন- আমি খাইয়ে দিলে রাজীব সময়মতো খায়।’ মার কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, ‘আরেকটু বড়ো হলে কী করবে, সেটাই দেখার বিষয়।’ মা বললেন, ‘বড়ো হলে সব বুঝতে শিখবে। তখন সময়মতো পড়বে, ঘুমাবে, আর ফেলবে।’
উপরের অনুচ্ছেদ থেকে কাজ করা হোঝায় এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।
……………………………………………………………………………….
……………………………………………………………………………….
……………………………………………………………………………….
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা কর।
উত্তরঃ খেলে, পড়তে বসে, ঘুমায়, ঘুমিয়ে পড়ে, করছে, হলো, বললেন, হচ্ছে, হেসে, দিলে, খায়, শুনে, হাসলেন, হলে, করবে, দেখার, বুঝতে, শিখবে, পড়বে, ঘুমাবে, খেলবে। আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম ভিডিও দেখুন…
ক্রিয়া শব্দঃ-
ক্রিয়া যেসব শব্দ দিয়ে করা বা হওয়া বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়া বলে। যেমন- সুমি খেলছে। সূর্য ডুবে গিয়েছে। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো ক্রিয়া। পাঠ থেকে ক্রিয়া খুঁজি ‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে ক্রিয়া শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।
উত্তরঃ–
নাটকের নাম | ক্রিয়া শব্দ |
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া | চলেছে, করতে, ঝরছে, ধরতে, হলো, ধরে, এসেছে, লিখছে, গেছে, গিয়ে, এসেছে, নিলাম। |
সুখী মানুষ নাটক থেকে পাওয়া | করছে, নিয়ে, বলছে, শুনছি, করে, দেখাবেন, যাব, জ্বালিয়েছে, হাসে, হবে, থাকলে, হয়, নিয়ো, মরবে, বলবেন, যান, করো, করছি, বাঁচবে, বলো, বলুন, বাঁচাতে, চাও, আনতে, তুলে, আনব, করতে, পারছি, গেল, দাও, খেয়েছে, এসো, দিয়ে, দেবো, এনে, বলবে, বলব, করব, করবে, থাকো, করি, পাব, এনে, পাবে, বাড়বে, পারে, পারো, দিলে, দেখো, হলে, ভাবছে, পেলাম, যাবে, বলছে, বলছি, চলেন, যাই, ধরতে, পারলে, খাবে, বলছ, ডাকবেন, এলো, পাই, গাইতে, পড়ি, আসে, হাসছে, হাসছো, হাসছি, আছে, রেখেছো, দেবো, হচ্ছে। |
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ৫
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শিখতে গেলে আপনাকে ক্রিয়া বিশেষণ নিয়ে জানতে হবে।
তুমি জোরে দৌড়াও, আমি ধীরে হাঁটি।
তুমি সামনে যাও, আমি পিছনে থাকি।
তুমি থামবে না, আমিও দাঁড়াব না।
তুমি ঠিকঠাক যাও, আমি চুপচাপ দেখি।
তোমাকে কানে কানে বলি, আমি ভয়ে ভয়ে আছি।
ক্রিয়াবিশেষণঃ-
যে শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন- ছেলেটি তাড়াতাড়ি হাঁটে। লোকটি সামনে এগিয়ে গেল। মেয়েরা এখান থেকে যাবে না। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো ক্রিয়াবিশেষণ।