চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায় চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজি বিশাল একটা অংশ দখল করে আছে। বলা যায় ইংরেজিতে ভালো না করে বিসিএস, ব্যাংক বা অন্য যে কোন নিয়োগ পরীক্ষার বৈতরণী পার করা কঠিন। আর তাই চাকরি পরীক্ষার্থীদের মাঝে মূলত ইংরেজি নিয়ে থাকে সংশয়। তবে সচরাচর এটা হওয়ার কারণ হচ্ছে– সঠিক প্রস্তুতি না নেওয়া।
আর হ্যাঁ এরই মাঝে আবার এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও চাকরি পরীক্ষায় ইংরেজিতে বড্ড খারাপ মার্ক পেয়ে থাকেন। এর পেছনে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু কারণ। আর সেই কারণসমূহ নিয়েই আমাদের আজকের প্রবন্ধ টি তৈরি করা।
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায়
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে চাকরি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায় সাজেস্ট করব। আশা করছি চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজি নিয়ে ভয় দূর হবে এবং আপনি অনেক ভাল প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
তাহলে আসুন জেনে নেই চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার সেরা কিছু উপায় ও বাছাইকৃত বিশেষ কিছু টিপস।
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায়ঃ চাকরির পরীক্ষায় আপনি যদি ভাল নম্বর পেতে চান তাহলে আপনাকে আলাদাভাবে চারটি বিষয়বস্তুর ওপর কনসেন্ট্রেট করতে হবে অর্থাৎ চর্চা করতে হবে চারটি বিষয়।
সেগুলো হলোঃ–
- গ্রামার অংশের প্রস্তুতি
- ভোকাবুলারি অংশের প্রস্তুতি
- ইংরেজি লিটারেচার অংশের প্রস্তুতি এবং
- ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
কেননা সাধারণত ইংরেজিতে ৩৫ নম্বর বরাদ্দ থেকে থাকে। ২০ নম্বর ভাষা এবং ১৫ নম্বর সাহিত্যে। এরমধ্যে ভাষা এই অংশটি কে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
যথা:-
- পিওর গ্রামার
- ভোকাবুলারি
- পিওর গ্রামার
পিওর গ্রামারে মূলত কয়েকটি অংশ থেকে থাকে।
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায়
সেগুলো হলো:-
- Parts of speech
- Clauses
- Composition
- Sentence and transformation
- Idoms and Phrases
- Correction
- Sentences
- ভোকাবুলারি
পিওর গ্রামারের যেমন কয়েকটি প্রধান অংশ রয়েছে ঠিক একই ভাবে ভোকাবুলারিও কয়েকটা অংশ রয়েছে। বলতে পারেন আপনি যদি শুধুমাত্র এই কয়েকটি অংশে অধিক বেশি কৌশলী হতে পারেন তাহলে ভোকাবুলারি থেকে আপনার ভীতি একেবারে কেটে যাবে।
সেই অংশসমূহ হচ্ছেঃ–
Meaning n One Word Substitution n Synonyms Various Parts of Speech Formation of New Words by adding Prefixes & Suffixes. Antonyms, Spellings, Usage of Words as Various Parts of Speech and Formation of New Words by adding Prefixes & Suffixes.
আর তাই অবশ্যই ইংরেজির ভোকাবুলারি এবং প্রিয় গ্রামার অংশ যদি আপনি সম্পূর্ণ মার্ক তুলতে চান তাহলে বারবার চর্চা করুন উল্লেখিত পাঠ সমূহ। এবার চলুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেই– আপনি কিভাবে ইংরেজির গ্রামার, ভোকাবুলারি, লিটারেচার এবং লিখিত অংশের প্রস্তুতি খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে নিতে পারবেন।
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে গ্রামার অংশের প্রস্তুতি
বিসিএস পরীক্ষায় সাধারণত ইংরেজির গ্রামার অংশ থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থেকে থাকে। চাকরির পরীক্ষাতেও মোটামুটি এভাবেই মানবন্টন করা হয়। তাই প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীদের ইংরেজি গ্রামার অংশের প্রস্তুতি কিছুটা সিরিয়াসলি নেওয়া উচিত। মূলত এ কারণে আপনি Sentence Correction এর টপিক ভালোভাবে পড়বেন।
কেননা বিগত বছরগুলোর কোশ্চেন ফলো করলে দেখা যায় বেশিরভাগ প্রশ্ন গ্রামার অংশের সেন্টেন্স কারেকশন থেকেই দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামার ও ভোকাবুলারি সম্পর্কে জানতে উপরে উল্লেখিত বিষয়বস্তু পড়ায় অধিক বেশি গুরুত্ব দেবেন।
