(A টু Z) বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে

(A টু Z) বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে? বিসিএস ক্যাডার হওয়া কি খুব কঠিন? আমি কি বিসিএস ক্যাডার হতে পারব? বর্তমান তরুণ তরুণীদের মনে এমন হাজারো প্রশ্ন। কেননা বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস ক্যাডার অর্থাৎ বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট সবার প্রথমে। তাই তাদের মধ্যে ক্যাডার হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছা ও অনেক বেশি দৃঢ়। মূলত এ কারণেই আমাদের আজকের এই আয়োজন। আজ আমরা এই আলোচনার মাধ্যমে পাঠকদের মনের সকল প্রশ্নের উত্তর দেব।

বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে

তো বন্ধুরা, আপনারা যারা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাদেরকে বলব– আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কেননা বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে— এ সম্পর্কিত সকল নানা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। তাহলে আসুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা পর্ব শুরু করা যাক।

বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবেঃ বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে? যে বা যারা এই প্রশ্নটি করেন তাদেরকে প্রথমেই আমরা যে কথাটি বলবো সেটা হচ্ছে—”বিসিএস ক্যাডার হতে হলে আপনাকে পড়তে হবে, পড়তে হবে, পড়তে হবে এবং বিসিএস ক্যাডার এর যে সকল যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা প্রয়োজন সেগুলো অর্জন করতে হবে। আর এই বাক্যটি যদি আপনি গভীরভাবে চিন্তা করেন এবং উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে আপনার এর বাইরে আর কোন কিছুই জানার থাকবে না এবং আপনি বিসিএস ক্যাডার হতে হলে আর কি কি করতে হবে এমন কোন প্রশ্ন কাউকে জিজ্ঞাসাও করবেন না।

কেননা এটা আমরা প্রত্যেকে জানি যে পড়ার কোন বিকল্প নেই। আর শুধু বিসিএস ক্যাডার নয়, আমরা যেকোনো পরীক্ষায় যে কোন চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারি, যদি আমরা সেই সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানি এবং ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারি। তবুও শর্টকাটে আমরা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য কি কি করতে হবে এমন কিছু টিপস ও ট্রিকস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

কেননা বিসিএস ক্যাডার নিয়ে আমাদের মনে একটা ধোঁয়াশা কাজ করে এবং আমরা এটাকে অনেকেই অনেক বেশি জোরালো মনে করি। আর তাইতো কারো কারো এটাও প্রশ্ন থেকে থাকে, বিসিএস ক্যাডার হতে চাইলে কিভাবে নিজেকে তৈরি করব? আবার কোন কোন শর্ত পূরণ করার মাধ্যমে বিসিএস ক্যাডার হওয়াটা সহজ হয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

বিসিএস ক্যাডার হতে হলে করতে হবে

কোন কোন শর্ত পূরণ করতে পারলে বিসিএস ক্যাডার হওয়া যাবে? বিসিএস ক্যাডার হওয়ার কিছু পূর্ব শর্ত রয়েছে।

আর এমনই কয়েকটি শর্ত হচ্ছেঃ-

  • তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করা
  • সঠিক পরিকল্পনা করা
  • সময় ম্যানেজমেন্ট করতে পারা
  • পরিশ্রমী হয়ে ওঠা
  • প্রস্তুতি ও কৌশলী হওয়া

শর্ত ১:- তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগ্রতঃ দেখুন কোন কিছুর প্রতি যদি আপনার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে থাকে এবং সেটা না পাওয়া পর্যন্ত আপনার কোন কিছুই না ভালো লাগে, তাহলে সেই জিনিসটা অর্জন করে নেওয়াটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাই আপনি যদি বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষাটা জাগিয়ে রাখতে হবে। আর আপনারা নিশ্চয়ই পাউলো কোয়েলহোর সেই উক্তিটি সম্পর্কে জানবেন, যিনি তার লেখা বিখ্যাত‘The Alchemist’ গ্রন্থতে বলেছিলেন — “তুমি যদি কোন কিছু পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা পোষণ কর।

মহাবিশ্বের সবকিছুই ষড়যন্ত্র শুরু করে দেবে তোমাকে সেটি পাইয়ে দিতে” কি অদ্ভুত কথা তাই না! আর তাই এই উক্তিটি শোনার পর প্রায় 95% মানুষের মুখে একটা মিষ্টি হাসি এসে থাকে সেই সাথে মনের মধ্যে একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও সাহসের উদ্ভব ঘটে। আর সত্যি বলতে এই লাইনটিতে যেটা বলা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ সত্যি এবং বাস্তব। আর আমরা যদি law of attraction এ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা রাখি তাহলে এটা নিশ্চয়ই জানবো যে, এই প্রকৃতিতে এমন কোন কিছু নেই যেটা আমরা চাই।

সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা মানুষ প্রকৃতির কাছে যেটা চাইব সেটা পূর্বে থেকেই রয়েছে। সুতরাং আমরা যেটা মন থেকে চাইবো সেটা আমরা অবশ্যই পাবো। তাই আপনি যদি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাহলে আপনার সেই তীব্র আকাঙ্ক্ষা আপনার সেই স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার পথে ম্যাজিক এর মত কাজ করবে।

সত্যি এটাই কিছু কিছু তীব্র আকাঙ্ক্ষা আপনাকে বাধ্য করবে কাঙ্খিত সেই জিনিসটি পেতে। অতএব বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করলে প্রথমত মনের মধ্যে একটা তীব্র আকাঙ্ক্ষার সচ্চার ঘটান এবং তা বজায় রাখুন যতদিন না পর্যন্ত আপনি আপনার কাঙ্খিত সেই বস্তুটি অর্জন করতে পারছেন।

বিসিএস ক্যাডার করতে হবে

শর্ত ২:- সঠিক পরিকল্পনা করাঃ শুধু বিসিএস ক্যাডার নয় আপনি যদি জীবনের যেকোনো লক্ষে পৌঁছাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটা সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। আর তাই বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ক্ষেত্রে আপনার পরিকল্পনাও হতে হবে একান্তই আপনার নিজের মত। অনেকেরই ধারণা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক বেশি উন্নত হতে হয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে।

তবে যাদের মনে এমন ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তারা অতি দ্রুত সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন আর এখনই নিজের একটা সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে ফেলুন। আপনি কোন কোন বিষয় কিভাবে পড়বেন? কোন বিষয়গুলো আপনার কাছে সহজ এবং কোন বিষয়গুলো আপনার কাছে কঠিন কোন বিষয়ের দিকে আপনার অধিক বেশি নজর দেওয়া উচিত বা জরুরী!

প্রথমত এগুলো বাছাই করুন এরপর পরিকল্পনা করুন যে আপনি ধাপে ধাপে কি কি করতে চাচ্ছেন। আপনার সুন্দর একটা পরিকল্পনা আপনাকে অবশ্যই সুন্দর একটা জীবন দিতে সাহায্য করবে। তাই বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য দ্বিতীয় শর্ত হিসেবে আমরা রাখব সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ।

শর্ত ৩:- পরিশ্রমী হওয়াঃ দেখুন আপনি বিসিএস ক্যাডার হবেন, এই নিয়ে ইয়া বড় একটা স্বপ্ন দেখলেন। এরপর পরিকল্পনা করলেন কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি পরিশ্রমে না হন তাহলে কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা আপনার সেই পরিকল্পনা দিয়ে কিছু হবে না। তাই আপনাকে পরিকল্পিত পরিশ্রম করতে হবে। সত্যি বলতে আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন চাকরি পেতে পরিশ্রম কিন্তু প্রত্যেকে করে কিন্তু উপযুক্ত পরিশ্রম হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র করে থাকে। আর তাই সে সকল মানুষের কপালে চাকরি জোটে আর বাকিগুলো শুধু কপাল চাপটায়।

শুধুমাত্র প্রশাসন বর্তমান অবস্থা দায়ী এগুলো বলে কোন লাভ নেই। আপনি যদি আপনার বেকারত্বময় জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে চান তাহলে আপনাকে শিখতে হবে, জানতে হবে এবং পরিশ্রমী হতে হবে। এক কথায় আপনাকে প্রচন্ড কষ্ট করতে হবে। বর্তমান সমাজে যেমন অনৈতিকভাবে অনেক কাজকর্ম হচ্ছে ঠিক একইভাবে নৈতিকভাবেও এমন অনেক কাজ হচ্ছে যারা শুধুমাত্র নিজের যোগ্যতার জোরে অনেক ক্ষেত্রেই চাকরি করছে এবং ভালো ভালো পর্যায়ে রয়েছে। অতএব আপনি আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রম করার সিদ্ধান্ত নিন।

আর হ্যাঁ আমাদের মাঝে কিছু মানুষের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যারা চাকরির পড়াশোনা এবং একাডেমিক পড়াশোনা এক করে ফেলেন। তবে এটা মাথায় রাখবেন একাডেমিক পড়াশোনা এবং চাকরির পড়াশোনার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আর তাই চাকরির পড়াশোনার জন্য আপনার আলাদা পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং আলাদা সময় দিতে হবে সেই অনুযায়ী পরিশ্রম করতে হবে।

