প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামকে আওয়ামী লীগে নিয়ে নেন। সোমবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে এ অনুরোধ জানান হারুন।
সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করে হারুন বলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। পুলিশের আইজিপি ও কমিশনার যে ভাষায় কথা বলেন সেগুলো মেনে নেয়া যায় না। তাদের পোশাক খুলে দিয়ে রাজনীতিতে দেন না কেন? তাদেরকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়াইয়া দেন। তারপর যা ইচ্ছে, তাই বলুক। পুলিশের আইজিপি ও কমিশনার ওই পোশাক পরে যে ভাষায় কথা বলেছেন, এটা তারা বলতে পারে না।
হারুনুর রশীদ বলেন, আইজিপি বলেছেন অপরাধীদের স্থান পুলিশে হবে না। পুলিশে অপরাধের সংজ্ঞা কী? উনি নিজে যে অপরাধ করছেন। বোট ক্লাবের সভাপতি এখনো রয়েছেন। এটি কোন সংবিধান বলে আছে, (তা) এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিকে জানান নাই। অপরাধ যদি শীর্ষ জায়গা থেকে হয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আপনি পুলিশ সদস্যদের অপরাধে কী ব্যবস্থা নেবেন? শীর্ষ পর্যায়ে যারা রয়েছেন, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি অপরাধ করছেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভায় আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির ওপর অবরোধ আরোপ করতে একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা লবিস্ট নিয়োগ করছেন, জিএসপি বন্ধ করতে চিঠি লিখছেন। আপনারা রাজনীতি করেন জনগণের জন্য, আবার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আপনারা কারা, হু আর ইউ? কী চান আপনারা?’
একই সভায় ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, একটি পার্টির খুব সিনিয়র এক নেতা বলা শুরু করেছেন, তাদের নেত্রী নাকি এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা। এর চেয়ে হাস্যকর…। বাম জোটের হরতালে পুলিশের লাঠি চার্জের বিষয়ে ইঙ্গিত করে হারুন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে যারা কথা বলতে চেষ্টা করছে, তাদের পুলিশ দিয়ে দমন করেছেন। এভাবে তো চলতে পারে না। মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।