গভীর রাতে প্রেমিকের সঙ্গে বসতঘর থেকে পুত্রবধূ ও শাশুড়িকে আটক করেছে এলাকাবাসী। এরপর তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই পুত্রবধূ ও শাশুড়ির সঙ্গে এই দুই যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। এ কারণে তারা প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত চারজন বর্তমানে থানায় আছেন বলে জানিয়েছেন তাড়াশ থানার ওসি।
এদিকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন আটককৃতরা। এখন বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আটক পুত্রবধূ এবং তার প্রেমিক। তারা বলেন, আমাদের ১১ বছরের সম্পর্ক। এখন বিয়ে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গানেন্দ্রনাথ বসাক জানান, ঘটনার রাতে কোনো পুরুষ ঘরে ছিল না। এ সময় ঘরে দুই যুবকের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিবেশীরা পুত্রবধূ ও শাশুড়িসহ তাদের আটকে রাখে। পরে বুধবার সকালে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে তারা।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম দুপুরে বলেন, ‘ছেলের বউ, শাশুড়ি ও তাদের দুই পরকীয়া প্রেমিককে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। দেখছি বিষয়টি নিয়ে কী করা যায়। ’
শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা আসামি জিতু গ্রেফতার সাভারে স্ট্যাম্প দিয়ে শিক্ষক উৎপল কুমারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি আশরাফুল আহসান জিতুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার (২৯ জুন) গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় জিতুর বাবা উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি তার ভাড়াটিয়ার গ্রামের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে আশুলিয়া থানায় আনা হয়েছে।
পরে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা উজ্জ্বল হাজীকে গ্রেপ্তারের পর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৯ জুন) বিকেলে ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক শেখ মুজাহিদুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষক উৎপলকে স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করেন তারই এক শিক্ষার্থী। পরে শিক্ষককে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।এ ঘটনায় রোববার (২৬ জুন) আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এর পর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।