আনসার ভিডিপি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও সমাধান সম্পর্কে সেই সকল ইউজাররা জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যারা আনসার ভিডিপিতে চাকরি করতে ইচ্ছুক। কেননা বর্তমানে সরকারি চাকরি গুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত একটি চাকরি এটি। তাছাড়াও দেশের সেবা ও জননিরাপত্তার অংশ হিসেবে যোগদানের ইচ্ছা অনেকের মধ্যেই বিরাজ করে।
তাই স্বাভাবিকভাবেই আনসার ভিডিপিতে চাকরির আবেদন করে থাকে অসংখ্য প্রার্থীরা। আর সেই সকল শূন্য পদসমূহে আবেদনের পরবর্তীতে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য অনেকেরই আনসার ভিডিপি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও সমাধান সম্পর্কে জানার প্রয়োজন পড়ে। তাই আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে আনসার ভিডিপি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও সমাধান এবং চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে এ টু জেড জানাব। তো বন্ধুরা তাহলে আসুন আমাদের মূল আলোচনা পর্ব শুরু করা যাক।
আনসার ভিডিপি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন
আনসার ভিডিপি তে চাকরি করতে আগ্রহী প্রার্থীরা সচরাচর একটি প্রশ্ন করে থাকেন, সেটা হচ্ছে– আমি কি সাধারণ আনসার এ চাকরি করতে পারব? সাধারণ আনসারে নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞানের জন্য কি কি বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা জরুরী! এই চাকরির পরীক্ষায় কিভাবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব? সত্যি বলতে এমন প্রশ্ন প্রার্থীদের মনে আশা স্বাভাবিক।
আর তাছাড়াও আমরা যারা চাকরিপ্রার্থী তারা এটা সবাই খুব ভালোভাবে জানে, চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিগত বছরের কোশ্চেনগুলো অনুসরণ করা খুবই জরুরী। এতে করে আমরা ধারণা পেতে পারি যে চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেমন হতে পারে! আমরা মূলত আর্টিকেলে বিগত বছরের কিছু প্রশ্ন ও তার সমাধান আপনাদেরকে সাজেস্ট করব।
তবে তার আগে ধারাবাহিকভাবে আনসার ভিডিপি নিয়ে সাধারণ যে প্রশ্নগুলো স্বাভাবিকভাবেই অডিয়েন্সদের মনে এসে থাকে সে সম্পর্কে আসুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
আনসার মানে কিঃ আনসার শব্দের অর্থ সাহায্যকারী। মূলত এক্ষেত্রে আনসারের সঠিক শব্দার্থ গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। যাদের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইন প্রয়োগ ও সংরক্ষণের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া। এরা মূলত বিশেষভাবে গ্রাম এবং শহরাঞ্চলে শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে মূল দায়িত্ব পালন করে থাকে
আনসার ভিডিপি মানে কি -আনসার ভিডিপির কাজ
আনসার ভিডিপি মানে হল বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। যারা নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের উদ্দেশ্যে নিযুক্ত হয়ে থাকেন। মূলত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ব্যাটালিয়ন আনসার পদে অসংখ্য জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়হার হামেশাই। কেননা দেশের নিরাপত্তার জন্য এই বাহিনী সর্বদা সচেষ্ট থাকে।
একজন আনসার বাহিনীতে কর্মরত কর্মীর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো হলো:-
- জননিরাপত্তা নিশ্চিত এ নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া
- সরকার বা সরকারের অধীন কতৃপক্ষকে জননিরাপত্তার কাজে সহায়তা প্রদান করা
- অন্য যে কোন নিরাপত্তা মূলক কাজে অংশগ্রহণ করা
- দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজে সচেষ্ট থাকা
- দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিশেষ ভূমিকা রাখা সহ প্রভৃতি।
তবে আরেকটু ভিন্নভাবে বললেই বলা যায়: সরকারের নির্দেশে উপরে উল্লেখিত বিধানের সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করে নৌবাহিনীর, স্থলবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ বাহিনী সহ বাংলাদেশ রাইফেলস এর কাজে নিজেদেরকে নিযুক্ত রাখা।
আনসার ভিডিপি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও সমাধান
অন্যদিকে গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের অর্থাৎ আনসার ভিডিপির প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো হলো:-
স্বেচ্ছাসেবার কাজ করা
সরকার কর্তৃক কিছু কিছু সময় নির্ধারিত দায়িত্ব গুলো পালন করা
সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা
