পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান নতুন আপডেট সাধারণ জ্ঞান : পদ্মা বহুমুখী সেতু পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা। কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। স্বপ্নের এই সেতু নিয়ে আজকের আয়োজন।
১. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম কী? উত্তর : পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।
২. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত? উত্তর : ৬.১৫ কিলোমিটার।
৩. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর প্রস্থ কত? উত্তর : ৭২ ফুটের চার লেনের সড়ক।
৪. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হবে কোথায়? উত্তর : নিচ তলায়।
৫. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট কত কিলোমিটার? উত্তর : ৩.১৮ কিলোমিটর।
৬. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক কত কিলোমিটার? উত্তর : দুই প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার।
৭. প্রশ্ন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন হয়েছে কত কিলোমিটার? উত্তর : দুই পাড়ে ১২ কিলোমিটর।
৮. প্রশ্ন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় কত? উত্তর : মূল সেতুতে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
৯. প্রশ্ন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন ব্যয় কত? উত্তর : ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
১০. প্রশ্ন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে জনবল কতজন? উত্তর : প্রায় ৪ হাজার।
১১. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার কয়টি? উত্তর : ৮১টি।
১২. প্রশ্ন : পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা কত? উত্তর : ৬০ ফুট।
১৩. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা কত? উত্তর : ৩৮৩ ফুট।
১৪. প্রশ্ন : প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং কয়টি? উত্তর : ৬টি।
১৫. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর মোট পাইলিং সংখ্যা কত? উত্তর : ২৬৪টি।
১৬. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে কবে? উত্তর : ২০২২ সালের জুন মাসে।
১৭. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুতে কী কী থাকবে? উত্তর : গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন পরিবহন সুবিধা।
১৮. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর ধরন কেমন? উত্তর : দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতু কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে নির্মিত হবে।
১৯. প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা কত? উত্তর : ৪২টি।
২০. প্রশ্ন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম কী? উত্তর : চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু : বিশ্বের উত্তাল নদীগুলোর মধ্যে পদ্মা অন্যতম। পানিপ্রবাহের দিক থেকে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী পদ্মা। এ ধরনের খরস্রোতা নদীতে এর আগে সেতু নির্মাণ হয়নি। পানিপ্রবাহের দিক থেকে পদ্মার প্রবাহ বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। নদীর তলদেশে ব্রিজের যে কাজ হবে সেখানে পদ্মার পানিপ্রবাহ আমাজন নদীর পরেই। এই হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পানিপ্রবাহের মধ্যে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো একটি স্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া সাহসী কাজ। পদ্মা বহুমুখী সেতু ‘বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মর্যাদা পাবে’। ★ পদ্মায় প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৪০ হাজার কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয়। এমন একটি নদীর উপর সেতু নির্মাণ খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৬ দশমিক ১৫ কি:মি এর দ্বিতল সেতুতে উপরের তলায় চার লেনের সড়ক এবং নিচের তলায় ট্রেন লাইন থাকবে। নির্মাণ শেষে ২০১৮ সালের শেষ দিকে গাড়ি চলবে পদ্মার বুকে।
★ পদ্মা সেতু ফাউন্ডেশন ও টেকনিক্যাল দিক বিবেচনায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু হতে যাচ্ছে। কাজটা খুবই কঠিন। এই কাজ সফলভাবে বাস্তবায়নের পথে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। অবকাঠামোগত দিক দিয়েও বৃহত্তম প্রকল্প এটি। ২০০৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে ১০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি বাজেটে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। এরপর দুই দফা সংশোধন হয়ে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার বাজেটে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এই কাজে চ্যালেঞ্জের শেষ নেই। যে সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছিল, এখন তার সঙ্গে নতুন নতুন বিষয়ও যোগ হচ্ছে। প্রকল্পটি সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়ায় কঠিন হলেও সুন্দরভাবে কাজ চলছে। যমুনা নদীর উপর হওয়া ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু সেতু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু। প্রকল্প পরিকল্পনা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হলে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পাবে নতুন গর্বের স্থাপনা পদ্মা বহুমুখী সেতু।
