আমাকে বাচাঁও! ওরা আমাকে ঘরে আটকে নির্যাতন ও টর্চার করছে। মোবাইলে পরিবার পরিজনদের কাছে এমন আকুতিই জানাচ্ছেন গত ৪ দিন ধরে নিখোঁজ গৃহবধু রিটা খাতুন (২৬)। সে কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া নদীপাড়া এলাকার মৃত কুদ্দুস শেখের মেয়ে। গত ২৮ জুন বাড়ী থেকে বের হয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারের ভাষ্য, রিটা অপহরনের শিকার হয়েছে।
এ ঘটনার রিটার বোন রুমী বেগম শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ থানাতে একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন। গৃহবধু রিটার বোন রুমী বেগম জানায়, গত ২৮ জুন দুপুর ২ টার দিকে ছোট বোন রিটা বাজারে যাচ্ছে বলে বাড়ী থেকে বের হয়। এরপর সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। আত্মীয় স্বজন বা অন্য কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইলও ফোনটাও বন্ধ পায়। ঘটনার দুই দিন পর ৩০ জুন রাত
সাড়ে ১০ টার দিকে ০১৯৬৬-৯৫২৪৩৩ নং মোবাইল থেকে রিটা তার মা ফাতেমা খাতুনের মোবাইলে কল দেয়। বলছে আমাকে বাঁচাও, ওরা আমাকে একটি ঘরে আটকে অমানুষিক নির্যাতন ও টর্চার করছে।
এ কথা বলতে বলতে ফোনটি কেটে যায়। পরে তারা ওই নাম্বারে একাধিক বার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পায়। পরদিন ১ জুলাই শুক্রবার রাত ১ টার দিকে রিটা তার স্বামী রিংকু ইসলামের মোবাইলে কল দিয়ে বাচার আকুতি জানায়। স্বামী রিংকু ইসলাম জানায়, তার স্ত্রী অপহরনের স্বীকার হয়েছে। এ পর্যন্ত যে নাম্বার গুলো থেকে রিটা কথা বলছে, সেসব নম্বার গুলি পরে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
স্ত্রী তাকে মোবাইলে বলেছে কারা যেন তাকে ধরে বাসে করে ঢাকার গাবতলী টার্মিনালে নামায়। এরপর কোথায় যেন নিয়ে একটি বদ্ধ ঘরে আটকে তার উপর শাররিক নির্যাতন চালাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সর্বশেষ একটি স্মার্ট ফোনের ইমু নাম্বারের ভিডিও কলে রিটাকে দেখতে পায়। এ সময় তাকে আটকে রাখা একটি বদ্ধ ঘরের ছবি দেখিয়ে বার বার বাচাঁর আকুতি জানাচ্ছিল। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্ল্যা জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। গৃহবধুকে উদ্ধারে ইতিমধ্যে পুলিশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।