যে কোনও ব্যক্তির জীবনে বাবা হওয়া সবচেয়ে সুখের এবং আনন্দের মুহূর্ত। প্রত্যেক ব্যক্তি অ’প্রত্যাশিতভাবে এই মুহুর্তের অ’পেক্ষা করে থাকে। কোনও ব্যক্তি যতই ধনী বা স্বার্থপর হোন না কেন, সন্তানের জন্মের পর তাদের জীবন সম্পূর্ণ বদলে যায়। শিশুদের এই পৃথিবীতে ঈশ্বরের রুপ বিবেচনা করা হয়। এ কারণেই বাবা-মায়েরা তার সন্তানদের ইচ্ছেপূরণকেই ধ’র্ম মনে করেন। একজন বাবা ও মেয়ের মধ্যে অটুট ভালোবাসা এবং বিশ্বা’সের সম্পর্ক হয়।
একজন বাবাই তার মেয়েকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন। এমত অবস্থায় যদি একজন বাবা তার মেয়ের মৃ’ত্যুর সময় আগে থেকে জানে তাহলে তার মনে কি পরিমাণ কষ্ট হবে সে তো আপনারা বুঝতেই পারছেন। বাবা নিজেকে যতই সান্ত্বনা দিক না কেন, কিন্তু ভিতরে ভিতরে দুর্বল হয়ে যায়। একটি সাম্প্রতিক ঘটনা যা চীনে ঘটেছে।
যেখানে একজন বাবা যে তার মেয়ের একটি দুরারোগ্য ব্যাধির কথা জানতে পারে। মেয়েটি তার বাবাকে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ছেড়ে চলে যাব’ে। এই অবস্থায় এক বাবার মনের উপর দিয়ে কি বয়ে চলেছে সেই কথায় আজ আপনাদের বলছি। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তির কাছে বসবাসের জন্য কোনো ঘর নাও থাকে, তিনি কখনই কবরস্থানে ঘু’মাবেন না।
কবর মৃ’ত্যুর পরে মানুষের জন্য তৈরি করা হয়। আপনি কি কখনো এমন বাধ্যতার কথা শুনেছেন যা কবরস্থানে জীবিত ব্যক্তিকে নিয়ে আসতে পারে? তথ্য অনুযায়ী, চীন-এর এই বাসিন্দা লিয়াং-এর একটি ২ বছরের ছোট কন্যা আছে। মেয়েটি একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে
ভুগছে এবং ডাক্তার ইতিমধ্যেই বলেছেন যে, মেয়েটি বেশিদিন বাঁচবে না। তারপর থেকে, লিয়াং তার মেয়ের সাথে প্রতিদিন কবরে ঘু’মায় এবং তার সাথে সেখানে খেলে। এমন অনেক রোগ আছে যার কোনো চিকিৎসা হয় না। আপনার কাছে যতই টাকা-পয়সা থাক না কেন সেইসব রোগগ্রস্ত রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হয়।
আমা’দের দেশেও প্রতিদিন অনেক মানুষ মা’রা যান দুরারোগ্য ব্যাধিতে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে। কিন্তু চীনের মত এত জনসংখ্যার দেশে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আরো বেশি লোক মা’রা যায়। চীনের সিচুয়ান প্রদেশের ঝা’ঙ্গ ঝিনলেই গ্রামের কৃষক লিয়াং-এর মেয়ের রয়েছে র’ক্তাক্ত অসুস্থতা যা র’ক্তের রোগ (থ্যালাসেমিয়া) নামে পরিচিত।
তারপর থেকে, প্রতিদিন বাবাটি তার মেয়েকে কবরস্থানে বেঁচে থাকা শেখায়। মেয়েটি গত এক বছর ধরে লিয়াং-এর সাথে কবরে বাস করা শিখছে। আজকাল, এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি দ্রুত স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এই ঘটনা শুনে
অনেক মানুষই তাদের দুঃখ প্রকাশ করেছেন, জনগণের মতে এটি কো্নো বাবার জন্য একটি খুব যন্ত্রণাদায়ক মুহূর্ত। শিশুটির চিকিৎসারত ডাক্তাররা বলেছেন যে, মেয়েটির র’ক্তের কোষ সঠিকভাবে কাজ করছে না। ডাক্তাররা বলছেন যে এই ধরনের অবস্থায়, মেয়েটি সর্বোচ্চ এক বছর বেঁচে থাকবে।