এসএসসি পাশের পরবর্তীতে এ বিষয়টা সম্পর্কে জানার আগ্রহটা সকলেরই বেড়ে যায়। কেননা ভালো কোন চাকরির কথা চিন্তা করেই মূলত পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সঠিক পরামর্শের অভাবে কেউ কেউ বুঝে উঠতে পারেন না কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব। আর তাই আপনারা যারা ভাল চাকরি পাওয়ার আশায়, বিষয়/সাবজেক্ট নিয়ে চিন্তিত তারা সঠিক পরামর্শ পেতে আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কেননা বর্তমান সময়ে পড়াশোনার একাধিক রাস্তা সৃষ্টি হয়েছে সেই সাথে চাকরির বিভিন্ন প্রকার অপশনও তৈরি হয়েছে। আর সেগুলো সম্পর্কে আপনি না জানলে, আপনার জীবনে নেওয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে বেশ বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তাহলে আসুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই— কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যায়, চাকরি পাওয়ার জন্য কাদেরকে বেশি ডাকা হয় এবং বাংলাদেশের বাছাইকৃত সেরা সাবজেক্ট সমূহ আসলে কি কি?
কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যায়
বাংলাদেশে প্রতিবছর হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে বসে থাকছে। কেননা ১০০ ভাগের মধ্যে প্রায় ৩৩ ভাগ মানুষ বেকার জীবন অতিবাহিত করছে। বলতে পারেন এত এত চেষ্টা করেও জুটছেনা একটা চাকরি। আর এই চাকরি না হওয়ার কারণ হিসেবে আপনি প্রথমত যেটা চিহ্নিত করতে পারেন সেটা হচ্ছে— গ্রাজুয়েশনের সময় ভুল বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা। আর তাই আপনাকে পড়াশোনার বিষয় নির্ধারণের মাপকাঠি জানতে হবে এবং ভবিষ্যতে আপনি কেমন ধরনের চাকরিতে যোগদান করবেন সেটা পূর্বেই ভাবতে হবে।
আর হ্যাঁ, পাশাপাশি আরও জানতে হবে ভবিষ্যতে আমাদের এই বাংলাদেশে ক্যারিয়ার হিসেবে কোন চাকরি গুলো অধিক বেশি গুরুত্ব পাবে এবং সম্মানজনক পেশা হিসেবে অবস্থান করবে। তাহলে আসুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেই– কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যায় এবং ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য কোন কোন দিকে গুরুত্ব দেওয়া অধীন বেশি জরুরী।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সেরা ১০ চাকরি
বর্তমান সময়ে আমাদের এই বাংলাদেশে কিছু চাকরি সবচেয়ে ডিমান্ডেবল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেগুলো আপনাকে দেবে উচ্চ মর্যাদা এবং মোটা অংকের টাকা।
আর সেগুলো হলো:-
- ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আর্কিটেক্ট
- টেলিকমিউনিকেশন
- মেডিকেল এন্ড ফার্মাসিটিক্যালস
- ক্রিয়েটিভ মিডিয়া
- টিচিং এন্ড রিসার্চ
- হিউম্যান রিসোর্স
- সেলস এন্ড মার্কেটিং
- হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট
- গার্মেন্ট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং
- এনজিও
বাংলাদেশে কোন সাবজেক্টের কদর বেশি
আপনি যখন চাকরির কথা চিন্তা করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে বিষয়বস্তুর কথা ভাবতে হবে। কেননা আপনি যদি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চান, আর আর্স নিয়ে অথবা কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে সেটা কখনোই সম্ভব নয়। এজন্য প্রথমত আপনাকে জানতে হবে কোন চাকরির জন্য কোন বিষয়ে পড়তে হবে।
পরবর্তীতে এটা জানতে হবে– কোন বিষয় নিয়ে পড়লে চাকরির সুবিধাটা আপনি বেশি পাবেন। তাই পরবর্তী স্টেপে আমরা কোন বিষয় নিয়ে পড়লে কোন কোন চাকরি করা যেতে পারে সেগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবো। তবে এ পর্যায়ে জানাবো বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ সম্পর্কে। সুতরাং বাংলাদেশে কোন সাবজেক্টের কদর বেশি এবং চাকরির ক্ষেত্রে কাদেরকে অধিক বেশি নেয়া হয়ে থাকে!
