নকলে বাধা, ৫ বছর পর শিক্ষককে পেটালেন ছাত্র

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর আসাদ একাডেমির ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিনের উপর হামলা ঘটনার ঘটেছে। শনিবার (২৮ মে) সকালে বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মো. মুরাদের নেতৃত্বে ৮-১০ জন এই হামলায় অংশ নেয়। গুরুতর আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামের লকিয়ত উল্যার পুত্র। আর ছাত্র মুরাদ টুমচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কাসেমের পুত্র।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৮ মে) সকালে বাড়ি থেকে নিজ ব্যবহৃত মোটরসাইকেল যোগে শিক্ষক হেলাল বিদ্যালয়ের প্রবেশ করার পূর্বে মুরাদসহ ৮-১০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তায় প্রথমে শিক্ষককে থামান। এ সময় শিক্ষক কারণ জানতে চাইলে মুরাদ বলে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের তোর কারণে টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। তোর কারণে বিদ্যালয়ে থাকার সময় পরীক্ষায় নকল করতে পারিনি। আজ তোকে পাইছি এ বলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও শরীরের বিভিন্ন হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষককে রাস্তায় ফেলে চলে যায় এ সময় তার মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়। বিদ্যালয় থেকে অন্য শিক্ষকরা খবর পেয়ে হেলালকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালের চিকিৎসাধীন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন জানান, ২০১৭ সালে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করার কারণে মুরাদ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ওই সময়ে দায়িত্বরত অধ্যক্ষ তাকে সুযোগ দেয়নি। আমি কোন অন্যায় করিনি তার পরও মুরাদের নেতৃত্ব ৮-১০ সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা করে এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। হামলকারী সবাইকে আমি চিনি না শুধু মুরাদকে চিনতে পেরেছি।

টুমচর আসাদ একাডেমি অধ্যক্ষ ফারজানা নুর জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সাবেক ছাত্র কিভাবে শিক্ষকের উপর হামলা করে। আমরা বিদ্যালয়ে সব শিক্ষক বসে আজই সিদ্ধান্ত নেবো এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রক্রিয়া চলছে।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন জানান, ছাত্র হয়ে শিক্ষকের উপর এভাবে প্রকাশ্যে হামলা মেনে নেয়া যায় না। আশা জড়িতরা শাস্তি পাবে। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তফা কামাল জানান বিষয়টি জানা নেই। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।