পটুয়াখালীর বাউফলে আ’ঘাতপ্রাপ্ত একটি ঘোড়া র’ক্তাক্ত অবস্থায় থা’নায় হাজির হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আ’হত ঘোড়াটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পু’লিশ। কিছুটা সুস্থ হলে ঘোড়াটি নিজ থেকেই চলে যায়।
শুক্রবার দুপুরে জুমা’র নামাজের সময় বাউফল থা’নার ডিউটি অফিসারের কক্ষের সামনে ঘোড়াটি হাজির হয়।
বাউফল থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মো. আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, জুমা’র নামাজের শেষ দিকে ঘোড়াটি একাই থা’নার মূল ফট’ক দিয়ে প্রবেশ করে। এসময় কর্তব্যরত পু’লিশ সদস্য ঘোড়াটি বাধা দিলেও সে থা’নার ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার খেয়াল করে দেখেন ঘোড়াটির পেছনের পায়ে ক্ষত এবং সেই জায়গা দিয়ে র’ক্তক্ষরণ হচ্ছে।
ডিউটি অফিসার বিষয়টি ওসিকে জানান। পরে ওসি থা’নায় উপস্থিত হয়ে উপজে’লা প্রা’ণিসম্পদ কর্মক’র্তাকে জানান। তিনি আব্দুল আজিজ নামের একজন উপ-সহকারী প্রা’ণিসম্পদ কর্মক’র্তাকে থা’নায় পাঠিয়ে দিলে তিনি ঘোড়াটির চিকিৎসা করেন।
উপ-সহকারী প্রা’ণিসম্পদ কর্মক’র্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ক্ষত দেখে মনে হয়েছে ধারালো কোনো কিছুর আ’ঘাত লেগেছে, যে কারণে পায়ের চামড়া উঠে ক্ষত হয়েছে। ক্ষতস্থান ড্রেসিং করে ব্যথা’নাশক ইনজেকশনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে।’
‘চিকিৎসা শেষে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সুস্থ মনে করলে নিজ মনেই ঘোড়াটি থা’না থেকে চলে যায়। আর চিকিৎসার সময় প্রা’ণীটি চুপচাপ ছিল। ড্রেসিংয়ের সময় কোনো মানুষও হয়তো এভাবে স্থির থাকতে পারে না।’
তবে ঘোড়ার মালিক কে এবং কেউ তাকে আ’ঘাত করেছে কি না সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।