আইন-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা মূলক কাজে সহায়তা প্রধান
দেশের আর্থ্র সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে জনকল্যাণমূলক কাজে ভূমিকা রাখা
সরকার কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা, প্রদত্ত নির্দেশ ও আরোপিত শর্তসাপেক্ষে গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের সদস্যগণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহন এবং তার সঠিক প্রয়োগ। মূলত আনসার/ভিডিপির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনোনিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আনসার ও ভিডিপি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ঃ আনসার ও ভিডিপি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় সীমা ভিন্ন। আনসার এর প্রতিষ্ঠা সময় হলো– ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। অন্যদিকে ভিডিপি এর প্রতিষ্ঠা সাল– ১৯৭৬ সালের ৫ই জানুয়ারি।
বাংলাদেশ আনসার এর স্লোগান কি
আনসার ভিডিপি স্লোগান কি? কখনো কখনো চাকরির পরীক্ষাতেও এসে থাকে এমন প্রশ্ন। তাছাড়াও আগ্রহী চাকরিপ্রার্থীরাও মূলত এটা জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সম্পর্কে জানা যায়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি ‘শৃঙ্খলা বাহিনী’ হিসাবে গঠিত ও পরিচালিত হয় এবং এ বাহিনীর স্লোগান হিসেবে সে সময় বের করা হয় “শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা।” যা আনসার ভিডিপি এর স্লোগান হিসেবে পরিচালিত ও পরিলক্ষিত।
আনসার ভিডিপি প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ কিছু কিছু মানুষের প্রশ্ন আনসার ভিডিপি এই দুইটা কি একই জিনিস নাকি এদের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে? আপনি যদি ইতোমধ্যে এ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন আশা করি নিশ্চয়ই এটার সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। তবে বিষয়টা সম্পূর্ণ ক্লিয়ার করার জন্য আমরা আলোচনার এ পর্যায়ে আনসার ভিডিপি প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করব।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি মূলত একটি বাংলাদেশী আধা সামরিক বাহিনী। যাদের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে জন নিরাপত্তা রক্ষার্থে কাজ করে যাওয়া। প্রায় ৯৫ হাজার সাধারণ আনসার, ১৮ হাজার ব্যাটেলিয়ান আনসার এবং আনুমানিক ৫৮ লক্ষ ৪০ হাজার ভিডিপি সন্দেশ নিয়ে এই আনসার বাহিনী গঠিত। এই প্রতিষ্ঠানের ধরন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইন প্রয়োগ এবং আধা সামরিক বাহিনী।
যার গ্যারিশন অর্থাৎ সদর দপ্তর। নীতিবাক্য শান্তি শৃঙ্খলা উন্নয়ন নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মরত বাহিনীর জন্য সরঞ্জামাদি হলো– টাইপ-৫৬ এস এম জি, টাইপ-৫৬ লাইট মেশিনগান, এম-২ ভারি মেশিনগান, টাইপ-৫৬ এসল্ট রাইফেল, ৬০মিঃ মর্টার, টাইপ-৫৬ কার্বাইন, মিলস বোম্ব গ্রেনেড, পাম্প-অ্যাকশন শটগান, এম-৪ শটগান, টাইপ-৫৪ পিস্তল। লি এনফিল্ড রাইফেল (রিটায়ার্ড), থ্রী নট থ্রী (রিটায়ার্ড)।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায়– ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং তৎকালীন পূর্ববাংলা আইন পরিষদে আনসার এ্যাক্ট অনুমোদিত হলে ১৭ জুন ১৯৪৮ সালে তা কার্যকর হয়। তখন থেকে এ বাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত হতো।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধকালে দেশের সীমান্ত ফাঁড়িগুলোতে আনসারদের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার (মুজিবনগর) এর শপথ গ্রহণ শেষে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে আনসার প্লাটুন কমান্ডার ইয়াদ আলীর নেতৃত্বে ১২ জন আনসার বাহিনীর সদস্য গার্ড অব অনার প্রদান করে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আনসার বাহিনীকে বিদ্রোহী আখ্যায়িত করে বিলুপ্ত করা হয়। প্রায় ৪০ হাজার রাইফেল নিয়ে আনসার সদস্যরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়।
যুদ্ধে আনসার বাহিনীর ৯ জন কর্মকর্তা, ৪ জন কর্মচারী ও ৬৫৭ জন আনসারসহ সর্বমোট ৬৭০ জন শহীদ হন। বাহিনীর ১ জন বীর বিক্রম এবং ২ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। স্বাধীনতা উত্তরকালে ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঢাকার অদূরে সাভারে আনসার বাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ১৯৭৬ সালে গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি) ও ১৯৮০ সালে শহর প্রতিরক্ষা দলের (টিডিপি) সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে এ দুটি বাহিনীই আনসার বাহিনীর সঙ্গে একীভূত হয়।