বিজ্ঞান বিভাগ এর ক্ষেত্রে
বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে থেকে বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ হলো:–
- রসায়ন
- ফলিত রসায়ন
- পদার্থবিজ্ঞান
- ফলিদ পদার্থবিজ্ঞান
- গণিত
- প্রাণিবিদ্যা
- উদ্ভিদবিদ্যা
- পরিসংখ্যান
সেই সাথে আপনি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টেও পড়তে পারবেন।
কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যায় (টিপস ও ট্রিকস)
সেগুলো হলো:-
- ফার্মেসি
- মেকানিক্যাল
- ইইই
- সিএসই
- জুলজি
- বোটানি
- ফিজিক্স
- কেমিস্ট্রি
- অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি
- ফলিত গণিত
- গণিত
- অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স সহ-প্রভৃতি।
- বাণিজ্যিক বিভাগের ক্ষেত্রে
বাণিজ্যিক বিভাগের মধ্যে থেকে বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্টগুলো হলো:-
মার্কেটিং
ফিন্যান্স
একাউন্টিং এবং
পরিসংখ্যান
পাশাপাশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাছাইকৃত সাবজেক্ট গুলো হলো:-
ইংরেজি
ইতিহাস
ইসলামিক স্টাডিজ
সাংবাদিকতা
আইন
অর্থনীতি
শিক্ষা ও গবেষণা
ম্যানেজমেন্ট
মনোবিজ্ঞান
স্বাস্থ্য অর্থনীতি
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট
পপুলেশন সাইন্স
উইমেন এন্ড জেন্ডার সহ প্রকৃতি
মানবিক বিভাগ এর ক্ষেত্রে
মানবিক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত সেরা বাছাইকৃত সাবজেক্ট গুলো হলো:-
ইংরেজি
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
সমাজবিজ্ঞান
অর্থনীতি
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়লে কি কি চাকরি পাওয়া যায়
বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে আপনি সকল ধরনের চাকরিতে যোগদান করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। এক কথায়– ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার থেকে শুরু করে বাগানের মালি পর্যন্ত। তবে আপনি সবচেয়ে মজাদার যে সকল চাকরি নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বাছাই করতে পারবেন
সেগুলো হলো:–
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
মেরিন ইঞ্জিনিয়ার
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার
সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার
ডাক্তার
নার্স
সায়েন্টিস্ট
প্রফেসর
বিসিএস ক্যাডার সহ প্রভৃতি।
মানবিক বিভাগ নিয়ে পড়লে কি কি চাকরি পাওয়া যায়
মানবিক বিভাগে পড়ে ক্যারিয়ার হিসেবে জনপ্রিয় যে চাকরিগুলোকে বেছে নেওয়া যায় সেগুলো হলো:–
বিসিএস ক্যাডার
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
উচ্চ পদের সরকারি চাকরি
উচ্চ পদের বেসরকারি চাকরি
কর্পোরেট জব
নার্সিং
সাংবাদিক
আইনজীবী
মনোবিজ্ঞানী
সেলস কনসিলার
কাস্টম এক্সপেরিয়েন্স ম্যানেজার
রিলেশনশিপ অফিসার
এডিটর
অডিট
পাবলিক রিলেশনশিপ ম্যানেজার
ইভেন্ট অর্গানাইজার
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
আইনি পরামর্শক
ব্যাংক চাকরি সহ প্রভৃতি
কমার্স এ পড়লে কি কি চাকরি পাওয়া যায়
কমার্স অর্থাৎ ব্যবসায়িক বিভাগে পড়লে আপনি বাংলাদেশে অবস্থান করেও যে ডিমান্ডেবল চাকরিগুলো করতে পারবেন সেগুলো হলো:-
একাউন্টিং চাকরি
কর্পোরেট জব
বিজনেস এনালিটিক্স
সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং
ফিন্যান্স মার্কেটর
ম্যানেজমেন্ট অফিসার
সিভিল সার্ভিস
ব্যাংকার
কোম্পানি চাকরি
বেসরকারি চাকরি
এনজিও চাকরি
শিক্ষকতা সহ প্রভৃতি।
কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে চাকরি নিশ্চিত