এক্ষেত্রে মূলত সাহায্য হিসেবে আপনি কিছু বই অনুশীলন করতে পারেন।
যেমনঃ-
TOEFL Cliff’s & Barron’s, Common Mistakes in English by T. J. Fitikides তবে বাজারে এর বাইরে ও আপনি অনেক বই পাবেন যেটা শুধুমাত্র আপনার গ্রামার অংশের প্রস্তুতিকে দৃঢ় করতে সাহায্য করবে। আর হ্যাঁ অনেকেই রয়েছেন যারা বোকার মত কাজ করেন, সেটা হচ্ছে গ্রামার অংশ মুখস্ত করতে শুরু করে দেন। তাদেরকে বলব এই ভুলটি কখনোই করবেন না।
চাকরির পরীক্ষায় যদি আপনি গ্রামার অংশ ভালো করতে চান তাহলে প্রতিটি বিষয়বস্তু বুঝে বুঝে অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন যে কোন বিষয় নিয়ে আপনি যত চর্চা করবেন তত আপনার জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি সেই বিষয় সম্পর্কে ততটা প্রখরভাবে অবগত হতে পারবেন।
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে ভোকাবুলারি অংশের প্রস্তুতি
চাকরি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার জন্য শুধু নয়, বরং আপনি যদি ইংরেজি নিয়ে ভালো কিছু করার আশা করেন তাহলে ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে ভোকাবুলারিকে খুব গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা এই অংশ যদি আপনি বাদ দিয়ে দেন তাহলে ইংরেজিতে ভালো করার কথা চিন্তা করা সম্ভবই নয়।
আর লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নে সাধারণত:–
- Synonym,
- Antonym,
- Analogy,
- Correct Spelling
এই টপিক গুলো নিয়ে অধিক বেশি প্রশ্ন এসে থাকে। যেগুলো প্রত্যেকটি ভোকাবুলারি এর অংশ। তাই এই অংশকে কোনভাবেই হেলাফেলা করতে যাবেন না। মনে রাখবেন আপনি যদি ইংরেজির রাইটিং ও লিটারেচার অংশে ভালো করতে চান তাহলে আপনাকে ভোকাবুলারি কে অধিক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা Reading Comprehension, Translation থেকে শুরু করে Free hand writing ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভোকাবুলারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আর এজন্য আপনি কোন বইয়ের সহযোগিতা নিতে পারেন। কেননা মার্কেটে এখন ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ করার জন্য অনেক বই রয়েছে।
যেমন:-
- সবার জন্য Vocabulary
- Vocabulary Plus
- Word power made easy (by Norman Lewis)
- Word Learning Magic
পাশাপাশি আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিতে পারবেন ভোকাবুলারি ইমপ্রুভ এর জন্য। তাই এ পর্যায়ে আমরা ভোকাবুলারি শেখার ক্ষেত্রে সাহায্যকারী এমন কিছু ওয়েবসাইটের নাম সাজেস্ট করব।
যথা:-
www.vocabulary.com
Learnenglish.britishcouncil.org
Describingwords.io
Visuwords.com
www.etymonline.com
Freerice.com
Wordsift.org
তবে হ্যাঁ মাথায় রাখবেন, আপনি যদি ইংরেজি মোটামুটি জেনে থাকেন তাহলে এই ওয়েবসাইটগুলো আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। আর যদি আপনি ইংরেজিতে একেবারে কাঁচা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই সাইটগুলো আপনার খুব একটা কাজে আসবে না। তাই নানা ভাবে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ার চেষ্টা করুন এবং ভোকাবুলারি সম্পর্কে জানতে আমাদের এই টিপসগুলো অনুসরণ করুন।
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে লিটারেচার অংশের প্রস্তুতি
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজির লিটারেচার অংশ থেকে হাতেগোনা দুই থেকে চারটি প্রশ্ন আসতে পারে। তবুও চাকরির বাজারে টিকতে চাইলে একটি নম্বর অধিক বেশি ভূমিকা রাখে। তাই ইংরেজিতে ভালো মার্ক পেতে হলে লিটারেচার অংশের প্রস্তুতি ও ভালোভাবে নেওয়া জরুরি।
এজন্য আপনি কৌশল হিসেবে যেসব করতে পারবেন সেগুলো হচ্ছেঃ—
বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সম্পর্কে জানবেন বিখ্যাত গ্রন্থগুলো সম্পর্কে ধারণা অর্জন করবেন পিরিয়ডের প্রধান প্রধান সাহিত্যিক ও সাহিত্য কর্মের নাম গুলো ভালোভাবে পড়বেন ইংরেজি সাহিত্যের যুগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করবেন।
বিসিএস সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো বারবার সলভ করার চেষ্টা করবেন আর হ্যাঁ, লিটারেসি টাইমস ও সাহিত্যকর্মের ধরন গুলো অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে পড়তে ভুলবেন না। আশা করা যায় হাতেগোনা আপনি এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে যদি ইংরেজি লিটারেচার অংশটি পড়ে থাকেন তাহলে পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সঠিক সমাধান করতে পারবেন।
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে লিখিত অংশের প্রস্তুতিঃ চাকরির পরীক্ষায় পরবর্তী প্রশ্ন অনুযায়ী আপনি গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো বাছাই করে যদি সেগুলো চর্চা করেন অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে সেটা আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে লিখিত পরীক্ষায় আপনার খুব একটা সমস্যা হবে না। কেননা চর্চার ফলে আপনি ল্যাঙ্গুয়েজ এর বেসিক টা শিখে ফেলবেন। তবে এক্ষেত্রে বেশিরভাগ চাকরি প্রার্থী ব্যাকরণ এবং বানানে অধিক বেশি ভুল করে থাকেন। তাই বানান মিস্টেক ও গ্রামাটিক্যাল ভুলগুলো সংশোধনের চেষ্টা করবেন বিশেষভাবে।
এজন্য চাইলেই বই হিসেবে আপনি সাহায্য নিতে পারেন Dr. Mohiuddin-এর লেখা Translation for competitive exam বইটি। পাশাপাশি সাহায্য নিতে পারেন ইউটিউব গুগল অথবা ফেসবুকের। মূল কথা হলো লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি ভিত্তি তৈরীর কৌশল হিসেবে আপনাকে চর্চা করতে হবে। এক্ষেত্রে মূলত চর্চার কোন কোনটি থাকা চলবেনা। বারবার চর্চার মাধ্যমেই আপনি লিখিত অংশে দক্ষ হয়ে উঠবেন এজন্য চাইলেই পত্রপত্রিকা পড়তে পারেন বা যেকোনো ইংরেজি বই পড়তে পারেন, চাইলে ইংলিশ মুভিও দেখতে পারেন।
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার কৌশল
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে হলে— বেশি বেশি ইংরেজি অনুচ্ছেদ পড়তে হবে এবং পড়ার সময় তার আংশিক অংশ মনে রাখতে হবে। বিশেষ করে জানতে হবে অনুচ্ছেদে থাকা অজানা শব্দগুলো সম্পর্কে।
যেকোনো বিষয়বস্তু পড়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি বাক্যের অর্থ বুঝতে হবে এবং প্রত্যেকটা ওয়ার্ড এর মিনিং জানতে হবে।
ইংরেজিতে ভয় না পেয়ে স্বাভাবিকভাবে নিতে হবে এবং মনে মনে এটা ভাবতে হবে ইংরেজি ব্যাকরণে আসলে নতুন বলতে কিছু নেই।
নিজে থেকে ইংরেজি বাক্য তৈরি করার শিখতে হবে এবং ইংরেজি শব্দার্থ ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে।
প্যাসেজ থেকে সামারি করার সময় কোন অংশ হুবহু না লিখে ফ্রি হ্যান্ডে লিখতে হবে অর্থাৎ আপনি যেটা বুঝেছেন সেটার সম্পূর্ণ নিজের মতো করে গুছিয়ে লেখার চর্চা করতে হবে। ইংরেজি পড়ার ক্ষেত্রে প্রায় মূল শব্দ গুলোর সমার্থক ও বিপরীত শব্দ ইংরেজিতে এবং বাংলাতে জানতে হবে। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হলে ইংরেজি শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে হবে।
চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে চাইলে অবশ্যই কোয়ালিটি ধরে রাখতে হবে এবং লেখাতেও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে হবে। ভালো নম্বরের আশা করলে প্রিপজিশন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে এবং এপ্রসিয়েট প্রিপজিশন সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করতে হবে।
ইংরেজি পরীক্ষায় ভালো করার আরেকটি সেরা উপায় হচ্ছে টেন্স সম্পর্কে অ্যাডভান্স জ্ঞান রাখা। তাই জানতে হবে টেন্স এর এ টু জেড। সব সময় বিগত বছরের চাকরির পরীক্ষার কোশ্চেন গুলো সলভ করার অভ্যাস করতে হবে এবং নিয়মিত পত্রপত্রিকা পড়া সেইসাথে ইংরেজি মুভি দেখার চেষ্টা করতে হবে।