পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন যিনি

দিনভর নাটকীয়তার পর মধ্যরাতের ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নিলেন ইমরান খান। রোববার পা‌কিস্তান মুসলিম লী‌গ-নওয়া‌জের (পিএমএল-এন) জ্যেষ্ঠ সাংসদ ও প্যা‌নেল স্পিকার আয়াজ সা‌দি‌কের সভাপ‌তি‌ত্বে অনাস্থা ভো‌টে হে‌রে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রীর তকমা পেলেন তিনি।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইমরানের পদ হারানোর পর দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হতে চলেছেন প্রধান বিরোধী দল মুসলিম লীগ-এনের নেতা শেহবাজ শরীফ। পাকিস্তানের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের আপন ছোট ভাই হচ্ছেন শেহবাজ শরীফ। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর নওয়াজ শরীফ লন্ডনে নির্বাসিত জীবন-যাপন করছেন।

দেশটির প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার আগে পাঞ্জাব প্রদেশের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শেহবাজ শরীফ। তিনি পাঞ্জাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতায় ছিলেন। ১৯৯৭ সালে প্রথমবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন শেহবাজ। কিন্তু ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশারফ ক্ষমতা দখলের পর সৌদি আরবে পালিয়ে যান শাহবাজ শরীফ। আট বছর সৌদিতে নির্বাসিত থাকার পর ২০০৭ সালে তিনি পাকিস্তানে ফেরেন।

২০০৮ সালে তার দল জয়ী হলে তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মুসলিম লীগ-এন হেরে যায়। এরপরই শাহবাজ শরীফকে প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা বানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শেহবাজ শরীফ। রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে সংবিধান বেঁচে গেছে, পাকিস্তান বেঁচে গেছে। আদালত তার সম্মান রেখেছে। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের অর্থনীতি ও জনগণের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। এক টুইটে মুসলিম লীগ-এনের নেত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরীফ জানান, ইনশাআল্লাহ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেহবাজ শরীফ। এর এক সপ্তাহ আগেই পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জানিয়েছিলেন, শেহবাজ শরীফকে তারা প্রধানমন্ত্রী বানাবেন।