আপনি মূলত হাতে গোনা কয়েকটি বিষয় নিয়ে পড়লে নিশ্চিত চাকরি পাবেন। তবে এ পর্যন্ত আমরা যে সকল বিভাগ ও বিষয় সমূহ তুলে ধরেছি মূলত সব ক্ষেত্রেই আপনি চাকরির সুযোগ পাবেন যদি, চাকরির জন্য আপনি নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারেন। কেননা যে কোন কোম্পানি, সরকারি প্রতিষ্ঠান বা এনজিও প্রত্যেকেই দক্ষ জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তবে চাকরির বেতন ও মর্যাদার উপর ভিত্তি করে আমরা এ পর্যায়ে হাতেগোনা কয়েকটি বিষয় সাজেস্ট করব। যেগুলো কমপ্লিট করার মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দমত চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন।
সেগুলো হলো:-
বিবিএ
কম্পিউটার সাইন্স
আইন
ইংরেজি
ফার্মেসি
টেলিকমিউনিকেশন
এমবিএ
ইলেকট্রিক্যাল-ইলেকট্রনিক্স
মূলত বেসিক নলেজ এবং এই বিষয় সমূহ নিয়ে কোন স্টুডেন্ট পাস করলে চাকরির বাজারে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হবে।
বর্তমান সময়ের সেরা ১০ টি পেশার সংক্ষিপ্ত আলোচনা
১. ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আর্কিটেক্টঃ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আর্কিটেক্ট। বলতে পারেন এটি হল সর্বোত্তম চাকরি ক্ষেত্র। এখন প্রশ্ন হলো, এক্ষেত্রে পড়াশোনার জন্য কোন বিষয়গুলিতে একজন শিক্ষার্থীর বাছাই করতে হবে। তাহলে আসুন জেনে নেই ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার ক্ষেত্রে পড়ার বিষয় সমূহ সম্পর্কে।
ইঞ্জিনিয়ারিং জন্য বিষয়সমূহ:-
গণিত (সংখ্যাপদ্ধতি, অ্যালজেব্রা, গেমেট্রি, ক্যালকুলাস এবং স্ট্যাটিস্টিক্স)
ভৌত বিজ্ঞান (মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স এবং সিভিল)
কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এবং সাইবার সিকিউরিটি
প্রক্সিমিটি সেন্সিং, কনট্রোল এবং অটোমেশন
প্রোগ্রামিং ভাষা (সি, সি++, জাভা এবং পাইথন)
আর্কিটেক্ট-এ পড়াশোনার বিষয়সমূহুঃ-
গণিত (সংখ্যাপদ্ধতি, অ্যালজেব্রা, গেমেট্রি, ক্যালকুলাস এবং স্ট্যাটিস্টিক্স)
স্থাপত্য শিল্প
ডিজাইন কম্পিউটার
এইডেড ডিজাইন সফটওয়্যার।
২. টেলিকমিউনিকেশনঃ টেলিকমিউনিকেশনও হলো একটি বিশাল ক্ষেত্র। আর এক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ পেতে হলে আপনাকে যে সকল বিষয়বস্তুর ওপর স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করতে হবে সেগুলো হলো:-
ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং
ফাইবার অপটিক কেবল এবং টেলিফোন লাইন প্রযুক্তি স্থানবিশিষ্ট সেলুলার নেটওয়ার্ক এবং বিভিন্ন স্মার্টফোন প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দূরবর্তী এবং নিরাপদ সংযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়াবলী। তাই আপনি যদি এক্ষেত্রে নিজের ক্যারিয়ার সেটআপ করতে চান তাহলে, টেলি কমিউনিকেশন বিষয়বস্তুর ওপর পড়াশোনা শুরু করুন। কেননা বর্তমান সময়ে টেলিকমিউনিকেশনে ক্যারিয়ার গড়ার একটা ধুম পড়ে গিয়েছে।
যার অন্যতম কারণ একজন কর্মী অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে এক্ষেত্রে। পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটি সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে ধরা হয় এবং প্রদান করা হয় মোটা এমাউন্টের পারিশ্রমিক।
৩. মেডিকেল এন্ড ফার্মাসিটিক্যালসঃ একটু লক্ষ্য করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন বর্তমান চাকরির বাজারে মেডিকেল এন্ড ফার্মাসিটিক্যালসের কদর কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাইতো ছাত্র-ছাত্রীদের গুরুত্ব ও বেড়েছে এক্ষেত্রে নিজেদেরকে ক্যারিয়ার গড়ার।
