সেই রাতে ছেলেকে ফোনে যে ‘কথাটি’ বললেন খাইরুন

লাশ উদ্ধারের এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নাটোরের সেই খাইরুন নাহার। মূলত জীবিত থাকতেই ছাত্র মামুনকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন এ নারী। তবে ভালোবাসার মানুষটির জন্যই তিনি পৃথিবী ছেড়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। খাইরুনের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই একে একে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এরই মধ্যে বেরিয়ে এসেছে সেই রাতে ছেলের সঙ্গে ৪০ সেকেন্ডের কথোপকথনের কথা। বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন খাইরুনের প্রথম ঘরের ছেলে সালমান নাফিস বৃন্ত। খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর এম হক কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার ছেলে বৃন্ত রাজশাহী সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছোট ছেলে অর্ক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বৃন্ত বলেন, শনিবার ঘটনার দিন রাত প্রায় ১১টার দিকে মাকে ফোন দেই। এ সময় দুই এমজি

পাওয়ারের আটটি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছেন বলে আমাকে জানান মা। এর বাইরে মা আর কথা বলতে পারেননি। এরপর সংযোগ কেটে মামুনকে ফোন দেই। দু-চারটি কথা হলেই খাইরুন ঘুমের ট্যাবলেট খান বলে জানান মামুন। এছাড়া আমাকে মায়ের কথা বলতে বলেন। পরদিন সকালে মামুনই ফোন দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি জানান।

মামুনের সব কথা মিথ্যা বলে দাবি বৃন্তের। মূলত তার মায়ের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কেনাসহ সবকিছুর জন্য টাকা নিতেন মামুন। এছাড়া সবসময় তার মাকে মানসিক চাপে রাখতেন। মামুনই তার মাকে হত্যা করেছেন অথবা আত্মহত্যায় উৎসাহ দিয়েছেন। এছাড়া ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দিতে চাইলে খাইরুনকে নিষেধ করেন মামুন।

এ নিয়ে ওই রাতে খাইরুনের সঙ্গে মামুনের কথা কাটাকাটিও হয়েছিল। নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার বলেন, খাইরুনের ময়নাতদন্তে সদর হাসপাতালের আরএমও সামিউল ইসলাম শান্তর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার গলায় দাগ ছাড়া শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এ জে মিন্টু বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন নিহতের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দীন।

কিন্তু এ মৃত্যুর সঙ্গে মামুন জড়িত বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা। এছাড়া খাইরুনের মৃত্যুর সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে মামুনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ১৪ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী কলেজছাত্র মামুনকে আটক করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

সেই রাতে মায়ের ‘বিপদ’ জানতেই মামুনকে ফোন করেন বড় ছেলে, কিন্তু…: খাইরুন নাহার। ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তবে ২০ বছরের সংসার ভেঙে ছাত্রকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন কলেজের এ অধ্যাপক। ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে বেশ কিছুদিন সংসারও করেন। এর মধ্যেই নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন প্রথম ঘরের দুই ছেলের সঙ্গে।

আর এ যোগাযোগই হয়তো কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জীবনে। ছাড়তে হলো রঙিন এ পৃথিবী। আলোচিত এ শিক্ষিকা লাশ হওয়ার পেছনে কলেজছাত্র স্বামীর হাত রয়েছে বলে মনে করছেন খাইরুনের প্রথম পক্ষের ছেলে সালমান নাফিস বৃন্ত। জানিয়েছেন সেই রাতে মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে হওয়া শেষ মুহূর্তের কথাও। ঘটনার দিন রাত ১১টার কিছুক্ষণ আগে মায়ের কাছে ফোন দেন ছেলে বৃন্ত।

আর ফোন ধরতেই ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ার কথা জানান মা খাইরুন নাহার। মুঠোফোনে তাদের কথোপকথন হয়েছিল মাত্র ৪০ সেকেন্ড। মায়ের এমন বিপদের কথা জানতেই ফোন করেন কলেজছাত্র স্বামী মামুনের কাছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। উল্টো খাইরুনের এমন অভ্যাস নিত্যদিনের বলে জানান মামুন। কোনোভাবে রাত পার

করেন বৃন্ত। আর সকাল হতেই খবর আসে মায়ের আত্মহত্যার। তবে এ ঘটনায় মামুনকেই দুষছেন খাইরুনের কলেজপড়ুয়া এ ছেলে। খাইরুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর এম হক কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার ছেলে বৃন্ত রাজশাহী সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছোট ছেলে অর্ক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বৃন্ত বলেন, শনিবার ঘটনার দিন রাত প্রায় ১১টার দিকে মাকে ফোন দেই।

এ সময় দুই এমজি পাওয়ারের আটটি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছেন বলে আমাকে জানান মা। এর বাইরে মা আর কথা বলতে পারেননি। এরপর সংযোগ কেটে মামুনকে ফোন দেই। দু-চারটি কথা হলেই খাইরুন ঘুমের ট্যাবলেট খান বলে জানান মামুন। এছাড়া আমাকে মায়ের কথা বলতে বলেন। পরদিন সকালে মামুনই ফোন দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি জানান। মামুনের সব কথা মিথ্যা বলে দাবি বৃন্তের। মূলত তার মায়ের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কেনাসহ সবকিছুর জন্য টাকা নিতেন মামুন।

এছাড়া সবসময় তার মাকে মানসিক চাপে রাখতেন। মামুনই তার মাকে হত্যা করেছেন অথবা আত্মহত্যায় উৎসাহ দিয়েছেন। এছাড়া ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দিতে চাইলে খাইরুনকে নিষেধ করেন মামুন। এ নিয়ে ওই রাতে খাইরুনের সঙ্গে মামুনের কথা কাটাকাটিও হয়েছিল। নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার বলেন, খাইরুনের ময়নাতদন্তে সদর হাসপাতালের আরএমও সামিউল ইসলাম শান্তর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়।

প্রাথমিকভাবে তার গলায় দাগ ছাড়া শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এ জে মিন্টু বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন নিহতের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দীন। কিন্তু এ মৃত্যুর সঙ্গে মামুন জড়িত বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা।

এছাড়া খাইরুনের মৃত্যুর সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে মামুনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ১৪ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী কলেজছাত্র মামুনকে আটক করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

About admin

Check Also

মেয়ের সঙ্গে ঈদ করা হলো না বাবার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আবু জাহের। দীর্ঘ চার বছর পর বিদেশ থেকে দেশের মাটিতে ফিরেছেন। দেশে …