বিদ্যুৎ বিল নিয়ে মোটামুটি সবাই দুশ্চিন্তায় থাকেন। যতই সাম্লে চলেন না কেন তারপরও বিদ্যুৎ বিল বেড়েই চলেছে। যা বাজেট তার চেয়ে দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ এর পিছনে। কোনোভাবে কমাতে পারছেন না এই খরচা।
তবে খুব সহজেই কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললে, আপনার ঘরের বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমে আসতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব-
> ঘর থেকে বের হচ্ছেন খেয়াল করুন কোন বাতি কিংবা পাখা চলছে কি না। অবশ্যই বন্ধ করেই বের হোন। কক্ষে পুরনো বাতি থাকলে সেটি বদল করে এনার্জি বাঁচায় এমন আলো ব্যবহার করুন।
বাসায় ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ ব্যবহার করার পর তা বন্ধ করে রাখুন। ব্রেক নিচ্ছেন কম্পিউটার কে রাখতে পারেন স্লিপ মোডে। এভাবেও বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে পারেন।
> এসির খরচ বাঁচাতে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে বিকল্প পথ বের করুন। মোটা পর্দা বা উইন্ডো ব্লাইন্ড ব্যবহার করুন। তাছাড়া নিয়মিত এসির ফিল্টার পরিষ্কার করুন। এজন্যও বিদ্যুৎ এর বিল বেশি আসে।
গৃহস্থলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক পণ্য হচ্ছে ফ্রিজ। প্রায় সব ঘরেই ফ্রিজ রয়েছে। অনেকে একাধিক ফ্রিজ ব্যবহার করে থাকেন। তাই ফ্রিজ ব্যবহারে সর্তক না হলে বাড়বে বিদ্যুৎ বিল। ফ্রিজের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রিতে রাখুন। অন্যদিকে ফ্রিজারের তাপমাত্রা রাখুন ১৮ ডিগ্রিতে। এইভাবে খাবার ভালো রাখবে। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা রাখলে বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসে।
> অনেকই বাড়িতে ইস্ত্রি মেশিন ব্যবহার করেন। এসব মিশনে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। ইস্ত্রি মেশিন সারাক্ষণ চালিয়ে না রেখে একবার মেশিন গরম করে অফ করে কাপড় ইস্ত্রি করুন। আবার মেশিন ঠাণ্ডা হলে আবার সুইচ অন করুন এভাবেও বিদ্যুৎ বিল অনেকটা সাশ্রয় করা সম্ভব।
ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার এর করলেও বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসে। তাই বিদ্যুৎ খরচ কমাতে ওয়াশিং মেশিনের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিকভাবে রোদে কাপড় শুকান।
> তাছাড়াও মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করছেন খেয়াল রাখুন অতিরিক্ত ব্যবহার করছেন কি না। বুঝে ব্যবহার করুন নাহলে সেখানে থেকেও বিদ্যুৎ বিল বাড়তে পারে। একটু সতর্কতা আপনাকে এনে দিতে পারে বাড়তি ঝামেলা থেকে মুক্তি।
গরম এলেই বেড়ে যায় বিদ্যুৎ বিল। কারণ বাতি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ব্লেন্ডার, আয়রন মেশিনসহ আরো অনেক কাজে বিদ্যুৎ খরচ তো হয়ই।
তবে মাস শেষে বিদ্যুতের বিল এলে অনেকের মাথা ন’ষ্ট হয়। এসি ব্যবহার না করেও অনেকের ইউনিট বেশি পুড়েছে। জা’নেন এর কারণ কি? শুধু বিদ্যুতের বিল বাঁ’চাতে হবে এমন নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ ক’রতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে চললে এই বিলের খরচ কমানো যায়। আসুন জে’নে নেই বিদ্যুৎ বিল কমানোর ৯ কৌশল।
মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ ব’ন্ধ ক’রতে হবে।
বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে ব’ন্ধ করার পর সুইচ ব’ন্ধ করি না।এতেও কিছুটা অতিরি’ক্ত ইউনিট পোড়ে।
ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে।
যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখু’ন। কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁ’চানোর ক্ষ’মতাও ততোধিক।
পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।
ঘন ঘন এসি চালু ও ব’ন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর ব’ন্ধ করাই নিয়ম।
রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার উপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁ’চাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খা’রাপ হয় তাড়াতাড়ি।
এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়।
দিনে এক ঘণ্টা করে ব’ন্ধ রাখু’ন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে।
নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভাল থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে।