সি সেকশন বা সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পর মায়ের পেটে কাটা দাগের চিহ্ন সারাজীবন থেকে যায়! যদিও এখন লেজারের মাধ্যমে এই দাগ দূর করা সম্ভব। তবে সবার ক্ষেত্রে তো আর লেজার করা সম্ভব হয় না। কারণ এতে গুণতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ।
যারা ঘরোয়া উপায়ে সিজারের কাটা দাগ দূর করতে চান তারা ডেলিভারির পর থেকেই ভেষজ কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করা শুরু করুন। এ সময় সব মায়েরাই সন্তানের দেখভালে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে নিজের শরীরের যত্ন নেন না। তবে সিজারে দাগ দূর করতে প্রথম থেকেই যত্ন নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সিজারের দাগ দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়-
1. পোড়া ক্ষ’তই হোক কিংবা অপারেশনের দাগ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই তা দূর করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক অ্যালোভেরার জেল সদ্য হওয়া মায়ের ত্বকের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। এক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল দাগের স্থানে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন নিয়মিত। ধীরে ধীরে দাগ দূর হবে।
2. ভিটামিন ই অয়েল ত্বকের নীচের কোলাজেন প্রোটিনের বিভাজন ঘটায়। আর কোলাজেনের বিভাজনই ত্বকের নীচে নতুন স্তর তৈরি করে। ফলে সিজারের দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়। নিয়মিত এই তেল দিয়ে সিজারের স্থানে ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন।
3. ত্বকের কাটা দাগ হোক আর কালচে ছোট সব দূর করতে পারে লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এটি। নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহারে সিজারের দাগ হালকা হয়ে আসে।
4. আলুর রসেও প্রাকৃতিক ব্লিচ উপাদান আছে। যা দাগকে হালকা করতে সাহায্য করে। সিজারের দাগের ক্ষেত্রেও নিয়মিত আলুর টুকরো বা রস দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
5. চায়ের মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিজারের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এজন্য গ্রিন টি’র ব্যাগ গরম জলে চুবিয়ে তারপর সেটি হালকা ঠান্ডা করে কাটা দাগের উপর রাখুন। প্রতিদিন ৩-৪ বার ১০-১৫ মিনিট করে এটি করলে সিজারের দাগ ধীরে ধীরে হালকা হতে শুরু করবে।
6. সিজারের দাগ দূর করার আরও এক উপাদান হলো কোকোয়া বাটার। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা সিজারের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কোকোয়া বাটার ত্বককে আর্দ্র ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।
7. সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ব্রণ বা পোকার কামড়ের জ্বালাপোড়া সবই দূর করে মধু। সিজারের দাগ দূর করতেও এর ভূমিকা কম নয়। সিজারের গাঢ় দাগ দূর করতে সাহায্য করে মধু। এতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য আছে, ফলে সিজারের অংশে কোনো সংক্রমণের আশঙ্কা নেই