১৯৭৬ সালে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুরে জাতীয় আনসার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এনএটিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এর নামকরণ হয় আনসার ট্রেনিং স্কুল। ১৯৮৬ সালে আনসার ট্রেনিং স্কুলকে আনসার একাডেমিতে উন্নীত করা হয়। ১৯৯৫ সালে এর নামকরণ হয় আনসার-ভিডিপি একাডেমি। বাহিনী বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে আনসার বাহিনী আইন-১৯৯৫ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার আইন ১৯৯৫- দ্বারা, যা সংসদ কর্তৃক গৃহীত হলে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করে এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ হতে কার্যকর হয়।
এ দুটো আইন অনুসারে সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী আনসার বাহিনী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে হলে এখনই ভিজিট করতে পারেন (ক্লিক করুন) এই লিংকে। কেননা আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমরা যে কনসেপ্টটুকু আলোচনা করেছি তার সোর্স হচ্ছে- বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। আর হ্যাঁ- অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি ভিজিটের জন্য ক্লিক করতে পারেন– এখানে।
আনসার ভিডিপি নতুন পরিচালক কে
বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি এর মহাপরিচালক হিসেবে নতুন নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক। যে খবরটি ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে। মূলত জেনারেল এ কে এম আমিনুল হকের চাকরির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের নাস্ত করা হয়েছে। এ সম্পর্কে জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।
ইতিমধ্যে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে কর্মরত ছিলেন তা ছাড়াও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বেশ কিছুদিন যাবত। আর তাই আনসার ভিডিপি নতুন পরিচালক হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন মেজর এ কে এম আমিনুল হক।
আনসার ভিডিপি প্রশ্ন ও উত্তর
এবার আসুন আনসার ভিডিপি এ প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। তবে হ্যাঁ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনি সরাসরি ক্লিক করতে পারেন ( এই লিংকে )। অথবা সংক্ষেপে আমাদের আর্টিকেলের পরবর্তী স্টেপ গুলো এক নজরে পড়ে ফেলতে পারেন।
নাম্বার- 1:
সাধারণ আনসার এ চাকরি করতে চাইলে কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন?
উত্তর: সাধারণ আনসার ভিডিপিতে চাকরি করতে চাইলে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি আরো কিছু যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রয়োজন। মূলত এই চাকরির জন্য চাকরি প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। মানে আপনার বয়স যদি ১৮ থেকে কম হয় এবং ৩০ এর থেকে বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি সাধারণ আনসারে নিযুক্ত হতে পারবেন না। অন্যদিকে শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে অবশ্যই জে এস সি বা সম্মানের পরীক্ষায় পাস থাকতে হবে।
অনেকের ধারণা মাধ্যমিক পাশে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে চাকরি করা সম্ভব। তবে যারা এমনটা কল্পনা করেন তাদের ধারণাটি ভুল মূলত আনসার ভিডিপি তে চাকরি করতে হলে আপনাকে জেএসসি পাস হতে হবে। যোগ্যতা হিসেবে আরো রয়েছে শারীরিক ফিটনেস। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আবেদনের জন্য শারীরিক যোগ্যতা হতে হবে উচ্চতার দিক থেকে ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। পাশাপাশি বুকের মাপ ৩০ অথবা ৩২ এর মধ্যে থাকতে হবে দৃষ্টিশক্তি ৬/৬.
আর হ্যাঁ মনে রাখবেন, এই চাকরির ক্ষেত্রে অধিক উচ্চতা শহীদ পরিবার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি ক্ষেত্রে অধিক যোগ্যতা সম্পন্নদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। তাই আপনার মধ্যে যদি এই সকল কনসেপ্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ভিডিপিতে চাকরি করার সুযোগ পাবেন।
নাম্বার ২.
আমি কি সাধারণ আনসার এ চাকরি করতে পারব
উত্তর: জ্বি, আপনার মধ্যে যদি উপরে উল্লেখিত যোগ্যতাগুলো থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আনসারের চাকরি করার সুযোগ পাবেন আপনি।
নাম্বার ৩.
