একের পর ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় থাকেন আলোচিত-সমালোচিত সোশ্যাল তারকা আশরাফুল হোসাইন আলম ওরফে হিরো আলম। এবার তার বিরুদ্ধে থানায় অর্থ আত্মসাৎ ও অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি করেছেন তারই এক সময়কার কর্মচারী মো. রুবেল মুন্সী। গত শুক্রবার (৭ আগস্ট) গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানায় এই অভিযোগ করা হয়েছে। এই অভিযোগে হিরো আলম ছাড়াও তার সহযোগী হিসেবে মো. লিমন (২৫) ও মো. শুভ (৩০) নামের দুই যুবকের নাম উল্লেখ করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার (০৫ আগস্ট) গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় রুবেল মুন্সী নামের এক যুবক হিরো আলমের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে হিরো আলম ছাড়াও মো. লিমন এবং মো. শুভর নাম উল্লেখ রয়েছে। তিনি আরো জানান, হিরো আলমের বিরুদ্ধে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তের পর সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগকারী হিরো আলমের অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। কিন্তু বেতন না তুলে তিনি হিরো আলমের কাছে সেই টাকা জমা রাখতেন। সাত মাসের বেতন মোট ৭০ হাজার টাকা জমা হয় তার। ধারের ২০ হাজার ও বেতনের টাকাসহ পাওনা মোট ৯০ হাজার টাকা চাইতে গেলে দেবো, দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করেন হিরো আলম। এছাড়া জিডিতে রুবেল আরও উল্লেখ করেছেন, গত বৃহস্পতিবার হিরো আলম তার বর্তমান কর্মস্থল ইয়ন ফুডের সামনে এসে তাকে জোর করে প্রাইভেটকারে তোলেন। এসময় হিরো আলম ও তার সঙ্গীরা তার কাছ থেকে ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে জিমেইল ও ফেসবুক আইডি হ্যাক করে নিয়ে রাত ৩টার দিকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিলে তার জানমালের ক্ষতি করবেন বলেও হুমকি দেন হিরো আলম।
প্রসঙ্গত, বেশকিছুদিন থেকেই রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন হিরো আলম। এই নিয়ে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি বেশকিছু আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।