ভারতে ৩০ বছর বয়সী এক ব্লগারকে পাঁচতলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই প্রাক্তন স্বামী এবং আরও দু’জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মহিলার প্রাক্তন স্বামী আকাশ গৌতমসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ব্লগাররের নাম রিতিকা সিং।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা রিতিকা একজন ইনফ্লুয়েন্সার ছিলেন। মূলত ফ্যাশন, খাবার এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করতেন তিনি। রিতিকার ২০১৪ সালে বিয়ে হয় ফিরোজাবাদের আকাশ গৌতমের সঙ্গে। তিন বছর পর ফিরোজাবাদেরই আরেক যুবক বিপুলের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার। ২০১৮ সালে স্বামী আকাশের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বিপুলের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতেন রিতিকা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুই নারীকে নিয়ে রিতিকার তাজগঞ্জের ফ্ল্যাটে আসেন সাবেক স্বামী আকাশ। কারও যেন সন্দেহ না হয়, সে কারণে প্রথমে দুই নারীকে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকতে বলেন আকাশ। নিরাপত্তারক্ষী বাধা দিলে, তখন আকাশ আসেন এবং তাদের ভেতরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করে দেন। পুলিশ আরও জানায়, দুই নারী অ্যাপার্টমেন্টের নাম-তালিকার খাতায় ভুল নাম লেখেন। রিতিকার ফ্ল্যাটের নম্বর ৪০৪। কিন্তু ওই দুই নারী লেখেন ৬০১ নম্বর ফ্ল্যাটে যাবেন।
আকাশ এবং ওই দুই নারী যখন রিতিকার ফ্ল্যাটে যান, বিপুল তখন ফ্ল্যাটেই ছিলেন। বিপুলের অভিযোগ, আকাশ এবং দুই নারী ঘরে ঢুকেই তাকে ও রিতিকাকে মারতে শুরু করেন। তারপর বিপুলের হাত বেঁধে বাথরুমে আটকে রাখেন। বিপুলের দাবি, তিনি বাথরুমের জানলা ভেঙে প্রতিবেশীদের চিৎকার করে ডাকতে থাকেন। আওয়াজ শুনে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মিনিট ২০ পর ওপর থেকে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শোনা যায়। আওয়াজ পেয়ে নিরাপত্তারক্ষী অ্যাপার্টমেন্টের পেছনের দিকে গিয়ে দেখেন মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন রিতিকা। তার হাত-পা বাঁধা।
আগরার এসএসপি সুধীর কুমার সিং বলেন, ঘটনার তদন্ত করে জানা যায়, রিতিকা-বিপুল একসঙ্গেই থাকতেন। তার সাবেক স্বামী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। তারপরই রিতিকার হাত-পা বেঁধে বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।