প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর উপবৃত্তি পাওয়া যায় কিভাবে? শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য কি কি করতে হবে এবং কোন মাধ্যমে কোন প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হবে! যে বা যারা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর উপবৃত্তি পাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান– তাদেরকে আমাদের আজকের আলোচনা পর্বে স্বাগতম জানাই। কেননা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত খুঁটিনাটি আমরা আমাদের আজকের আলোচনায় রেখেছি।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যারা উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহী তারা খুব দ্রুত জেনে নিন– প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর উপবৃত্তি পাওয়া যায় কিভাবে সে সম্পর্কে। পাশাপাশি আরো জানুন — প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে, যেটা অবগত হওয়া একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে সকলেরই প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট” গঠন করেন। যেটা অনিশ্চিত ছাত্রের জীবনে নিশ্চয়তা এনে দেওয়ার একটা সুবর্ণ সুযোগ এবং দারুন মাধ্যম। কেননা ট্রাস্ট ফান্ড থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা পেয়ে থাকে যেটা তাদের পড়াশোনায় বেশ উপযোগী। তবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ও শর্তাবলী রয়েছে।
যেগুলো সম্পর্কে জানার পরবর্তীতে আমরা খুব সহজেই সেই সকল সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারব। তাহলে আসুন জেনে নেই– প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি পাওয়ার উপায় এবং উপবৃত্তিপ্রাপ্তির শর্তাবলী সম্পর্কে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি পাওয়ার শর্তাবলী
শিক্ষা সহায়তার ট্রাস্ট উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে নিম্ন বর্ণিত শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
যথা:-
নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শ্রেণিকক্ষে কমপক্ষে ৭৫ পার্সেন্ট উপস্থিত থাকতে হবে
শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি পর্যায়ে অধ্যায়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে
শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট এক লক্ষ টাকার কম হতে হবে
পৈত্রিক সম্পত্তির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম হতে হবে।
অর্থাৎ আপনি যদি একেবারেই অনিয়মিত শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং আপনার অভিভাবকের বার্ষিক ইনকাম এক লক্ষ টাকার অধিক হয়ে থাকে এবং পৈতৃক সম্পত্তি ০.০৫ শতাংশ ও ০.৭৫ শতাংশের অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য অযোগ্য হিসেবে গণ্য হবেন। কেন না দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই শর্ত হিসেবে এ সকল বিষয় তদারকি করার মাধ্যমেই আপনাকে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি প্রদান করা হবে, নচেৎ না।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি পাওয়ার উপায়
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি পাওয়ার উপায় হচ্ছে উপরে উল্লেখিত শর্তাবলির সাথে মিল রেখে আপনি শিক্ষা সহায়তা বৃদ্ধি পেতে উপযুক্ত কিনা তা নির্ণয় করা এবং পরবর্তীতে ট্রাস্ট উপবৃত্তি ফরম পূরণ করার মাধ্যমে সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন কার্য সম্পন্ন করা। আমরা মূলত প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি এবং আবেদন করার নিয়মাবলী সম্পর্কে ধাপে ধাপে আর্টিকেলের পরবর্তী অংশে আলোচনা করব। তাই ধৈর্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে নিজের পয়েন্টগুলো এক নজরে করে ফেলুন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি
একজন শিক্ষার্থী মূলত ভর্তি সহায়ক, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি এবং স্নাতক উপবৃত্তি এই তিন ধরনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি এর এই পয়েন্টে আমরা স্নাতক উপবৃত্তি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরব।
স্নাতক উপবৃত্তি কার্যক্রমঃ আমরা সবাই জানি, পূর্বে শুধুমাত্র মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি দেওয়া হতো। এই সুযোগ মূলত ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে ইন্টার পর্যন্ত চলমান ছিল। কিন্তু এখন স্নাতক পর্যায়ে এসেও সুবিধা বঞ্চিত ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি গ্রহণ করতে পারবে এমনই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