★ প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের এই সেতু দিয়ে ঢাকাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলা। ★ এই সেতু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে, প্রতিবছর ০.৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হবে।
★পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশে অনেকে ‘স্বপ্নের সেতু’ বলে বর্ণনা করছেন। বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন। পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হলে খুলনা, বরিশাল সহ পুরো দক্ষিনবঙ্গের সাথে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে । মূল সেতুটি দোতলা হবে । পদ্মা নদীর উপর নির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন আর নিচে দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। এশিয়ান হাইওয়ের পথ হিসেবেও সেতুটি ব্যবহৃত হবে। লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এর সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে।
★ পদ্মার ওপর এরকম সেতু অনেকের কল্পনারও বাইরে ছিল। কিন্তু এটি নির্মাণের কাজটি সহজ হবে না। বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল এবং প্রমত্তা নদীগুলোর একটি পদ্মা। এর দুই তীরকে সেতু দিয়ে বাঁধতে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে প্রকৌশলীদের : ১) পদ্মা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল এবং প্রমত্তা নদীগুলোর একটি। এই নদীর যে জায়গায় সেতুটি নির্মিত হবে, সেখানে নদী প্রায় ৬ কি:মি প্রশস্ত। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬.১৫ কি:মি। এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার কোন নদীর ওপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু।
২) পদ্মা সেতু শুধু মাত্র সড়ক সেতু নয়। একই সঙ্গে এই সেতুর ওপর দিয়ে যাবে ট্রেন। এছাড়াও যাবে গ্যাস পাইপ লাইন এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। দুই তলা ব্রীজের ওপর দিয়ে যাবে গাড়ী, আর সেতুর নীচের লেভেলে থাকবে ট্রেন লাইন। ৩) পদ্মা এক অস্থির নদী। দুই তীরে ভাঙ্গাগড়া চলে প্রতি বছর। বর্ষাকালে পদ্মা নদীতে স্রোতের বেগ এত বেশি থাকে যে, সেতুর নকশা করার সময় প্রকৌশলীদের কাছে এটি এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । একদিকে গঙ্গা, আরেকদিকে ব্রহ্মপুত্র দক্ষিণ এশিয়ার এই দুটি বিশাল এবং দীর্ঘ নদীর অববাহিকার পানি এই পদ্মা দিয়েই বঙ্গোপসাগরে নামছে। উজান থেকে নেমে আসা এই স্রোতের ধাক্কা সামলাতে হবে ব্রীজটিকে। সেই সঙ্গে নদীর দুই তীরে নদীশাসনে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হবে। ৪) বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পলি বহন করে এই দুই নদী। বলা যেতে পারে এই দুই নদীর পলি জমেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের অনেকখানি অঞ্চল। এই সেতুর নকশা করার ক্ষেত্রে এই নদী বাহিত পলির বিষয়টিকে বিবেচনায় নিতে হয়েছে প্রকৌশলীদের।
৫) পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে এমন এক অঞ্চলে যেখানে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও আছে। এ নিয়ে সেতুর নকশা তৈরির আগে বিস্তর সমীক্ষা করা হয়েছে। কিছু সমীক্ষা করেছে বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। সেতুর নকশাটিকে এজন্যে ভূমিকম্প সহনীয় করতে হয়েছে। ৬) পদ্মা সেতুর ভিত্তির জন্য পাইলিং এর কাজ করতে হবে নদীর অনেক গভীরে। বিশ্বে কোন নদীর এতটা গভীরে গিয়ে সেতুর জন্য পাইলিং এর নজির খুব কম। প্রকৌশলীদের জন্য এটাও এক বড় চ্যালেঞ্জ। ৭) এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প। খরচ হবে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এটি করছে। বিদেশি সাহায্য ছাড়া নিজের খরচে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের নজির বাংলাদেশে আর নেই।
★★★ বিশ্বে দীর্ঘতম সেতু হিসেবে কততম স্থান দখল করে নিয়েছে পদ্মা সেতু? ★ বঙ্গবন্ধু সেতুকে টপকে বিশ্বে দীর্ঘতম সেতু হিসেবে এগারো তম স্থান দখল করে নিয়েছে পদ্মা সেতু।
★★★ পদ্মা সেতুর সংক্ষিপ্ত বিবরণ : ★ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ৫টি ভাগে বিভক্ত। এরমধ্যে রয়েছে:- মূল সেতু, নদী শাসন, দু’টি লিংক রোড এবং অবকাঠামো (সার্ভিস এলাকা) নির্মাণ।এর মধ্যে মূল নির্মাণ কাজ পাইলিং ও নদীশাসন। প্রকল্পের নামঃ পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্প। প্রকল্পের বিভিন্ন উপাঙ্গসমূহঃ ক) মূল সেতু খ) নদীশাসন কাজ গ) জাজিরা সংযোগ সড়ক ও আনুসঙ্গিক সুযোগ সুবিধা ঘ) মাওয়া সংযোগ সড়ক ও আনুসঙ্গিক সুযোগ সুবিধা ঙ) সার্ভিস এরিয়া-২ চ) পুনর্বাসন ছ) পরিবেশ জ) ভূমি অধিগ্রহণ ঝ) সিএসসি (মূল সেতু ও নদীশাসন) ঞ) সিএসসি (সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২) ট) ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট এন্ড সেফটি টিম (ইএসএসটি)
