বিহিত না হওয়া পর্যন্ত নিউমার্কেট বন্ধ চান গোলাম রাব্বানী

ঢাকার নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা, গাউছিয়া এলাকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও তাদের অল্পবয়সী স্টাফরা অভদ্র, অশালীন, বাজে ব্যবহার করেন ক্রেতাদের সঙ্গে। ১০০ টাকার জিনিস ১০০০ টাকা বলে আপনাকে দাম বলিয়ে ছাড়বে, পণ্য না নিলে মেয়েদের ইভটিজিং, ছেলেদের অপমানজনক কথা বলে উত্যক্ত করবে, কেনার জন্য বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে।

দোকানদার ও মালিক সমিতির কিছু সংঘবদ্ধ মাস্তান টাইপের লোকের মাধ্যমে এসব করে বেড়ায়। বিগত একযুগে এ সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে বিচার সালিশ মিমাংসা করতে হয়েছে! আর আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও বড় নেতারা তাদের এসব অন্যায় আচরণ প্রশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ উদারপন্থা অবলম্বন করেন।

এদের বাধ্যতামূলক কাউন্সেলিং করিয়ে আচার-ব্যবহার, শালীনতা-ভদ্রতা, ভোক্তা অধিকার প্রভৃতি বিষয় শেখানো এবং মানতে বাধ্য করা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা! ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্মানিত মেয়র মহোদয় এই উদ্যোগটা নিলে খুব ভালো হয়। আর এর একটা বিহিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এবারের ঈদে নিউমার্কেট বন্ধ থাকুক।

গতরাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া চরম অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি। আর নিউমার্কেট থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আমীর হোসেন গত রাতে রেফারির ভূমিকা পালন করার মতো এতটা পাওয়ারফুল?!

(ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ফেসবুক থেকে নেয়া)

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গোলাম রব্বানীর: ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষার্থীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী। আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্ট থেকে তিনি এই আহ্বান জানান।

তিনি লিখেছেন, যার যার অবস্থান থেকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে চলা হামলা, আগ্রাসন ও অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করুন! সাধারণ শিক্ষার্থী, সম্মানিত শিক্ষক ও অসুস্থ রোগীসহ এম্বুলেন্সে হামলা করা পেইড টোকাইদের অরাজকতাকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না! মূল ঘটনা, উস্কানি ও মদদদাতা, গুলি চালানোর নির্দেশদাতা কে বা কারা, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত নিউমার্কেট ও আশেপাশের সব মার্কেট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকুক।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে নিউমার্কেটের দোকানীদের মারধরকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাতভর সংঘর্ষ শেষে ভোর চারটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়ে। চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। নীলক্ষেত থেকে সাইন্সল্যাব পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাস্তায় ইডেন কলেজের ছাত্রীরা: ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মিছিল নিয়ে বেরিয়েছে ইডেন কলেজ ছাত্রীরা। মঙ্গলবার ইডেন কলেজ থেকে বের হয়ে নিউমার্কেটের দুই নম্বর গেইট থেকে ঘুরে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রীরা। এ সময় তারা- উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ঢাকা কলেজে হামলা কেন- ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এর আগে সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের জেরে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে নিউমার্কেট এলাকা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এসময় নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরাও রাস্তায় নেমে আসে। তারাও পাল্টা ধাওয়া দেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের। এসময় উভয়পক্ষর হাতেই দেশীয় অস্ত্র বহন করতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ‘কথা-কাটাকাটির জেরে’ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।

এদিকে মধ্যরাতে সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘অনিবার্য কারণে ১৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স শ্রেণির সকল ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করা হলো। সকল শিক্ষককে সকাল ১০টার মধ্যে কলেজে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’।

ঢাকা কলেজে তোপের মুখে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক: ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে পা রাখতেই তোপের মুখে পড়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য্য। আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে একটি কালো নোহা মাইক্রোবাসে এসে ঢাকা কলেজে আসেন তিনি।

লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা কলেজে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা কলেজ সারাজীবন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে প্রটোকল দিয়ে আসছে অথচ ঢাকা কলেজকে বারবার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আজ ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি থাকলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। পরে ঢাকা কলেজের আবাসিক হল এলাকা থেকে প্রশাসনিক ভবনে আসেন লেখক। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসসর এ.টি.এম মইনুল হোসেনসহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। অধ্যক্ষের কক্ষের বাইরে তখনো শিক্ষার্থীরা লেখকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এর আগে সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুই পক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধের পর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড়-সায়েন্সল্যাব এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।

নিউমার্কেটে রণক্ষেত্র: দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ: ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংর্ঘের ঘটনায় নিউমার্কেট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সোয়া চারটার পর এই সেবা বন্ধ হয়ে যায়।সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর ওই এলাকায় দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয় বলে মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে মঝোতার পড়েও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ১০মিনিটে পাল্টাপালি ধাওয়া শুরু হয়। এর আগে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা সমঝোতায় আসায় বিকাল ৪টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।

জানা গেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ব্যবসায়ীরা উসকানি দিলে শিক্ষার্থীরা আবারও ইট-পাটকেল মারতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে আবারও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এখন আবারও নিউমার্কেট এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সমঝোতার খবরে ক্যাম্পাসের বাইরে বের হতেই হামলার শিকার হন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা। ব্যবসায়ীদের হামলায় আহত দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের ভেতরে নেওয়া হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্যাম্পাস থেকে ফের বেরিয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ফের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়।

এর আগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে নিউমার্কেটের দোকানীদের মারধরকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাতভর সংঘর্ষ শেষে ভোর চারটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়ে। চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। নীলক্ষেত থেকে সাইন্সল্যাব পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে

লাশ হলেও ‘হল’ না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের: রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজের সব আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে এই থমথমে পরিস্থিতিতে হল-ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, যেকোনো মূল্যে হল-ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সোয়া চারটায় ঢাকা কলেজের শহীদ আ. ন. ম নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে সম্মিলিতভাবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের কথা জানান।এ সময় শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণসহ ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এর আগে বিকেলে ৫ মে পর্যন্ত আবাসিক হল বন্ধের নোটিশ দেয় ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ। নোটিশে শিক্ষার্থীদের বিকেলের মধ্যে হল ছাড়তে বলা হয়।

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফুয়াদ হাসান বলেন, প্রয়োজনে আমরা লাশ হয়ে বের হব। তবু হল ক্যাম্পাস ছাড়ব না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে, এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা অধ্যক্ষকে বলেছি সুন্দরভাবে সমাধান করতে। তিনি যদি তা না পারেন, তবে তার পদত্যাগ দাবি করছি।

এর আগে সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও। এরপর মঙ্গলবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তাদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে হাতে লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। বিকেল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।

বুলেট ছোড়ার নির্দেশদাতা এডিসি হারুনের প্রত্যাহার চায় শিক্ষার্থীরা: রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় গতকাল সোমবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা কলেজের ছাত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশের রাবার বুলেট ছোড়ার নির্দেশদাতা উল্লেখ করে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের প্রত্যাহার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলির প্রতিবাদে রাজধানীর নীলক্ষেত ও সাইন্সল্যাব এলাকায় জড়ো হন ঢাকা কলেজসহ সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ঢাকা কলেজের সামনের মিরপুর রোডের নায়েমের গলির সামনে জড়ো হয় বেশ কিছু ছাদ্র।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, এডিসি হারুন অর রশিদ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়ে পুলিশ বাহিনীর সুনাম নষ্ট করছেন। তিনি নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের খুশি করতেই এমনটি করেছেন। তাকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা। নীলক্ষেতে অবস্থানরত সাত কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, আমার ভাইদের ওপর চালানো প্রতিটা বুলেটের জবাব ঠিকভাবে দেবে সাত কলেজ পরিবার। দ্রুত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা হামলাকারী পুলিশের প্রত্যাহার চাই।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ‘কথা-কাটাকাটির জেরে’ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।

এদিকে মধ্যরাতে সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘অনিবার্য কারণে ১৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স শ্রেণির সকল ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করা হলো। সকল শিক্ষককে সকাল ১০টার মধ্যে কলেজে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’