স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অপেক্ষার প্রহর শেষ। সপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর শুধু সপ্ন নয়, এখন তা বাস্তব। আজ (শনিবার) দুপুর ১২ টার দিকে মাওয়া পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বহুল প্রতিক্ষীত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উদ্বোধন উপলক্ষে ১০০ টাকার স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শীট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মাসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরেই টোলপ্লাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি । সেখানে টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর সেখান থেকে সড়ক পথে জাজিরা প্রন্তের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাতে অংশ নেবেন।

সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে সড়ক পথে যাত্রা করবেন। এরপর কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন।পরবর্তীতে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে জনসভা শেষ করে শরীয়তপুরের জাজিরার সার্ভিস এরিয়া-২ এর উদ্দেশ্যে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করবেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৫টায় হেলিকপ্টারে জাজিরা পয়েন্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশাল সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক। এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলে কাজ করছেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ হলেও সেতুর ওপর দিয়ে পরদিন (রোববার) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। সেতুটি রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান শহরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১টি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক অগ্রগতি আনবে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই সেতু দিয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের সুবিধা পাবে।

নিজ হাতে টোল দিয়ে সেতুতে প্রধানমন্ত্রী অপেক্ষার প্রহর শেষ। সপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর শুধু সপ্ন নয়, এখন তা বাস্তব। শনিবার বেলা ১২টায় উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বহুল প্রতিক্ষীত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজ হাতে টোল পরিশোধ করে পদ্মা সেতুতে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় টোল পরিশোধ করেন তিনি।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উদ্বোধন উপলক্ষে ১০০ টাকার স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শীট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরেই টোলপ্লাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। সেখানে টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন। সেখান থেকে সড়ক পথে জাজিরা প্রন্তের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাতে অংশ নেবেন।

সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে সড়ক পথে যাত্রা করবেন। দুপুর ১২টায় কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন।পরবর্তীতে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে জনসভা শেষ করে শরীয়তপুরের জাজিরার সার্ভিস এরিয়া-২ এর উদ্দেশ্যে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করবেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৫টায় হেলিকপ্টারে জাজিরা পয়েন্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশাল সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক। এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলে কাজ করছেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ হলেও সেতুর ওপর দিয়ে পরদিন (রোববার) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। সেতুটি রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান শহরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১টি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক অগ্রগতি আনবে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই সেতু দিয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের সুবিধা পাবে।

সাবাশ বাংলাদেশ, পৃথিবী অবাক হয়ে তাকিয়ে রয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে, ষড়যন্ত্র পিছনে ফেলে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে পেরেছি। এটা শুধু ইট-সিমেন্টের তৈরি একটি অবকাঠামো নয়, এটা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। এই সেতু বাংলাদেশের জনগনের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, সাহসিকতা, জেদ, প্রত্যয়। শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধি সমাবেশে দেওয়া বক্তব্য এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের কারণে পদ্মা সেতু তৈরিতে দুই বছর বিলম্বিত হয়। তবুও আমরা হতাশায় ভুগিনি, সকল অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে যাত্রা করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, কেউ দাবায় রাখতে পারবা না। কেউ পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি। সাবাশ বাংলাদেশ, পৃথিবী অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়। আমরা মাথা নোয়াইনি। কখনো মাথা নোয়াবো না। বঙ্গবন্ধু ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়ে জীবনের জয়গান গেয়েছিলেন। বাংলার মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন, স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। সেই স্বাধীনতা তিনি আমাদের এনে দিয়েছেন।

শনিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী সভামঞ্চে পৌঁছান। এর আগে সাড়ে ৯টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সফরসূচি অনুয়ায়ী, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। সেখানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন। বেলা ১১টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করবেন। ১১টা ১০ মিনিটে টোলপ্লাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে টোল দিয়ে ১১টা ১৫ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেবেন।

১১টা ২৩ মিনিটে সড়ক পথে জাজিরা প্রন্তের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি ১১টা ৪৫ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাতে অংশ নেবেন। সেখান থেকে ১১টা ৫০ মিনিটে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে সড়ক পথে যাত্রা করবেন। দুপুর ১২টায় কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন।

দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে জনসভা শেষ করে শরীয়তপুরের জাজিরার সার্ভিস এরিয়া-২ এর উদ্দেশ্যে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করবেন। পরে জাজিরা প্রান্ত থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করবেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনে বিএনপির মন খারাপ: তথ্যমন্ত্রী দেশের অর্থায়নে নির্মিত বাঙালি জাতির সপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ শেষ। আগামীকাল শনিবার (২৫ জুন) সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এই পদ্মা সেতুর উদ্ভোধনে দেশের মানুষ আনন্দিত হলেও বিএনপির ‘মন খারাপ’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে মাওয়াগামী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের শুরুর স্থান রাজধানীর ধোলাইপাড়ে মোটরচালক লীগের আনন্দ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