আর আপনি যদি ভবিষ্যতে ডিগ্রী পাস করে কোন পেশায়নি যুক্ত হতে চান তাহলে কোন রকমের কষ্টই পোহাতে হবে না মেডিকেল এন্ড ফার্মাসিটিক্যালস চাকরির ক্ষেত্রে। আর এর জন্য মূলত আপনাকে দুটি বিষয় সমূহ নিয়ে পড়লেই যথেষ্ট। অর্থাৎ মেডিকেল এন্ড ফার্মাসিটিক্যাল সায়েন্স এর জন্য আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে:
- জীববিজ্ঞান
- রসায়ন
তবে হ্যাঁ ফার্মাসিটিক্যাল সাইন্স ও মেডিকেল সাইন্স এর জন্য রসায়ন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই রসায়ন নিয়ে যদি আপনি ডিগ্রী অর্জন করেন তাহলে এক্ষেত্রে নিজের দারুন একটি ক্যারিয়ার বিল্ডআপ করতে পারবেন।
৪. ক্রিয়েটিভ মিডিয়াঃ আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে কর্মসংস্থানের দিকও পরিবর্তন হচ্ছে। আর তাই এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সময়ে সেরা ক্যারিয়ারের মধ্যে মিডিয়া সাইড অবস্থান করছে। তাই আপনি যদি এই সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান সেক্ষেত্রে সাংবাদিকতা বিষয়ে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে হবে। তবে হ্যাঁ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া মূলত একটা বিস্তৃত ক্ষেত্র। আর এটা বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক হয়ে থাকে।
কি কি চাকরি পাওয়া যায়
তবে এর প্রধান বিষয় সমূহ হলো:–
- ডিজাইন
- ভিডিও প্রোডাকশন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ভিডিও ক্রিয়েটর
- ব্লগিং এন্ড কনটেন্ট মার্কেটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ফটোগ্রাফি
- এক কথায়, মিডিয়ার সাথে নিযুক্ত কাজগুলোই মূলত ক্রিয়েটি ভ মিডিয়া সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত।
৫. টিচিং এন্ড রিসার্চঃ বাংলাদেশের সেরা পেশা বা ক্যারিয়ার হিসেবে বর্তমান বাংলাদেশে পাঁচ নম্বর পজিশনে রয়েছে টিচিং এন্ড রিচার্জ। সত্যি বলতে আপনি যদি রিসার্চ করেন এ বিষয়ে তাহলে জানতে পারবেন দিন দিন এই সেক্টরে কাজের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে অধিক বেশি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বর্তমানে অনেক কোম্পানি রিসার্চ সেন্টার চালু করছেন।
তাই আপনি যদি টিচিং এন্ড রিসার্চ নিয়ে কাজ করতে চান তাহলেও খুব ভালো একটা চাকরি করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন এই সেক্টরে কাজের জন্য আপনাকে অবশ্যই নিষ্ঠাবান হওয়া বাঞ্ছনীয়। আপনি যদি আপনার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেন তাহলে অবশ্যই টিচিং এন্ড রিসার্চ ক্যারিয়ার আপনার জন্য আদর্শ সেক্টর হতে পারে এবং এখান থেকে আপনি টাকা সহ অর্জন করতে পারেন সামাজিক মর্যাদা। যেটা অন্যান্য চাকরি থেকে অনেকটাই বেশি।
৬. হিউম্যান রিসোর্সঃ হিউমান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের কাজ হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া এবং তাদের কাজের তদারকি করা। মূলত নিয়মদাতা কর্মচারীরা যাতে ঠিকভাবে কাজ করে সেদিকে নজরদারি করাটাই হচ্ছে এই বিভাগের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। আর তাই যদি কেউ হিউম্যান রিসার্চে নিজেদেরকে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চায় তাহলে তাকে মাস্টার্স এমবিএ, মেজর এম এস আর এস ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে হ্যাঁ, এ সেক্টরে কিছু কিছু উদযাপদে চাকরির জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে।