★★★ মূল সেতু দৈর্ঘ্য : ৬.১৫ কি:মি: ★ ঠিকাদার : চায়না মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন, চায়না। ★ চুক্তির মেয়াদ : ৪ বছর+১ বছর (রক্ষণাবেক্ষন)। ★ চুক্তি মূল্য : ১২,১৩৩.৩৯ কোটি টাকা। ★ চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ : জুন ১৭, ২০১৪। ★ কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ : নভেম্বর ২৬, ২০১৪। ★ কাজের অগ্রগতি : যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সামগ্রী সাইটে আনায়ন, সেতুর test pile এবং channel dredgingসহ ঠিকাদারের আবাসন, stack yard, casting yard ইত্যাদি নির্মাণ এর কার্যক্রম চলমান আছে।
★★★ নদীশাসন কাজ দৈর্ঘ্যে : ১৪ কি:মি: ★ ঠিকাদার : সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড, চায়না। ★ চুক্তির মেয়াদ : ৪ বছর+১ বছর (রক্ষণাবেক্ষন)। ★ চুক্তি মূল্য : টাকা ৮,৭০৭.৮১ কোটি। ★ চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ : নভেম্বর ১০, ২০১৪। ★ কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ : ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪। ★ কাজের অগ্রগতি : জমি হস্তান্তর, যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সামগ্রী সাইটে আনায়ন, নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ ও ঠিকাদারের আবাসন, stack yard, casting yard ইত্যাদি নির্মাণ এর কার্যক্রম চলমান আছে।
★★★জাজিরা সংযোগ সড়ক ও আনুসঙ্গিক সুযোগ সুবিধা: ★ ঠিকাদার : এএমএল-এইচসিএম(জেভি) ★ চুক্তির মেয়াদ : ৩ বছর+১ বছর (রক্ষণাবেক্ষন) ★ চুক্তি মূল্য : টাকা ১০৯৭.৪০ কোটি। ★ কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ : অক্টোবর ০৮, ২০১৩।
★★★ মাওয়া সংযোগ সড়ক ও আনুসঙ্গিক সুযোগ সুবিধা : ★ ঠিকাদার : এএমএল-এইচসিএম(জেভি) ★ চুক্তির মেয়াদ : ২.৫ বছর+১ বছর (রক্ষণাবেক্ষন) ★ চুক্তি মূল্য : টাকা ১৯৩.৪০ কোটি। ★ কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ : জানুয়ারী ২৭, ২০১৪।
★★★ সার্ভিস এরিয়া-২:- ★ ঠিকাদার : আব্দুল মোনেম লিমিটেড। ★ চুক্তির মেয়াদ : ২.৫ বছর+১ বছর (রক্ষণাবেক্ষন) ★ চুক্তি মূল্য : টাকা ২০৮.৭১ কোটি। ★ কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ : জানুয়ারী ১২, ২০১৪।
★★★ পুনর্বাসন : ★ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের মাঝে জমির মোট অতিরিক্ত বদলীমূল্য প্রদান : টাকা ৫০০.৭১ কোটি টাকা (৩১/১২/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত)। ★ মোট প্লটের সংখ্যা : ২৬৯৮টি। ★ আবাসিক প্লটের সংখ্যা : ২৬১৮টি। ★ বানিজ্যিক প্লটের সংখ্যা : ৮০টি।
★★★ পরিবেশ : ★ ২০১২ সাল থেকে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং অদ্যাবধি মোট ৫৫,১৫০টি বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। ★★★ ভূমি অধিগ্রহণ : ★প্রকল্পের জন্য মোট ১৪০৮.৫৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
★★★ সিএসসি(মূল সেতু ও নদীশাসন) : ★ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান : কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন, দক্ষিণ কোরিয়া ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ★ চুক্তির মেয়াদ : ৪ বছর+১ বছর (রক্ষণাবেক্ষন)। ★ চুক্তি মূল্য : টাকা ৩৮৩.১৫ কোটি। ★ চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ : নভেম্বর ০৩, ২০১৪। ★ কাজের অগ্রগতি : মূল সেতু ও নদীশাসন এর নির্মাণ কাজ তদারকীর জন্য জনবল deployment সহ তদারকী কাজ চলমান আছে। সিএসসি (সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২): ★ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান : স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেসনস(এসডব্লিউও- ওয়েষ্ট), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সহযোগীতায় বিআরটিসি, বুয়েট। ★ চুক্তির মেয়াদ : ৩ বছর+১ বছর (রক্ষণাবেক্ষন) ★ চুক্তি মূল্য : টাকা ১৩৩.৪৯ কোটি। ★ কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ : অক্টোবর ১৩, ২০১৩। ★ ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট এন্ড সেফটি টিম (ইএসএসটি): বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ★ চুক্তির মেয়াদ : ৪ বছর+১ বছর (রক্ষণাবেক্ষন)। ★ চুক্তি মূল্য : টাকা ৭২.১৪ কোটি। ★ কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ : অক্টোবর ১৩, ২০১৩।