মূলত স্নাতক পর্যায়ে উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু করার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে:-
- ছোট পরিবার গঠনে উৎসাহ প্রদান এবং প্রজনন হার নিয়ন্ত্রণ
- ছাত্র ছাত্রীর ভর্তির হার বৃদ্ধি করা
- দারিদ্র্যমী বিমোচন
- জেন্ডার সমতা অর্জন
- সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং
- চাকুরীর সুযোগ ও উপার্জন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
ইতোমধ্যে আমরা, উপবৃত্তি গ্রহণের কিছু শর্তাবলী উল্লেখ করেছি। যে শর্তাবলী গুলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন– যদি স্নাতক পর্যায়ে উপবৃত্তি পাওয়ার আশা করা যায় তাহলে কি কি শর্তাবলি পূরণ করতে হবে! মানে আপনি স্নাতক পর্যায়ে উপবৃত্তির জন্য যোগ্য কিনা সেটা বুঝবেন কিভাবে? এর জন্য নিচের পয়েন্টগুলো অনুসরণ করুন।
যথা:-
✓ স্নাতক এবং সম্মান পর্যায়ে অধ্যায়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে এবং শ্রেণিকক্ষে কমপক্ষে ৭০ পার্সেন্ট উপস্থিতি থাকতে হবে। মানে আপনি যদি নিয়মিত শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে স্নাতক পর্যায়ে উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য আবেদনকার্য সম্পন্ন করার সুযোগটি গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর উপবৃত্তি পাওয়া যায় কিভাবে
✓ পিতা-মাতা অভিভাবকের বাৎসরিক ইনকাম ২ লক্ষ টাকার কম হতে হবে এবং শিক্ষার্থীর পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলের শতকরা ন্যূনতম ৬০ ভাগ নম্বর প্রাপ্ত হতে হবে । হিসাব করলে জিপিএ ৫.০০ স্কেলে আপনার পয়েন্ট হতে হবে ৩.৭৫ অথবা সিজিপিএ ৪.০০ স্কেলে ৩.০০ থাকতে হবে। তবে আপনি স্নাতক পর্যায়ে উপবৃত্তির জন্য সিলেক্টেড হওয়ার সুযোগ পাবেন।
✓ পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী, তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থী এতিম শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির সুযোগটি প্রাপ্তির জন্য অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হবেন। আবার যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটা রয়েছে তারাও উপবৃত্তির প্রাপ্তির জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।
একজন শিক্ষার্থী স্নাতক পর্যায়ে বছরে এককালীন মোটামুটি ৫০০০ টাকা উপবৃত্তি হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। মানে পাঁচ বছরে আপনি ২৫ হাজার টাকা উপবৃত্তি হিসেবে পাবেন, যেটা আপনার পড়াশোনার খরচে অধিক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে আপনি যদি ভর্তি সহায়ক হিসেবে উপবৃত্তি পেতে চান তাহলে– দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি নিশ্চিত করনে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর সহযোগিতায় উপবৃত্তি প্রদান করা হয, আর এই সুযোগটিও কাজে লাগাতে পারবে।
কেননা ভর্তি সহায়ক হিসেবে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের অন্যতম লক্ষ্য দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করে দেওয়া। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ে আপনি ৫০০০ টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তি সহায়তা পেয়ে থাকবেন। তবে এর জন্য আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আবেদন প্রক্রিয়াটি ভালোভাবে জানতে হবে এবং সঠিক পদ্ধতিতে উপবৃত্তির আবেদন ফরম জমা করতে হবে। তাই পরবর্তী ধাপে আমরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদন প্রক্রিয়ার সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আবেদন প্রক্রিয়া ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
মূলত প্রতি অর্থবছরের অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসে কমপক্ষে দুইটি বহুল প্রচলিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আবেদন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আপনি চাইলে উক্ত বিজ্ঞপ্তি সবার আগে পেতে www.pmeat.gov.bd ওয়েবসাইট ফলো করতে পারেন। অথবা চোখ রাখতে পারেন চাকরি নিউজ ডটকম ওয়েবসাইটে। কেননা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবার সাথে সাথে আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে সকল ধরনের নোটিশ প্রকাশ করে থাকি।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বৃত্তি অনলাইন আবেদন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট অনলাইনে আবেদন করার জন্য ধারাবাহিকভাবে আপনাকে নিম্ন বর্ণিত কার্যসম্পাদন করতে হবে।
প্রথমতঃ ভিজিট করতে হবে https://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission/ ওয়েবসাইট। অতঃপর প্রত্যয়ন বা সুপারিশ ফার্ম ডাউনলোড করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ প্রথম ধাপটি সম্পন্ন হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে সেগুলো স্পষ্ট করে ছবি তুলতে হবে তারপর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে যদি আপনার কোন পূর্ববর্তী account না থেকে থাকে।