ভিডিপি শব্দের পূর্ণরূপ কি
উত্তর: ভিডিপি শব্দের পূর্ণরূপ হলো:- Village Defense Party.
নাম্বার ৪.
আনসার ভিডিপি রেঞ্জ কয়টি ও কি কিঃ উত্তর: বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি একটি সশস্ত্র শাখা, যে শাখাটি বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারের অধীনে কার্যরত হয়। মূলত বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি এর বিভিন্ন রেঞ্জ রয়েছে যেগুলো সরকারি বিভাগ দ্বারা পরিচালিত। তবে সবচেয়ে পরিচিত ও প্রধান রেঞ্জগুলো হলো:-
- ১. ঢাকা মেট্রোপলিটন আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
- ২. ঢাকা বিভাগ আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
- ৩. চট্টগ্রাম বিভাগ আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
- ৪. খুলনা বিভাগ আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
- ৫. রাজশাহী বিভাগ আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
- ৬. বরিশাল বিভাগ আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
- ৭. সিলেট বিভাগ আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
- ৮. রংপুর বিভাগ আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
- ৯. ময়মনসিংহ বিভাগ আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
- ১০. খুলনা মেট্রোপলিটন আনসার ভিডিপি রেঞ্জ
আর হ্যাঁ আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে নিশ্চয়ই মনে রয়েছে ইতোমধ্যে আমরা উল্লেখ করেছি– বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি বাহিনীর ৯৫ হাজার সাধারণ আনসার, ১৮০০০ ব্যাটালিয়ন আনসার ও আনুমানিক ৫৮ লক্ষ ৪০ হাজার ভিডিপি সদস্য রয়েছে।
নাম্বার ৫.
আনসার ভিডিপিতে কত বছর চাকরি করা যায়
উত্তর: আনসার ভিডিপিতে মূলত তিন বছর চাকরি করা সম্ভব। মানে আপনি সাধারণ আনসারের চাকরি হওয়ার পর তিন বছর চাকরি করতে পারবেন।
নাম্বার ৬.
সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য কি কি প্রয়োজনঃ উত্তর: সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য আনসার মৌখিক প্রশিক্ষণে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং চারিত্রিক ও নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট দাখিল করতে হয়। আর তাই সে সময় এই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সাথে আনা জরুরী।
নাম্বার ৭.
সাধারণ আনসারের প্রশিক্ষণ শেষ করে কোথায় কর্মরত হওয়া যায়ঃ উত্তর: প্রশিক্ষণ সাফল্যজনকভাবে যদি শেষ করা যায় তাহলে পরবর্তীতে সরকারি বেসরকারি কেপিআই অথবা গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পাওয়া যায়। মূলত আপনি সরকারি বেসরকারি সংস্থাগুলোতে চাকরি করার সুযোগ পাবেন।
নাম্বার ৮.
আনসার ভিডিপিতে চাকরির বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কি কি
উত্তর: ২০১৫ সাল অনুযায়ী আনসার ভিডিপি তে ব্যাটালিয়ন আনসারদের বেতন গ্রেড ১৮ তম এবং বেতন স্কেল ৮৮০০ থেকে ২৩৩১০ টাকা। তবে হ্যাঁ পরবর্তীতে ১৭ তম বেতন গ্রেডে বেতন স্কেল ধার্য করা হয়েছে ৯০০০ থেকে শুরু করে ২৩,১৮০০ টাকা পর্যন্ত। বেতনের পাশাপাশি সুবিধা হিসেবে আরো রয়েছে দুইটি উৎসব ভাতা, দুইটি ইউনিট রেশন পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্য প্রদান এর সুবিধা।
এছাড়াও কর্মরত অবস্থায় যদি কোন কর্মী মৃত্যুবরণ করে তাহলে ৫ লক্ষ টাকা এবং স্থায়ী পঙ্গু হয়ে গেলে দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুব্যবস্থা রয়েছে। অতএব আপনি যদি আনসার ভিডিপিতে চাকরি করেন তাহলে বেতন ও সুযোগ সুবিধা হিসেবে এগুলো ভোগ করতে পারবেন। মূলত এছাড়াও আনসার ভিডিপি নিয়ে ইউজারদের মনে আরও প্রশ্ন রয়েছে। তাই এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের (ক্লিক করুন) এই পেজটি অনুসন্ধান করতে পারেন।