★★★ একনজরে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প : বাহক : যানবাহন, ট্রেন। ক্রস : পদ্মা নদী। স্থান : লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এর সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর। উপাদান : কংক্রিট, স্টিল। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য : ৬.১৫ কি:মি (৬,১৫০ মি/২০,১৮০ ফুট)। প্রস্থ : ১৮.১০ মি (৫৯.৪ ফুট)। দ্বিতীয় তলায় (আপার ডেকে) ৭২ ফুটের চার লেনের সড়ক। রেললাইন : নিচতলায় (লোয়ার ডেকে) ডাবল গেজ। পিলার সংখ্যা : ৪২ (নদীতে ৪০ টি)। ভায়াডাক্ট : দুই প্রান্তে সর্বমোট ৩.১৮ কি:মি। ভায়াডাক্ট পিলার : ৮১ টি। পানির স্তর থেকে উচ্চতা : ৬০ ফুট। পাইলিং গভীরতা : ৩৮৩ ফুট। প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং : ৬ টি। মোট পাইলিং সংখ্যা : ২৬৪ টি। সংযোগ সড়ক : দুই প্রান্তে ১৪ কি:মি। প্রকল্পের মোট ব্যায় : ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। মূল সেতুতে ব্যায় : ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। নদীশাসন ব্যায় : ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অন্যান্য ব্যায় : ৭ হাজার ৯৫২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। নির্মানকারি প্রতিষ্ঠান : চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিঃ জনবল : প্রায় ৪ হাজার। নির্মান কাজ শুরু : ডিসেম্বর ১২, ২০১৫ নির্মানকাজ শেষ : ২০১৮ (সম্ভাব্য)। উদ্ভোধন : ডিসেম্বর, ২০১৮ (সম্ভাব্য)। স্থানাঙ্ক : ২৩°২৫′২১″ উত্তর ৯০°১৮′৩৫″ পূর্ব। ভাল লাগলে শেয়ার করেন লাইক কমেন্ট করেন।
২০১৯ সালে পদ্মা সেতুতে করা কাজ সমূহ । পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
১৯ এর ২০ ফেব্রুয়ারি জাজিরা প্রান্তে বহুমুখি পদা সেতুর ৩৫ এবং ৩৬ নাম্বার পিলারের উপর অষ্টম স্প্যান বসাতে সক্ষম হয় কত্রিপক্ষ। এর কিছু দিন পর ২২ মার্চ ৩৪ এবং ৩৫ নাম্বার পিলারের উপর বসাতে সক্ষম হয় সেতুতির নবম স্প্যানটি।
এরপরে মাওয়া প্রান্তে ১০ই এপ্রিল ১৩ এবং ১৪ নাম্বার পিলারের উপর দশম স্প্যান বসাতে সক্ষম হয় পদ্মা সেতু কত্রিপক্ষ। পরবর্তীতে ২৩ এপ্রিল শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ১১ তম স্প্যান বসান হয় সেতুটির ৩৩ এবং ৩৪ নাম্বার পিলারের উপর।
১৭ মে মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তের মাঝামাঝি স্থানে ১২ তম স্প্যান বসানো হয় ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর।
চলতি বছরের ২৫ মে ১৩ তম স্প্যান বসে সেতুর ১৪ এবং ১৫ নম্বর পিলারের ওপর।
২৯ জুন বসানো হয় পদ্মা বহুমুখী সেতুর ১৪তম স্প্যান।
এরপরে অক্টোবরের ২২ তারিখে জাজিরা প্রান্তে ২৪ এবং ২৫ নম্বর পিলারের ওপর পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসাতে সক্ষম হয়।
২৭ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তে ১৬ এবং ১৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় সেতুর ১৬ তম স্প্যান।
এই বছরের শেষ দিকে ৫ ডিসেম্বর ২২ এবং ২৩ নাম্বার পিলারের ওপর মূল সেতুর ১৭তম স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হয়।
পদ্মা সেতুর ১৮তম স্প্যান বসানো হয় ১১ ডিসেম্বর।
১৮ ডিসেম্বর সেতুর ১৯তম স্প্যান বসানো হয়।
৩১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ এর মাওয়া প্রান্তে ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের উপরে বসানো হয়। পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান। ধূসর রঙের ‘৩-এফ’ নম্বরের স্প্যানটি খুঁটির উপরে বসানো হয় এই দিনে।
২০২০ সালে পদ্মা সেতুতে করা কাজ সমূহ । পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
এ বছরের ১৪ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩২ এবং ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর সেতুটির ২১তম স্প্যান বসানো হয়।
২৩ জানুয়ারি মাওয়া প্রান্তে পিলার নাম্বার ৫ এবং ৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় সেতুটির ২২তম স্প্যান।
২ ফেব্রুয়ারি সেতুর ২৩তম স্প্যান বসানো হয়।
১১ ফেব্রুয়ারি ২৪ তম স্প্যান বসে দেশের শীর্ষ সেতু পদ্মা সেতুর উপর।
২১ ফেব্রুয়ারি ২৫তম স্প্যান বসাতে সক্ষম হন ইঞ্জিনিয়াররা।
পরবর্তীতে মার্চের ১০ তারিখে পদ্মা সেতুর ২৬তম স্প্যান বসানো হয়। শরীয়ত পুরের জাজিরা প্রান্তে ২৮ এবং ২৯ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় এই স্প্যান।
২০ এপ্রিল ২৭ এবং ২৮ নাম্বার পিলারের ওপর বসানো হয় ২৭তম স্প্যান।
এর পরবর্তীতে ১১ এপ্রিল জাজিরা প্রান্তে বসানো হয় ২৮তম স্প্যান।
৪ মে মাওয়া প্রান্তের সেতুর উপর ১৯ ও ২০তম পিলারের ওপর ‘৪ এ’ আইডি নম্বরের সেতুর ২৯তম স্প্যান বসাতে সক্ষম হয়।
৩০ মে জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৬ এবং ২৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় পদ্মা বহুমুখী সেতুর ৩০তম স্প্যান।
১০ জুন পদ্মা সেতুর স্প্যান নাম্বার ৩১ বসানো হয়। সেতুর ২৫ এবং ২৬ নম্বর পিয়ারে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৫- এ স্প্যানটি বসানো হয়।
১১ অক্টোবর পদ্মা সেতুতে বসানো হয় ৩২ নাম্বার স্প্যানটি।এই স্প্যানটি পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে প্রথম দিন বসানো সম্ভব না হলেও প্রকৌশলীদের প্রচেষ্টায় দ্বিতীয় দিনে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ৪ এবং ৫ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। বন্যা ও পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যানটি বসানো হয় এর চার মাস পর।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে আরও তথ্য ও সাধারণ জ্ঞান
