প্রিপেইড মিটার আনলক করার নিয়ম | সহজেই প্রিপেইড মিটার আনলক করুন

বিদ্যুৎ ব্যবসায়িক বা বাসায়িক ব্যবহারের জন্য একটি উপযোগী ব্যবস্থা হল প্রিপেইড মিটার বা পূর্বপরিশোধিত মিটার। এই মিটার একটি উপযোগী বিকল্প যা আপনাকে আপনার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে দেয়। এই পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সমস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যদি কোন কারণে আপনার প্রিপেইড মিটার স্বাভাবিক অবস্থা চলাকালীন হঠাৎ করে লক হয়ে যায় এ অবস্থায় আপনি চিন্তার মুখোমুখি হন। অবশেষে আপনার চিন্তা দূর করার জন্য আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি প্রিপেইড মিটার লক কিভাবে খুলতে হয় তার সম্পর্কে। সুতরাং আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে চলেছেন তারা অবশ্যই আমাদের নিচে যে সকল নির্দেশনা দিয়েছে তা অনুসরণ করুন এবং আপনার প্রিপেইড মিটার সহজেই আনলক করুন।

প্রিপেইড মিটার আনলক করার নিয়ম

আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার প্রিপেইড মিটার লক হয়ে গেছে এ অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা আনলক করার চেষ্টা করুন। আপনাদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে নিচের অংশে প্রিপেইড মিটার লক খোলার নিয়ম উল্লেখ করা হলো। প্রিপেইড মিটার লক হলে অফিসে যোগাযোগ করে লক টোকেন আনতে হবে। তারপর মিটারের টোকেন নাম্বার চাপতে হবে। এ ছাড়াও আপনি আপনার এলাকার বিদ্যুৎ অফিসের হেল্প লাইনে কল করে সহযোগিতা নিতে পারেন।

আরও বিস্তারিত ভিডিওতে উল্লেখ করা হল, প্রি-পেইড মিটারের সকল সমস্যার সমাধান ও প্রিপেইড মিটার সকল লক আনলক করার নিয়ম ..

প্রিপেইড মিটার লক হওয়ার কারণ

কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনাকে প্রথমে সেই সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে হবে অতঃপর আপনাকে সেই অনুসারে কাজ করে সমাধান করা জরুরি। প্রিপেইড মিটার লক হয়ে যায় না আপনি যখন কোন উল্টাপাল্টা কাজ করে থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার প্রিপেইড মিটার লক হয়ে যেতে পারে। যার কারণে আলোচনার শুরুতেই আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছে প্রিপেইড মিটার লক হওয়ার যে সকল যথাযোগ্য কারণ রয়েছে তার সম্পর্কে। অতএব আপনারা অবশ্যই আমাদের এই অংশটুকু পড়ে জানতে পারবেন কি কারনে প্রিপেইড মিটার লক হয়ে যায় তার সম্পর্কে।

বিকাশ থেকে প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করার নিয়ম

  • বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে, প্রথমে অ্যাপটিতে লগইন করুন
  • বিকাশ অ্যাপ স্ক্রীন থেকে “পে বিল” নির্বাচন করুন
  • তারপর “ইলেক্ট্রিসিটি” নির্বাচন করুন
  • বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাম (কোম্পানি) নির্বাচন করুন
  • অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং যোগাযোগ নম্বর লিখুন
  • এখন রিচার্জের পরিমাণ লিখুন
  • আপনার বিকাশ পিন নম্বর দিয়ে ‘পে বিল’ সম্পূর্ণ করুন
  • আপনি সহজেই অ্যাপে বিলের রিসিপ্ট পাবেন
  • প্রিপেইড মিটারের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের কিছুক্ষণের মধ্যে প্রাপ্ত SMS এর মাধ্যমে আপনি একটি টোকেন নম্বর পাবেন
  • আপনি যদি উক্ত SMS এর মাধ্যমে টোকেন নম্বর না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে মিটার নম্বরটি লিখে 04445616247 নম্বরে একটি মেসেজ পাঠান। ফিরতি SMS এর মাধ্যমে আপনি আপনার টোকেন নম্বর পাবেন।
  • আপনার মিটারে এই টোকেন নম্বরটি প্রবেশ করালে, মিটারে বিদ্যুতের বিল আপডেট হয়ে যাবে।

প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স চেক কোড ও প্রয়োজনীয় সকল কোড

