মুরগির খামার আছে তাঁর। সেখানে মোরগও রয়েছে। কয়েক মাস আগে এক মোরগ খাওয়াদাওয়া করতে চাইছিল না। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েন খামারের মালিক। কি করলে মোরগ খাবে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেননা।
সে সময় গ্রামেরই একজন তাঁকে বুদ্ধি দেন। দিশি মদ খাবারে সামান্য মিশিয়ে দিলে মোরগ খাবে বলে পরামর্শ দেন তিনি। সেই পরামর্শ মেনে মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা জেলার পিপারি গ্রামের ওই খামার মালিক ভাউ কাতার সামান্য দিশি মদ মিশিয়ে মোরগকে খেতে দেন।
এতদিন যে মোরগ কিছু মুখে দিতে চাইছিল না, দেখা যায় সে দারুণ আনন্দে পুরোটা খেয়ে নেয়। এরপর কয়েকদিন ওই দিশি মদ সামান্য মিশিয়ে দিয়ে খাবার দিতে শুরু করেন কাতার।
কাজও হয়। দেখা যায় মোরগ চেটেপুটে সব খেয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এই খাবার খাওয়ানোর অন্য পথে হেঁটে যে খাল কেটে কুমির আনছেন তা কাতার বোধহয় বুঝতে পারেননি।
বুঝতে পারলেন যখন একদিন তিনি মদ না মিশিয়ে খাবার দিলেন। মোরগ আর সে খাবার খাবেই না। তার মদ চাই। নাহলে সে না খাবে দানা, আর না জল।
মহা ফাঁপরে পড়লেন কাতার। অবশেষে নিরুপায় হয়ে দিশি মদ এনে তা মিশিয়ে খাবার পরিবেশন করতে হল মোরগকে। আর সমস্যা রইল না। সঙ্গে সঙ্গে সে খাবার পরিস্কার করে খেয়ে নিল মোরগ।
এখন এই মদ্যপ মোরগকে নিয়ে জেরবার দশা ভাউ কাতারের। প্রতিদিন মোরগের মদ চাই। দিশি পেলে ভাল, আর তা না পাওয়া গেলে বিদেশি মদ খাওয়াতে হচ্ছে। এজন্য তাঁর প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে পকেট থেকে খসছে।
অবশেষে এক পশু চিকিৎসক কাতারকে এখন বুদ্ধি দিয়েছেন। তিনি কাতারকে বলেছেন মদের জায়গায় ভিটামিন খাওয়াতে। কারণ ভিটামিনের গন্ধ মদের মত হওয়ায় মোরগ বুঝতে পারবেনা সে মদ খাচ্ছে না ভিটামিন। এখন দেখার এতে মোরগের মদ্যপানের অভ্যাস যায় কিনা।