অক্টোবরের ২০ তারিখ বসানো হয় সেতুর ৩৩ তম স্প্যান।
অক্টোবরের ২৫ তারিখে সেতুর ৩৪তম স্প্যান বসানো হয় সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৭ এবং ৮ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান ২ – এ।
পরবর্তীতে ৩১ অক্টোবর ৩৫তম স্প্যান বসানো হয় মাওয়া প্রান্তে ৮ এবং ৯ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান ২-বি তে।
৬ নভেম্বর পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান বসানো হয় সেতুর মাওয়া প্রান্তের ২ এবং ৩ নম্বর পিলারের ওপর।
১৩ নভেম্বর ৩৭তম স্প্যান ‘২- সি’ মুন্সীগঞ্জে মাওয়া প্রান্তে ৯ এবং ১০নং পিলারের ওপর বসাতে সক্ষম হয়।
২১ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১ এবং ২ নম্বর পিলারের ওপর সেতুর ৩৮তম স্প্যানটি সফলভাবে বসাতে পারে কত্রিপক্ষ।
২৭ নভেম্বর ৩৯ তম স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন করতে পারে কত্রিপক্ষ।এই স্প্যানটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১০ এবং ১১ নাম্বর পিলারের ওপর এই ‘টু -ডি’ স্প্যানটি বসানো হয়।
এবং সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ৪০তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সেতুর ছয় হাজার মিটার পদ্মা বহুমুখী সেতু।
১০ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ১২ এবং ১৩ তম পিলারে ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সম্পূর্ণ পদ্মা সেতু অর্থাৎ পদ্মা বহুমুখী সেতু।
২০২১ সালে পদ্মা সেতুতে করা কাজ সমূহ । পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
২০২১ সালের ২৩ আগস্ট পদ্মা বহুমুখী সেতুতে সর্বশেষ সরক স্লাব বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে সেতুটির কাজ আরও একধাপ শেষ করেন প্রকৌশলীরা।
২০২২ সালে পদ্মা সেতুতে করা কাজ সমূহ । পদ্মা সেতুর সর্বশেষ খবর
২০২১ সালের কাজের পর সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ, ল্যাম্প পোস্ট বসানো হয় ২০২২ সালের প্রথম দিক থেকে এখন পর্যন্ত।
পদ্মা সেতুর সর্বশেষ খবর জানতে এখন অনেকে আগ্রহি।
সর্বশেষ তথ্য মতে চলতি এই বছরের ২৫ জুন বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্ভোদন করার কথা থাকলেও সীতাকুণ্ড ট্রাজেডিতে পদ্মা সেতু উদ্ভোদনের টাকা দিয়ে দেশে আধুনিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কিনতে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
আমাদের মানিনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জুন ২০২২ তারিখে পদ্মা সেতু উদ্ভোদন করবেন।
এখন দেখার বিষয় হচ্ছে সীতাকুণ্ড কন্টেনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডে পদ্মা সেতু উদ্ভোদনের তারিখ পূর্বের নির্ধারিত তারিখে ঠিক থাকে কিনা।
পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ | পদ্মা সেতু টোল রেট বিস্তারিত: পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ সম্পর্কে এই পোস্টে আপনাকে জানবো। কেননা বাংলাদেশের দক্ষিণা অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে ২৫ জুন ২০২২। তাই পদ্মা সেতু টোল রেট ২০২২ বিস্তারিত জানতে অনেকেই এখন থেকে গুগল সার্চ করে থাকেন। আপনারা যারা পদ্মা পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে যাতায়াত করতে থাকেন তাদের পদ্মা সেতুর টোল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা জরুরী।
চলের প্রমত্ত পদ্মার ওপর নির্মিত হবে একটি সেতু, এতে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিন-পশ্চিমের যোগাযোগে উন্মাচিত হবে নতুন সম্ভবনা এ স্বপ্ন বহুদিনের। যা এখন বাস্তবে পরিণিত।
নিজস্ব অর্থায়ন হলেও আমাকে আপনাকে এই টাকার দায় বহন করতে হবে না। যারা পদ্মা সেতু ব্যবহার করবে তাদেরকে এই সুবিধা ভোগের বিনিময়ে সেতু নির্মাণ ব্যয় পরিশোধ করতে হবে।
পদ্মা সেতু তৈরিতে খরচ কত টাকা?
পদ্মা সেতুর টোলের তালিকা
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর টোলের তালিকা
পদ্মা সেতু তৈরিতে খরচ হয় বা মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা অনুদান এবং ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ঋণ।
কত % সুদের হারে পদ্মা সেতুর উপর ঋণ নেওয়া হয়েছে
অর্থ বিভাগ তথা বাংলাদেশ সরকার ২% সুদে ঋণ গ্রহণ করে সেতু কর্তৃপক্ষকে ১% সুদে ঋণ দিয়েছে। অর্থ বিভাগের নিজস্ব বিনিয়োগ ৬০২ কোটি টাকা।ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩৫ বছর। প্রতি মাসে শোধ করতে হবে ৮২৬ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতুর ঋণপরিশোধের মাধ্যম কি
পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধের মাধ্যম হচ্ছে টোল। বর্তমানে পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ প্রকাশ করা হয়েছে।