বাসা বাড়িতে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটারে বিভিন্ন কোড ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম তথ্য অনুসন্ধান করতে হয়। এমনকি ব্যালেন্স সংযোগসহ মিটার বন্ধ করতে গেলেও একটি কোড ব্যবহার করতে হয়। এ সকল কোড ছাড়া ডিজিটাল মিটারে কোন ভাবেই রিচার্জ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু অনেকেই ডিজিটাল মিটারের এ সকল কোড সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তখন ডিজিটাল মিটারে বা প্রিপেইড মিটারে কোনরকম কাজ করতে ব্যর্থ হন। আপনার সমস্যার সমাধান নিয়েই আজকে হাজির হয়ে গেলাম। এখানে আলোচনা করব প্রিপেইড মিটারের কোড লিস্ট যা থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাজ করার কোড জানতে পারবেন।

প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স চেক কোড ও প্রয়োজনীয় সকল কোড
প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স চেক কোড ও প্রয়োজনীয় সকল কোড
  • প্রিপেইড মিটারের গত মাসে রিচার্জ, ব্যালেন্স সময় ও তারিখ জানতে ডায়াল করুন ৮১৬।
  • আপনার মিটারের টোকেন নাম্বার জানতে ডায়াল করুন ৮৩০।
  • প্রিপেইড মিটারে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এক্টিভিশন কোড ডায়াল ৮১১।
  • প্রিপেইড মিটার নাম্বার চেক করতে ও জানতে ডায়াল করুন ৮০৪।
  • বৈদ্যুতিক মিটার জরুরী ভারসাম্য যাচাই করতে চাইলে, আপনাকে ডায়াল করতে হবে ৮০৮ নাম্বারে।
  • বৈদ্যুতিক মিটারের অ্যালার্ম অফ করতে হলে ডায়াল ৮১২।

ডায়াল কোড যা হবে / যা জানা যাবে

৮০০ এ যাবৎ মোট ব্যবহৃত ইউনিট
801 বর্তমান অবশিষ্ট ব্যালেন্স (টাকা)
802 তারিখ
803 সময়
806 মিটার বিচ্ছিন্নের কারণ
808 বর্তমানে চলমান লোড (কিঃওঃ)
810 এমার্জেন্সী ব্যালেন্স পরিমান (ধারকৃত)
814 চলতি মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার পরিমান (ইউনিট)
815 সর্বশেষ রিচার্জ এর তারিখ
816 সর্বশেষ রিচার্জ সময়
817 সর্বশেষ রিচার্জ পরিমান (টাকা)
830 সর্বশেষ রিচার্জ টোকেন
869 সর্ব্বোচ্চ অনুমোদিত লোড (কিঃওঃ)
886 বর্তমান চলমান রেট (টাকা)
887 বর্তমান চলমান স্পেপ ট্যারিফ (টাকা)
889 বর্তমান টোকেনের সিকোয়েন্স নম্বর
922 চলতি মাসে ব্যবহৃত টাকা

মিটারে সর্বনিম্ন কত টাকা রিচার্জ করা যায়?

মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, ভ্যাট সহ ১১২-১১৫ টাকা বাদ দিয়ে যত টাকা ইচ্ছে ডুকাতে পারবেন।

প্রিপেইড মিটার কিভাবে কাজ করে?

ব্যবহারবিধি: প্রদত্ত স্মার্ট কার্ড টি ভেন্ডিং স্টেশনে কিংবা বিদ্যুৎ অফিস থেকে রিচার্জ করে আনতে হয়। এরপরে সেটিকে মিটারে প্রবেশ করাতে হয়। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিটারে টাকা রিচার্জ হয়ে যায়। কার্ড মিটারে প্রবেশ করানোর প্রয়োজন হয় না।

প্রিপেইড বিদ্যুতের সুবিধা কি

আপনার ভাড়াটেদের দৃষ্টিকোণ থেকে, প্রিপেইড বিদ্যুতেরও অগণিত সুবিধা রয়েছে। প্রারম্ভিকদের জন্য, এটি তাদের দৈনন্দিন ব্যবহার এবং খরচ কার্যকরভাবে নিরীক্ষণ ও পরিচালনা করতে দেয় । ঋণ বাড়ানোর বিষয়ে কোন উদ্বেগ নেই, কারণ তারা জানে যে তারা যে জল এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তার জন্য ইতিমধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে।

আরও দেখুন: প্রিপেইড মিটার,প্রিপেইড,প্রিপেইড মিটারের সকল কোড,প্রিপেইড মিটার ব্যবহার,প্রিপেইড মিটার ইমারজেন্সি ব্যালেন্স আনার নিয়ম,প্রিপেইড মিটারে কিভাবে টাকা দেখে,মিটার,প্রিপেইড মিটার ব্যালেন্স চেক,প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করুন,বিকাশ থেকে বিপিডিবি প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করার নিয়ম,কিভাবে প্রিপেইড মিটার রিচার্য করতে হয়,প্রিপেইড মিটারে কি ভাবে রিচার্জ করবেন,প্রিপেইড মিটারে কিভাবে ইমারজেন্সক নিতে হয়,প্রিপেইড মিটারে কি ভাবে ইমাজেন্সী নিতে হয়