আপনি কি Free Courses করতে চান? কোর্স শেষে ভাতা ও চাকরির ব্যবস্থা চান? তাহলে আপনার জন্য সুখবর! কারণ, সরকারীভাবে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ পাবে প্রায় ১ লক্ষ বেকার। সাথে রয়েছে ভাতা ও চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া। কি শুনতে অবাক লাগছে? অবাক লাগার কিছু নেই। এটা বাংলাদেশ সরকার দেশের বেকারদের সাবলম্বী করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রগ্রাম’ – SEIP প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের মধ্যে সারা দেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিভিন্ন বিষয়ে।
বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য কি?
আমাদের দেশে বেকারদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের এই বেকর জন সমষ্টিকে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের উপযোগী করে তোলা। যাতে করে তারা কাজ শিখে আর বেকার বসে থাকতে না হয়।
Skills For Employment Investment Program (SEIP) – এর উপনির্বাহী প্রকল্প পরিচালক খাইরুল ইসলাম জানান, “দেশে বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে সে হারে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। আমরা স্বল্পশিক্ষিত ও শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে তারা কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বেকারত্ব কমিয়ে দেশের যুব সম্প্রদায়ের বড় একটা অংশকে কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা।”
সুতরাং, আমরা বুঝতে পারলাম যে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের তরুনদের ভালো ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা।
Free Courses গুলো কারা করতে পারবে?
Skills For Employment Investment Program (SEIP) প্রকল্পের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন স্পেশালিস্ট সৈয়দ তারেক-উজ-জামান জানান, “আমাদের এ প্রকল্পের মূল টার্গেট সমাজের অনগ্রসর যুবক। হতে পারে সে বেকার অথবা মিড-লেভেলের কর্মকর্তা বা সুপারভাইজর, যারা প্রশিক্ষণ পেলে আরো দক্ষ হতে পারবে। যাদের কাজ করার শারীরিক শক্তি ও সামর্থ্য রয়েছে, মানসিকতা রয়েছে, অথচ তারা বেকার, এমন তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই আমরা। যেকোনো কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কাজের অভাব হবে না। প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের চাকরি পেতে সহায়তাও করা হচ্ছে। ভাতাসহ বিশেষ বৃত্তি পান দরিদ্র, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, নারী, প্রতিবন্ধীসহ সুবিধাবঞ্চিত প্রশিক্ষণার্থীরা। এখানে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা আছে।”
সুতরাং, আমরা বলতে পারি যে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ মোটামুটি সবাই করতে পারবে। তবে কিছু কিছু প্রশিক্ষণ এর ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতাও বিবেচনা করা হবে। যেমন, কম্পিউটার বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য এসএসসি অথবা এইচএসসি পাস করা লাগবে।
কোন কোন বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে?
বিভিন্ন বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জানা যায়, সর্বমোট ৯টি সেক্টরে ১৩০-এর বেশি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
IT বিষয়ক প্রশিক্ষণ গুলো হলোঃ
Web Design
Graphics & Web UI design
Digital Marketing
Web Application Development- PHP
Web Application Development- Dot Net
Practical SEO
Mobile Application Development (Android)
Server Administration & Cloud Management
IT support Technical
Affiliate Marketing
Customer Support & Service
IT Sales Management
English & Business Communication.
তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল বিষয়ক প্রশিক্ষণ গুলো হলোঃ
মার্চেন্ডাইজিং
মিড-লেভেল সুপারভাইজর
অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং
ওভেন মেশিন ও নিট মেশিন চালনা
মাননিয়ন্ত্রণ ও টেক্সটাইল টেস্টিং
ফায়ার সেফটি অ্যান্ড কম্প্লায়েন্স
উইভিং টেকনোলজি ও নিটিং টেকনোলজি ইত্যাদি।
নির্মাণশিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ গুলো হলোঃ
ম্যাসনারি
প্লাম্বিং ও পাইপ ফিটিং
রড বাইন্ডিং অ্যান্ড ফ্যাব্রিকেশন ইত্যাদি।
লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ গুলো হলোঃ
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং
মেশিন টুলস অপারেশন
লেদ মেশিন পরিচালনা
অটোমোবাইল মেকানিক
মোবাইল সার্ভিসিং
ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স ইত্যাদি।
চামড়া ও পাদুকাশিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ গুলো হলোঃ
সেলাই পরিচালনা
কাটিং অপারেশন
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস ইত্যাদি।
জাহাজ নির্মাণ শিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ গুলো হলোঃ
ওয়েল্ডিং ও সিএনসি মেশিন অপারেশন।
অ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ গুলো হলোঃ
প্রডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং আপগ্রেডিং
উত্পাদন বৃদ্ধির কৌশল ও টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ গুলো হলোঃ
ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রডাকশন
ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস ও হাউসকিপিং ইত্যাদি।
নার্সিং টেকনোলজিরও কোর্স করানো হবে, তবে এটার বিষয় এখনো নির্ধারিত হয়নি। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে আরো কিছু বিষয় যুক্ত করা হবে।
SEIP Training বা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণে আবেদনের যোগ্যতা কি?
এবার আসা যাক এই কোর্স গুলো করার জন্য আবেদনের যোগ্যতা কি লাগবে সে বিষয়ে। আসলে এখানে বিষয়ভেদে কোর্সের মেয়াদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এই কোর্স গুলোর মেয়াদ সর্বনিম্ন এক মাস এবং সর্বোচ্চ ছয় মাস হয়ে থাকে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ
বয়সঃ কোর্স ও বিষয়ভেদে বয়সসীমা ১৬ থেকে ৪০ বছর।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
মার্চেন্ডাইজিং, মিড-লেভেল সুপারভাইজার, অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিংয়ে ভর্তির যোগ্যতা স্নাতক।
ওভেন মেশিন ও নিট মেশিন চালনা, মাননিয়ন্ত্রণ এবং টেক্সটাইল টেস্টিং, ফায়ার সেফটি অ্যান্ড কম্প্লায়েন্স, উইভিং টেকনোলজি ও নিটিং টেকনোলজি কোর্সে অষ্টম থেকে এসএসসি পাস হলেই ভর্তি হওয়া যাবে ।
গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে কোর্সভেদে ভর্তির যোগ্যতা এসএসসি থেকে স্নাতক হয়ে থাকে।
রাজমিস্ত্রি, প্লাম্বিং ও পাইপ ফিটিং, রড বাইন্ডিং অ্যান্ড ফ্যাব্রিকেশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে অষ্টম শ্রেণি পাস হলেই।
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, মেশিন টুলস অপারেশন, লেদ মেশিন পরিচালনা, অটোমোবাইল মেকানিক, মোবাইল সার্ভিসিং, ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, সেলাই পরিচালনা, কাটিং অপারেশন, ওয়েল্ডিং, সিএনজি মেশিন অপারেশন প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে অষ্টম থেকে এইচএসসি পাস হলেই।
প্রডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং আপগ্রেডিং, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রডাকশন, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস ও হাউসকিপিং বিষয়ে এসএসসি পাসে প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে ।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে Free Courses গুলো করা যাবে?
দেশের অনেক গুলো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ গুলো দেওয়া হবে। নিচে প্রতিষ্ঠান গুলো সম্পর্কে দেওয়া হলোঃ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রশিক্ষণ দেবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল, রংপুর, শেরপুর, নরসিংদী, ঝালকাঠি, মানিকগঞ্জ ও হবিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ফেনী।
প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, ঢাকা; শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা ট্রেনিং সেন্টার, ঢাকা; টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি), ঝিনাইদহ, কুমিল্লা, রাঙামাটি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, খুলনা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিলেট, লালমনিরহাট ও গোপালগঞ্জ।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনিক্যাল সেন্টার (বিআইটিএসি), ঢাকা, খুলনা, বগুড়া ও চট্টগ্রাম।
আরো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপোর্ট অরিয়েন্টেড শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং এবং বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে এসএমই বিভাগ এবং পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফের আউটসোর্সকৃত সহযোগী প্রশিক্ষণপ্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মিড-লেভেলের কর্মীদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে শুরু হবে প্রশিক্ষণ।
Free Courses শেষে কি কি পাবেন?
ভাতাঃ Skills For Employment Investment Program (SEIP) – এর উপনির্বাহী প্রকল্প পরিচালক খাইরুল ইসলাম বলেন, “প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে ভাতা। তবে এর জন্য কমপক্ষে ৮০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হয়। মাসিক ৩ হাজার টাকা হারে ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। কোর্সভেদে এক মাসের জন্য তিন হাজার, দুই মাসের জন্য ছয় হাজার, তিন মাস মেয়াদের জন্য ৯ হাজার ও ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য ১৮ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে।”
চাকরিঃ ঠিকঠাক প্রশিক্ষণ শেষ করা মোট ৭০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগও করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া যাঁরা ব্যবসা বা নিজেই কিছু করতে চান, তাঁদেরও সহায়তা করা হয় বলে জানা যায়। খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ সনদ দেওয়া হয়। তাই শুধু দেশে নয়, বিদেশেও রয়েছে কাজের ব্যাপক সুযোগ। এ ছাড়া শিল্প ও কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের দক্ষতার মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় তারা উচ্চতর পদে বেশি বেতনে চাকরি পাচ্ছে।
SEIP Training বা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের আবেদন কিভাবে করবেন?
SEIP Training বা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সব তথ্য পাওয়া যাবে প্রকল্প কার্যালয় থেকে। তবে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের জন্য যোগাযোগ করতে হবে SEIP প্রকল্পের মনোনীত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বিভিন্ন সময় কোর্সে ভর্তির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
Skills For Employment Investment Program (SEIP),
অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৭১-৭২, ইস্কাটন গার্ডেন, রমনা, ঢাকা—১০০০।
ফোন : ০২-৫৫১৩৮৫৯৮-৯, ৫৫১৩৮৭৫৩
ওয়েব : www.seip-fd.gov.bd
আশা করছি, আপনারা Free Courses বা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তারপরেও আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।