এবং কোন যানবাহন থেকে কত টাকা টোল নেয়া হবে তা নির্ধারণ করেছে সরকার। জানিয়ে চলছে না মহলে আলোচনা সমালচনা।
পদ্মার ফেরি ভাড়া ও সেতুর টোল
পদ্মা সেতু টোল রেট বিস্তারিত
পদ্মা সেতু টোল রেট বিস্তারিত
বর্তমানে পদ্মা নদী পার হতে ফেরিতে যানবাহন ভেদে ভাড়া দিতে হয় ৭০ থেকে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা প্রায়।
পদ্মা সেতুতে যানবাহন ভেদে টোল দিতে হবে ১০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা।
ফেরিতে করে পদ্মা পাড় হতে যে পরিমাণ টোল আদায় করা হত সেই হিসাবে পদ্মা সেতুতে টোল বৃদ্ধির হার ৪২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৫১ শতাংশ।
পদ্মা সেতু পার হওয়ার জন্য যানবাহনের যে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি এতদিনকার ফেরি সার্ভিসের দেড়গুণ এবং যমুনা নদীর ওপরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলের প্রায় দ্বিগুণ।
তবে এই বিষয়ে ভিন্ন মহলের কথা সরকারকে শুনতে হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর টোলের তালিকা ২০২২
যানবাহন টোল:
মোটরসাইকেল: ১০০
কার/জিপ: ৭৫০
পিকআপ: ১,২০০
মাইক্রোবাস: ১,৩০০
ছোট বাস :১,৪০০
মাঝারি বাস: ২,০০০
বড় বাস: ২,৪০০
ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত): ১,৬০০
মাঝারি ট্রাক (৫-৮ টন): ২,১০০
মাঝারি ট্রাক (৮-১১ টন): ২,৮০০
ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত): ৫,৫০০
পদ্মা সেতু ব্যবহারকারী ১৩ রুটের বাস ভাড়া নির্ধারণ পদ্মা সেতু ব্যবহারকারী ১৩ রুটের বাস ভাড়া তালিকা
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করে এমন ১৩ রুটের ভাড়ারপদ্মা সেতুর টোল সমন্বয় করে ভাড়া ১০ থেকে ১১ টাকা বাড়ানো হবে।
তবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য সরকার টোল আরোপ শুরু করলে বাস ভাড়া আবারো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য সরকার টোল আরোপ করলে,যেভাড়া নির্ধারন হতে পারে।
ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুর-বরিশালের ভাড়া ৪১২ টাকা,
ঢাকা-রাজৈর-গোপালগঞ্জের ভাড়া ৫০৪ টাকা,
ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনার ভাড়া ৬৪৯ টাকা,
ঢাকা-জাজিরা-শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৮ টাকা,
ঢাকা-বরিশাল-পিরোজপুরের ভাড়া ৫৩৪ টাকা,
ঢাকা-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট-পিরোজপুরের ভাড়া ৬২৮ টাকা,
ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালীর ভাড়া ৫০১ টাকা,
ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুরের ভাড়া ৩২৭ টাকা,
ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা-সাতক্ষীরার ভাড়া ৬৩৩ টাকা,
ঢাকা-ভাঙ্গা-ফরিদপুরের ভাড়া ২৮৮ টাকা,
ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-ভোলা-চর ফ্যাশনের ভাড়া ৬৫৩ টাকা,
ঢাকা-বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু-শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৯ টাকা,
এবং ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটার ভাড়া ৬৯৪ টাকা হবে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত টোলহার সেতু চালুর ১৫ বছরের জন্য প্রযোজ্য হবে।
প্রতি ১৫ বছর পরপর টোলের হার ১০ শতাংশ করে বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
দেশের দুই প্রধান সেতু ও পদ্মা নদীর ফেরিটোলের হিসাব-নিকাশ ও পার্থক্য
সেতু বিভাগের প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে বিভিন্ন যানবাহনের জন্য সরাকার যে পদ্মা সেতুর টোল তালিকা প্রকাশ করেছে তা জানিয়েছি।
পদ্মা সেতু টোল রেট বিস্তারিত ও গাড়ির ভাড়া জানার পর আপনাকে এই বিষয়ে আরাও বিস্তারির জানাবো।
পদ্মা সেতুর মোটরসাইকেলের টোল
একটি মোটরসাইকেলকে পদ্মা সেতু পাড় হতে দিতে হবে ১০০ টাকা।
মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ফেরি পার হতে এই খরচ ৭০ টাকা।
পদ্মার তুলনায় দৈর্ঘ্যে অর্ধেক বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে মোটরসাইকেলের খরচ ৫০ টাকা।
দৈর্ঘ্যের হিসাবে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের টোল দাঁড়াচ্ছে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা ৭৫ পয়সা।
আর বঙ্গবন্ধু সেতুতে তার পরিমাণ ১০ টাকা ১৫ পয়সা।
সেই হিসাবে পদ্মা পাড়ি দিতে যমুনার তুলনায় মোটরসাইকেলকে প্রতি কিলোমিটারে বেশি দিতে হবে ৬০ পয়সা।
পদ্মা সেতুর প্রাইভেট কার ও সাধারণ জিপে টোল
পদ্মা পাড়ি দিতে প্রাইভেট কার ও সাধারণ জিপে টোল ঠিক করা হয়েছে ৭৫০ টাকা।
ফেরিতে বর্তমানে এই ধরনের গাড়ি পারাপারে দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। যমুনা পাড়ি দিতে পদ্মার তুলনায় অর্ধেক দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু সেতুর ক্ষেত্রে এই টোলের পরিমাণ ৫৫০ টাকা।
সে ক্ষেত্রে প্রাইভেট কারে যমুনা পাড়ি দিতে কিলোমিটারপ্রতি খরচ ১১১ টাকা ৬১ পয়সা।
আর পদ্মা সেতুতে কিলোমিটার প্রতি খরচ ৮০ টাকা ৬৬ পয়সা।
পদ্মা সেতুতে টোল প্রতি কিলোমিটারে কম ৩০ টাকা ৯৫ পয়সা।