৭. সেলস এন্ড মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ের খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং সম্ভাবনাময় চাকরি হচ্ছে সেলস এন্ড মার্কেটিং। তাচারা ক্রিয়েটিভ মাইন্ডের প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে অধিক বেশি পছন্দ করেন তাদের জন্য ক্যারিয়ার জীবনের সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র হতে পারে এটি। একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান চালু হচ্ছে এবং তাদের পণ্য বাজারজাত করতে প্রচুর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং কর্মীর প্রয়োজন পড়ছে। তাই আপনি চাইলে এ বিষয়েও নিজের ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা করতেই পারেন।
৮. হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টঃ হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট পড়াশোনার জন্য খুবই ভালো একটি বিভাগ। আর বাংলাদেশে অবস্থান করে যদি আপনি সম্মানজনক এবং হাই লেভেলের চাকরি করতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য আদর্শ ক্যারিয়ারের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে।
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিতে ম্যানেজমেন্ট বিভাগে মূলত চারটি বিষয়বস্তু থেকে থাকে।
সেগুলো হচ্ছেঃ-
- ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট,
- হাউস কিপিং ম্যানেজমেন্ট,
- কালিনারি আর্টস বা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন ও
- ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট।
এ ছাড়া ট্রাভেল ম্যানেজমেন্ট, রিক্রিয়েশন ম্যানেজমেন্ট, লেইজর ম্যানেজমেন্ট—এই কোর্সগুলোও আছে এর আওতায়। মূলত আপনি উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পরবর্তীতে এই বিভাগে পড়তে পারেন। আর সবচেয়ে সুবিধা জনক বিষয় হচ্ছে সারা বিশ্বেই প্রায় এই এক পদ্ধতিতে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এর পাঠ্যক্রম সাজানো রয়েছে। তবে যারা বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করেছেন তাদের জন্য এ বিষয়ে পড়াশোনা করাটা অতীব সহজ হয়ে দাঁড়াবে।
কিন্তু আপনি চাইলে অন্যান্য বিভাগ থেকেও এক্ষেত্রে পড়াশোনা করতে পারেন এবং ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন এমন একটি সম্ভাবনাময় চাকরি।
৯.গার্মেন্ট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিংঃ বাংলাদেশের রপ্তানি খাত হচ্ছে গার্মেন্টস এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং। আর এটা সম্পর্কে খুব অল্প মানুষ রয়েছেন যারা অবগত নন। আপনি যদি অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে রিসার্চ করেন তাহলে দেখতে পাবেন দেশের মোট রপ্তানি আয়ের অধিকাংশই এইখান থেকে এসে থাকে। আর বিশাল সংখ্যক এই সেক্টরে প্রচুর দক্ষ জনবল এর প্রয়োজন পরে বিধায় কোম্পানির মালিকরা হর হামেশাই নতুন নতুন চাকরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকেন।
তাই নিজেকে যদি দক্ষ ও উপযুক্ত পারতি হিসেবে আপনি নিজেকে তৈরি করেন তাহলে গার্মেন্টস এন্ট ম্যানুফ্যাকচারিও হতে পারে আপনার জন্য সেরা মাধ্যম। মূলত এই সেক্টরে কাজের জন্য একজন ব্যক্তিকে বিবিএ, এমবিএ ইত্যাদির যোগ্যতা ধারী হতে হয়।
১০. এনজিওঃ বাংলাদেশের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এনজিও। তাই আপনি যদি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান পাশাপাশি দেশীয় সেবায় নিয়োজিত হতে চান তাহলে আপনার জন্য এক্ষেত্রটি সেরা ক্ষেত্রে হিসেবে চিহ্নিত করা যেতেই পারে। আর তাই এনজিওতে চাকরির জন্য আপনার মাস্টার্স ডিগ্রি, সিএ, এমবিএ ইত্যাদি শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।
আর হ্যাঁ আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে তো কোন কথাই নেই। কেননা এনজিও চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি প্রার্থীর ইংরেজির দক্ষতা ও যাচাই-বাছাই করা হয়।