অবশেষে আবিষ্কার হল ডায়াবেটিসের মহৌষধ, পান খেয়ে সারিয়ে তুলুন ডায়াবেটিস! জেনে নিন কি ভাবে খাবেন।

বাঙ্গালীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পানের আয়োজন না থাকলে যেন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় না। আবার হিন্দু রীতিতে বিভিন্ন পুজা উৎসবে ও বিয়েতে পান যেন বাধ্যতামূলক। আবার ঘরে ঘরে অনেকে আছেন যাদের পান না খেলে চলেই না। তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। পান খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যা সম্পর্কে হয়ত আপ্নারা জানেন না। নিম্নে পানের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল-

১. ডায়াবেটিক দূর করে:- পানে যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ সুপারি, চুন, জর্দা ইত্যাদি চিবানোর ফলে আমাদের রক্তের শর্করা সঠিক থাকে। এতে ডায়াবেটিক হবার সম্ভাবন কমে যায়। যাদের ডায়াবেটিকের সমস্যা ইতিমধ্যে আছে তাদেরও দমন হবে।

২. ওজন কমাতে সাহায্য করে:- যারা ওজন কমাতে ইচ্ছুক তারা পান খেতে পারেন। পান খেলে ওজন পারেনা, অপরদিকে আপনি অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকতে পারবেন। ডায়েট এর জন্য পানের চেয়ে ভাল কিছু আপনি পাবেন না।

৩. মাথা ব্য’থা দূর করে:- আপনার যদি মাথায় অনেক ব্য’থা অনুভূত হয়, তাহলে এক্ষেত্রেও পান আপনাকে সাহায্য করতে পারে। পান পাতা বেটে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। এতে আপনার মাথা ঠাণ্ডা হবে এবং ব্য’থা দূর হবে।

লিভারের চর্বি গলানোর ঘরোয়া চিকিৎসা ! সু’স্থ থাকতে চাইলে লিভারের চর্বি গলিয়ে ফেলুন আজকাল অনেকেই লিভারে চর্বি (ফ্যাটি লিভারে) রোগে আ’ক্রান্ত হচ্ছেন। লিভারের এই রো’গটি প্রাণ সংশয়ের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে।শরীরে চর্বি বিপাকপ্রক্রিয়ার অসামঞ্জস্য এবং ইনসুলিন অকার্যকারিতার জন্য লিভারের কোষগুলোতে অস্বাভাবিক চর্বি, বিশেষ করে ট্রাইগ্লিসারাইড জমে। এতে লিভারের ওজন হিসেবে ৫ থেকে ১০ শতাংশ চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব রয়েছে এ সম’স্যার মূলে। অ্যালকোহল সেবনকারী এবং স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যে এ রো’গে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁ’কি ৭৫ শতাংশ। নারী-পুরুষ উভয়ই এতে আ’ক্রান্ত হতে পারেন। শিশু-কিশোররাও এ থেকে মু’ক্ত নয়।

লিভারে চর্বি বা চর্বিজনিত রো’গ মোটা দাগে দুই রকম অ্যালকোহলজনিত এবং অন্যান্য কারণজনিত। উভয় ক্ষেত্রেই, সাধারণ চর্বি জমা থেকে শুরু করে রো’গটি নানা জটিল ধাপে অগ্রসর হতে পারে, যেমন- লিভারে প্রদাহ, প্রদাহজনিত ক্ষত বা সিরোসিস, লিভারে অকার্যকারিতা ইত্যাদি। অ্যালকোহলজনিত কারণে এ থেকে যে সিরোসিস হয়, তাতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁ’কি বেশি, প্রায় ১০ শতাংশ।যখন এই চর্বিযুক্ত সেলগুলো লিভার টিসুদের বাধা দেয়, তখনই লিভার ধীরে ধীরে কাজ করা ব’ন্ধ করে দেয়। এমন কী এই ধরনের পরিস্থিত তৈরি হলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে লিভার ফুলতেও শুরু করে।

লিভারে মেদ জমা যদি ঠিক সময়ে আটকানো না যায় তাহলে তা থেকে রোগীর মৃ’ত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। লিভারে চর্বি জমার ঝুঁ’কি ও কারণগুলোকে কেবল প্রতিরোধের মাধ্যমেই এ রোগের প্রতিকার সম্ভব। কেননা রো’গটির কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।

তবে আশাহত হবেন না। ঠিক সময়ে যদি চি’কিৎসা শুরু করা যায় তাহলে লিভারের রো’গ থেকে সম্পূর্ণ সু’স্থ হয়ে উঠা যায়। তবে এমন কিছু ঘরোয়া চি’কিৎসা আছে যা অনুসরণ করলে লিভারের চর্বি গলে এই রোগ’ থেকে সম্পূর্ণ সু’স্থ হয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

লেবুপানি :প্রতিদিন লেবু পানি পানের অভ্যাস করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- সি থাকে, যা লিভারকে দূষ’ণমুক্ত করতে সাহায্য করে। গ্রিন-টি :প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এক কাপ করে গ্রিন-টি পান করুন। এটি লিভার ফাংশন ঠিক করতে সাহায়তা করে। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার : এক কাপ গরম পানিতে কেয়েক ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার আগে পান করুন। কয়েক মাস এটা খেলেই দেখবেন লিভারে জমে থাকা চর্বি সব গায়েব হয়ে গেছে।

আদাপানি :এক চা চামচ আদা গুঁড়া গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন। এই পানীয় টানা ১৫ দিন খেলেই দেখবেন অনেক সু’স্থ বোধ করছেন। কারণ এটি লিভারে চর্বি জমার প্রক্রিয়াটি প্রায় ব’ন্ধ করে দেয়। ফলে লিভার আস্তে আস্তে ঠিক হতে শুরু করে। আমলার রস :আমলায় ভিটামিন-সি থাকায় এটি লিভারকে দূষ’ণমুক্ত করে। তাই লিভারের অ’সুখে আ’ক্রান্ত রো’গী যদি টানা ২৫ দিন এই রস, এক চামচ করে প্রতিদিন সকালে খান, তাহলে তিনি দ্রুত সু’স্থ হয়ে উঠবেন।
সোর্স:tnewsbd24

About admin

Check Also

ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা কীভাবে করা হয়

ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা কীভাবে করা হয়

ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা কীভাবে করা হয় গবেষণা বলছে, লাং ক্যান্সার হল সেকেন্ড মোস্ট কমন ক্যান্সার। …