পদ্মা সেতুর পিকআপ ও বিলাসবহুল জিপের টোল
পিকআপ ও বিলাসবহুল জিপ পারাপারে ফেরিতে দিতে হচ্ছে ৮০০ টাকা। পদ্মা সেতু পার হতে সেই টোলের পরিমাণ ১ হাজার ২০০ টাকা।
পদ্মার তুলনায় অর্ধেক বঙ্গবন্ধু সেতুতে এই টোল ৬০০ টাকা।
সেই হিসাবে এই ধরনের গাড়িতে পদ্মা সেতুতে কিলোমিটারপ্রতি টোল খরচ ১২৯ টাকা ৬ পয়সা।
আর বঙ্গবন্ধু সেতুতে তা ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ পিকআপ ও বিলাসবহুল জিপে পদ্মা সেতুতে কিলোমিটারে খরচ বাড়ছে ৭ টাকা ৩১ পয়সা।
পদ্মা সেতুর মাইক্রোবাসে টোল
মাওয়া প্রান্তে মাইক্রোবাস পারাপারে ফেরিতে লাগে ৮৬০ টাকা। সেটি বাড়িয়ে পদ্মা সেতুতে করা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা।
অর্ধেক দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু সেতুতে মাইক্রোবাসের খরচ লাগে ৭৫০ টাকা। সেই হিসাবে পদ্মা সেতুতে মাইক্রোবাসে প্রতি কিলোমিটারে টোল ১৩৯ টাকা ৮২ পয়সা।
আর বঙ্গবন্ধু সেতুতে তার পরিমাণ ১৫২ টাকা ১৯ পয়সা। অর্থাৎ মাইক্রোবাসে পদ্মা সেতুতে কিলোমিটার হিসাবে বঙ্গবন্ধু সেতুর তুলনায় খরচ কমে আসবে ১২ টাকা ৩৭ পয়সা।
পদ্মা সেতুর ৩১ আসন বা এর কম আসনের ছোট বাসের টোল
৩১ আসন বা এর কম আসনের ছোট বাসের জন্য পদ্মা সেতুতে দিতে হবে ১ হাজার ৪০০ টাকা। ফেরিতে এসব গাড়িকে দিতে হচ্ছে ৯৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যমুনা পাড়ি দিতে এই ধরনের বাসকে দিতে হচ্ছে ৭৫০ টাকা।
তার মানে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৩১ বা এর কম আসনের ছোট বাসের জন্য কিলোমিটার প্রতি টোল আসে ১৫২ টাকা ১৯ পয়সা।
আর পদ্মা সেতুতে আসে ১৫০.৫৭ টাকা। এ ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুতে কিলোমিটারে খরচ কম পড়বে ১ টাকা ৬২ পয়সা।
পদ্মা সেতুর মাঝারি বাসের টোল
মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে মাঝারি বাসকে ফেরিতে দিতে হয় ১ হাজার ৩৫০ টাকা। পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপারে তা লাগবে ২ হাজার টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যমুনা পাড়ি দিতে এই ধরনের বাসকে দিতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা।
অর্থাৎ পদ্মা সেতুতে মাঝারি বাসের খরচ পড়বে কিলোমিটারে ২১৫ টাকা ১০ পয়সা।
বঙ্গবন্ধুতে এই খরচ কিলোমিটারে ২০২ টাকা ৯৩ পয়সা।
ফলে পদ্মায় বাসমালিকদের খরচ বাড়ছে প্রতি কিলোমিটারে ১২ টাকা ১৮ পয়সা।
পদ্মা সেতুর বড় বাসের টোল
পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ সম্পর্কে অনেকের ভিন্ন মোট রয়েছে। তবে পদ্মা সেতু টোল রেট বিস্তারিত আপনার কাছে কেমন লেগেছে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।
মাওয়া প্রান্ত দিয়ে বড় বাসে ফেরিতে পদ্মা পারাপারে লাগছে ১ হাজার ৫৮০ টাকা। সেতুতে লাগবে ২ হাজার ৪০০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতুতে এই ধরনের বাসে খরচ পড়ে ১ হাজার টাকা। অর্থাৎ পদ্মা সেতুতে বড় বাসের খরচ পড়বে কিলোমিটারে ২৫৮ টাকা ১২ পয়সা।
বঙ্গবন্ধুতে এই খরচ ২০২ টাকা ৯৩ পয়সা। ফলে পদ্মায় বড় বাসমালিকদের খরচ বাড়ছে প্রতি কিলোমিটারে ৫৫ টাকা ১৯ পয়সা।
পদ্মা সেতুর ৫ টনের ট্রাকের টোল
পদ্মা সেতুতে ৫ টনের ট্রাক এ সেতু পাড়ি দিলে গুনতে হবে ১ হাজার ৬০০ টাকা। পাঁচ টন পর্যন্ত এই ট্রাক পারাপারে ফেরিতে দিতে হচ্ছে ১ হাজার ৮০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতুতে এই ধরনের ট্রাক পারাপারে টোল দিতে হয় ১ হাজার টাকা।
অর্থাৎ পদ্মা সেতুতে পাঁচ টনের ট্রাকের খরচ পড়বে কিলোমিটারে ১৭২ টাকা ৮ পয়সা।
বঙ্গবন্ধুতে এই দূরত্বের খরচ ২০২ টাকা ৯৩ পয়সা। ফলে পদ্মা সেতুতে ছোট ট্রাকে খরচ কমছে প্রতি কিলোমিটারে ৩০ টাকা ৮৫ পয়সা।
পদ্মা সেতুর পাঁচ টন থেকে আট টনের মাঝারি ট্রাকের টোল
পাঁচ টন থেকে আট টনের মাঝারি ট্রাকের জন্য পদ্মা সেতুতে দিতে হবে ২ হাজার ১০০ টাকা, ফেরিতে লাগছে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
একই আকারের ট্রাকের জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুতে দিতে হয় ১ হাজার ২৫০ টাকা।
এই হিসাবে পদ্মা সেতুতে পাঁচ থেকে আট টনের ট্রাকে টোলের খরচ পড়বে কিলোমিটারে ২২৫ টাকা ৮৬ পয়সা।
বঙ্গবন্ধুতে এই দূরত্বের খরচ ২৫৩ টাকা ৬৫ পয়সা।
অর্থাৎ পদ্মা সেতুতে এই ধরনের ট্রাতে কিলোমিটারপ্রতি কম নেয়া হচ্ছে ২৭ টাকা ৭৯ পয়সা।
পদ্মা সেতুর ৮ টন থেকে ১১ টনের মাঝারি ট্রাকের টোল
পদ্মা সেতুতে ৮ টন থেকে ১১ টনের মাঝারি ট্রাকের টোল ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
ফেরিতে এই ধরনের গাড়ি পারাপারে লাগছে ১ হাজার ৮৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতুতে এই গাড়িগুলোকে টোল হিসেবে দিতে হয় ১ হাজার ৬০০ টাকা।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে মাঝারি ট্রাকে প্রতি কিলোমিটারে পদ্মা সেতুর খরচ ৩০১ টাকা ১৪ পয়সা।
বঙ্গবন্ধুর সেতুতে এই খরচ ৩২৪ টাকা ৬৮ পয়সা।
এই হিসাবে বঙ্গবন্ধু সেতুর তুলনায় পদ্মা সেতুতে কিলোমিটারপ্রতি খরচ কমবে ২৩ টাকা ৫৪ পয়সা।
পদ্মা সেতুর থ্রিএক্সেলের ট্রাকের টোল