দেশের প্রতিটা মানুষ আজকে পদ্মা সেতু দেখতে চায় বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, আগামীকাল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত। এ পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়াতে ড্রাইভারদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস আরও বেশি, বাংলাদেশের মানুষ পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়াতে আনন্দ উল্লাস করছে। সরকার কোনো আনন্দ উল্লাসের আয়োজন করেন নাই, সরকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করছে। আনন্দ উল্লাস করছে দেশের মানুষ। দেশের প্রতিটা মানুষ আজকে পদ্মা সেতু দেখতে চায়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা আবোল তাবোল কথা বলা শুরু করেছে। ‘অতীতে পেট্রোল বোমা মেরে হত্যাকারী’ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করতে গাড়ি চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাংলাদেশে দিনের পর দিন হরতাল ডেকে, অবরোধ ডেকে ড্রাইভারদের উপর অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছিল বিএনপি জামাত।

বাংলাবাজারের জনসভাস্থলে আকাশে মেঘ, গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি বহুল প্রতিক্ষীত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। কিছুক্ষণের মাঝেই মাওয়া পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে সপ্নের এই প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আর সেখান থেকেই আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে হঠাৎ বৃষ্টি নামায় দুর্ভোগে পড়েছেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ফেরিঘাটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষরা। দুপুর ১২টায় এ জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে সকাল ১০টা থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। এতে করে খোলা আকাশের নিচে থাকা মানুষদের বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে।দুপুরে জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোর থেকেই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছেন এখানে।জানা গেছে, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী বাস ও লঞ্চযোগে জনসভাস্থলে আসছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর আদলে মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে জনসভাস্থলে। জনসভাস্থলে কয়েকটি অস্থায়ী হাসপাতাল, সাড়ে পাঁচ শতাধিক শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে অগ্নি নির্বাপণী ব্যবস্থা। ওয়াচ টাওয়ার থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পোস্টার, ব্যানার আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার আর অলিগলি। বিভিন্ন সড়কের ডিভাইডার, জনসভাস্থলসহ দুই পাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। তার আগমন ঘিরে মাদারীপুরবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। রাজধানী ঢাকা থেকেও গণমাধ্যমকর্মীরা এসেছেন।এ জনসভায় ১০ লাখ মানুষের জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এদিকে সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বৃহত্তম স্ব-অর্থায়নকৃত এ মেগা প্রকল্পের জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির সময়সূচী অনুযায়ী মাওয়া পয়েন্টে সকাল ১১টায় তিনি স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করবেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ হলেও সেতুর ওপর দিয়ে পরদিন (রোববার) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। সেতুটি রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান শহরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১টি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক অগ্রগতি আনবে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই সেতু দিয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের সুবিধা পাবে।

শতাধিক লঞ্চে জনসভায় মানুষের ঢল পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় আয়োজিত জনসভায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক লঞ্চ ভিড়তে শুরু করেছে বাংলাবাজার ঘাটে। শনিবার ভোর থেকে একে একে লঞ্চগুলো পন্টুনে পর্যায়ক্রমে এসে ভিড়ছে।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানিয়েছে, ১ থেকে ৬ নম্বর পন্টুন পর্যন্ত বড় লঞ্চগুলো ভিড়ছে। প্রতিটি পন্টুনে ৪/৫টি করে লঞ্চ একত্রে ভিড়ছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি থেকে আসা লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়ছে। লোক নামানো শেষে লঞ্চগুলো নদীর মাঝে রাখা হচ্ছে। এখনো নদীতে ঘাটে ভিড়ার অপেক্ষায় অনেক লঞ্চ রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রায় ২ শতাধিক লঞ্চ আসবে।

বাংলাবাজার ঘাটে দেখা যায়, প্রতিটি বিলাসবহুল লঞ্চে হাজার হাজার নেতাকর্মী। ঘাটে আসামাত্র বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) লোকজন লঞ্চগুলো সিরিয়ালে রেখে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। আগত নেতাকর্মীরা জানান, নিয়মিত রুটের লঞ্চগুলো জনসভা স্থলে নিয়ে আসার জন্য ভাড়া করা হয়েছে।রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে রওনা হন তারা। ভোর থেকে লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়ছে।

পটুয়াখালীর বাউফল থেকে আসা মিরাজ হোসেন বলেন, ‘রাতে লঞ্চে উঠেছি। সারারাত আনন্দ করেছি। কোনও সমস্যা হয়নি। আমাদের নেতারা সব ব্যবস্থা করেছেন। বাউফল উপজেলা থেকে সাতটি লঞ্চে প্রায় ১২ হাজার নেতাকর্মী জনসভায় যোগ দেবেন বলে শুনেছি। এছাড়া অন্য জেলা-উপজেলা থেকে লঞ্চে আসবেন অনেকেই।’

About admin

Check Also

মেয়ের সঙ্গে ঈদ করা হলো না বাবার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আবু জাহের। দীর্ঘ চার বছর পর বিদেশ থেকে দেশের মাটিতে ফিরেছেন। দেশে …