এজন্য সরাসরি https://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission/register এই লিংকে প্রবেশ করবেন এবং রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী নির্দেশনা পূরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার একাউন্ট ক্রিয়েট করে ফেলবেন।
তৃতীয়তঃ আপনার পরিচয় যাচাই করার জন্য ওটিপি নাম্বার আপনার মোবাইলে পাঠানো হবে। মূলত অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার সময় আপনি যে নাম্বারটি দেবেন সেই নম্বরে মোবাইল ভেরিফিকেশন কোড আসবে। কোড টি আসার পর নির্ধারিত ঘরের লিখে তারপর খালি বক্সে ক্লিক করবেন অর্থাৎ আমি রোবট নই এমন কিছু একটা সাজেস্ট করা হবে আপনাকে, এরপর জমা দিন অপশনে ক্লিক করবেন।
চতুর্থতঃ তৃতীয় ধাপ সমাপ্ত হয়ে গেলে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করতে হবে। লগইন করার সময় ই-মেইল এবং পাসওয়ার্ড সঠিক ভাবে লিখে প্রবেশ করুন অপশনে ক্লিক করবেন।
পঞ্চমতঃ আবেদন ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করার পরবর্তীতে সংরক্ষণ করুন বাটনে ক্লিক করুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ইনফরমেশন গুলো বারবার চেক করে দেবেন যাতে কোন ভুল হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।
ষষ্ঠমতঃ বৃত্তির আবেদনের জন্য আবেদন ফরম প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করবেন। এক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি নম্বর শিক্ষার্থীর নাম ও জন্ম নিবন্ধন নম্বর আগে থেকেই ফর্মে দেওয়া থাকে। কেননা আপনি পূর্বে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
এক কথায় জাতীয় পরিচয় পত্রের ইনফরমেশন থেকে শুরু করে আপনার সকল প্রকার প্রয়োজনীয় খবরগুলো উপবৃত্তির আবেদন ফরমে উল্লেখ করতে হবে পরবর্তীতে আবেদন ফরম পূরণ করে সংরক্ষণ করার পর ভুল হয়েছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত দাখিল লেখার উপর ক্লিক করতে হবে। ব্যাস আপনার কাজ এ পর্যন্তই। তবে হ্যাঁ সুপারিশ পত্র অর্থাৎ আবেদন ফরম আপলোড করার পরবর্তীতে আপনি তা পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য পিডিএফ ডাউনলোড করুন লেখাটির উপর ক্লিক করতে হবে। এবার আসুন জেনে নেই প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তির ফরম কিভাবে সংগ্রহ করবেন!
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি ফরম
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তির ফ্রম সংগ্রহের জন্য আপনি ধারাবাহিকভাবে নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করবেন।
প্রথমতঃ গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করবেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তির ফরম অথবা শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তির ফরম ডাউনলোড লিখে।
দ্বিতীয়তঃ ক্লিক করবেন আপনাকে সাজেস্ট করা প্রথম ওয়েবসাইট অর্থাৎ forms.mygov.bd ওয়েবসাইটটি।
তৃতীয়তঃ আপনি যদি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়ক আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে চান তাহলে এই লেখাটির উপর ক্লিক করবেন অথবা উপবৃত্তি সংক্রান্ত ফর্ম ডাউনলোড করতে চাইলে ক্লিক করবেন উপবৃত্তি সংক্রান্ত ফরম ডাউনলোড।
কেননা এই পেজে ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর ফর্ম সমূহর লিংক দেওয়া থাকে। যেখানে এক ক্লিকের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর আবেদন ফরম সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বৃত্তির আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে নিশ্চয় নজরে আসবে আমরা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করার সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহের কথা উল্লেখ করেছি। অনেকেই ইতিমধ্যে বুঝে ফেলেছেন যে কি কি কাগজপত্র দিয়ে আপনাকে কাছে রাখতে হবে। তবুও বোঝার সুবিধার্থে আমরা এ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বৃত্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোর কথা উল্লেখ করছি।
যথা:-
- জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় পত্র
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন বা সুপারিশ পত্র এবং স্বাক্ষর।
- তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনি যদি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বৃত্তি পেতে চান তাহলে দেরি না করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাথে সাথে আবেদন করুন।