থ্রিএক্সেলের ট্রাক পারাপারে পদ্মা সেতুতে টোল ঠিক করা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টাকা।
ফেরিতে এই ধরনের গাড়ি পারাপারে লাগছে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতুতে এই ধরনের ট্রাক পারাপারে লাগছে ২ হাজার টাকা।
কিলোমিটারপ্রতি খরচের হিসাবে দেখা যায় পদ্মা সেতুতে ৫৯১ টাকা ৫৩ পয়সা। যা বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৪০৫ টাকা ৮৫ পয়সা।
এ ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুতে খরচ বাড়ছে প্রতি কিলোমিটারে ১৮৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
পদ্মা সেতুর মালবাহী ট্রেইলারের (ফোর এক্সেল) টোল
পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ দেখে অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। বিশেষ করে বড় যানবাহন গুলির টোল চার্জ দেখে।
মালবাহী ট্রেইলারের (ফোর এক্সেল) টোল পদ্মা সেতুতে ধরা হয়েছে ৬ হাজার টাকা। ফেরিতে এই ধরনের গাড়ি পারাপারে লাগে ৪ হাজার টাকা।
আর যমুনা পাড়ি দিতে এই ধরনের ট্রাককে দিতে হচ্ছে ৩ হাজার টাকা।
দেখা যাচ্ছে মালবাহী ট্রেইলারে (ফোর এক্সেল) প্রতি কিলোমিটারে পদ্মা সেতুর খরচ ৬৪৫ টাকা ৩০ পয়সা।
বঙ্গবন্ধুর সেতুতে এই খরচ ৬০৮ টাকা ৭৭ পয়সা।
অর্থাৎ পদ্মা সেতুতে খরচ বাড়ছে কিলোমিটারপ্রতি ৩৬ টাকা ৫৩ পয়সা।
চার এক্সেলের ওপরে মালবাহী ট্রেইলারের জন্য প্রতি এক্সেলে পদ্মা সেতুতে যোগ হচ্ছে দেড় হাজার টাকা।
আর বঙ্গবন্ধু সেতুতে যোগ হচ্ছে ১ হাজার টাকা।
পদ্মা সেতুর টোল আদায়কারী ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার কোম্পানীর নাম
এই কাজ পেয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন (KEC) ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (MBEC)।
এর মধ্যে এমবিইসি বর্তমানে মূল সেতু নির্মাণকাজ এবং কেইসি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই দুটি প্রতিষ্ঠান টোল আদায়, সেতু ও সেতুর দুই প্রান্তের যানবাহন চলাচল ব্যবস্থাপনায় আধুনিক পদ্ধতি চালু এবং সেতু ও নদী শাসনের কাজ রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
এর জন্য পাঁচ বছরে তাদের দিতে হবে ৬৯৩ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতু টোল তালিকা বিষয়ে আমার মতামত
পদ্মা সেতুর টোল চার্ট সম্পর্কে অনেকের অনেক মতামত থাকলেও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আপনাকে অবশ্যই সরকার নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে পদ্মা সেতু পার হতে হবে।
কেননা সেতু তৈরি ও সংযোগ সড়ক তৈরি করার পরে একটি স্বপ্নের পদ্মা সেতু জনগণের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।
ফেরি থেকে পদ্মা সেতুর টোল তালিকা লক্ষ্য করে অনেকেই সরকারকে নানান কথা বলছে।
তবে আমি মনে করি পদ্মা সেতুর টোল যাই হোক না কেন এই সেতু আমাদের জন্য গর্বের।
পদ্মা সেতুর ও পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ সম্পর্কে আপনি কি ভাবছেন তা আমাদের কমেন্ট করে জানান।
পদ্মা সেতুর টোল কোন যানবাহনে কত?
ভিন্ন ভিন্ন যানবাহনের জন্য পদ্মা সেতুর টোল ভিন্ন ভিন্ন। পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ পোস্টে আমারা বিস্তারিত জানিয়েছি আপনাদের।
পদ্মা সেতুর টোলের হার ও তালিকা?
এই পোস্টে পদ্মা সেতুর টোলের হার ও তালিকা দেয়া হয়েছে।
উপসংহার
আশা করি আপনি পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ সম্পর্কে জনাতে পেরেছেন। পদ্মা সেতুর টোল কোন যানবাহনে কত টাকা এই সম্পর্কে আপনার কম মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানান।
বন্ধুরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে আমরা সর্বদা চেষ্টা করি আমাদের ভিজিটরদের সঠিক তথ্য প্রদান করতে।
আপনি যদি বাংলায় বিভিন্ন তথ্য ভাণ্ডার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নিতে চান তবে রেগুলার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট।
TAG: পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু,পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান,পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২২,পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২১,পদ্মা সেতুর বাজেট ২০২২,পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান 2020,স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য,পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান pdf, পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান – সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান ২০২১, ২০২২ পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান, পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান আপডেট ২০২২, পদ্মা সেতু নিয়ে প্রশ্নোত্তর, পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান জেনে নিন, পদ্মা সেতু সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর, পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান | পদ্মা সেতু a to z তথ্য জানুন