তবে যারা বিসিএস দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন এবং বিসিএস ক্যাডার হবেন তাদেরকে সাজেস্ট করব অনার্সের শুরু থেকে বিসিএস প্রস্তুতির দিকে ভালোভাবে ফোকাস দেওয়ার। এতে করে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে এবং বিশেষ পরীক্ষায় যে প্রশ্নগুলো এসে থাকে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করা যাবে। তবে অনেকেই রয়েছেন যারা অল্প সময়ের মধ্যেও ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেন। তবে এটা হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র।

শর্ত ৪. সময় ম্যানেজমেন্টঃ সময় সময়ের নিয়মে চলে। আর তাই আমরা সময়কে থামিয়ে রাখতে পারব না। এজন্য আপনি যদি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন অর্থাৎ সময়কে ম্যানেজ করতে পারেন ভালোভাবে তাহলে আপনার জন্য যে কোন কঠিন কাজ করা অনেক সহজ হবে। যারা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাদের সময় ম্যানেজমেন্ট করা জানতে হবে। কেননা বিসিএস প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আপনি আলাদা কোন বছর পাবেন না।

আপনাকে অনার্সের জন্য পড়াশোনা করতে হবে পাশাপাশি আপনি বিসিএস প্রস্তুতি নেবেন। আবার আমাদের মাঝে এমন মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক সন্তানই থেকে থাকে যারা চাকরি, পড়াশোনা ক্লাস বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। যেটা সত্যিই অসম্ভব বলা চলে।

তবে কেউ যদি তার তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং সঠিক পরিকল্পনা ও সময় ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে সকল কিছু আয়ত্ত করতে পারে তাহলে তার পক্ষেও বিসিএস ক্যাডার হওয়া সম্ভব। অতএব চতুর্থ শর্ত হিসেবে আপনি টাইম ম্যানেজমেন্ট করা শিখুন। তাহলে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য আপনি নিজেকে যথোপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

শর্ত ৫:- প্রস্তুতি ও কৌশলীঃ প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র তারাই টিকে থাকতে পারে যারা প্রস্তুতি ও কৌশলী হয়ে থাকে। আপনি যদি অতিরিক্ত মেধাবী স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তবুও আপনি বিসিএস ক্যাডার হতে পারবেন না যদি আপনার প্রস্তুতি ভালো না থাকে এবং আপনি কৌশলী না হোন। অতএব পঞ্চম শর্ত হিসেবে প্রস্তুতি ও কৌশলী এই বিষয়টিকেও আপনার ফোকাস করতে হবে। বিসিএস এর জন্য আপনাকে কখন কোন বই পড়তে হবে, কোন বইগুলো থেকে আপনি কমন পাবেন এগুলো কেউ আপনাকে বলে দেবে না।

এই প্রত্যেকটি বিষয় এনালাইসিস করার মাধ্যমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং জানতে হবে। পাশাপাশি কৌশলী হওয়া অধিক বেশি জরুরী। আর এটা শুধুমাত্র বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ক্ষেত্রে নয় যেকোনো উদ্দেশ্য পূরণের ক্ষেত্রে আপনি যদি আলাদা কিছু কৌশল অবলম্বন করেন তাহলে সেটা অর্জন করে নেওয়াটা অনেকটাই সহজ হয়ে দাঁড়ায়।

তো পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যারা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এবং বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন ভাবছেন, তাদেরকে বলব এই পাঁচটি শর্ত সর্বদা মাথায় রাখুন এবং সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করুন ও প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এবার আসুন আলোচনার শেষ পর্যায়ে বিসিএস ক্যাডার হওয়া নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর জেনে নেওয়া যাক।

বিসিএস ক্যাডার নিয়ে সাধারণ প্রশ্নাবলী

বিসিএস ক্যাডার কিঃ বিসিএস শব্দের অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। আর যে বা যারা ক্যাডার হিসেবে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট কিছু কাজ করার সুযোগ পায় তাদেরকে বিসিএস ক্যাডার বলা হয়ে থাকে।

কয় ধরনের ক্যাডার হওয়া যায়?

মোট তিন ধরনের ক্যাডার হওয়া যায়ঃ-

  • সাধারণ ক্যাডার
  • শিক্ষা ক্যাডার এবং
  • প্রফেশনাল ক্যাডার

এই তিন ধরনের আবার আলাদা আলাদা প্রকারভেদ রয়েছে। আর সেগুলোর উপর ভিত্তি করে বলা হয় সর্বমোট ২৭ ধরনের ক্যাডার হওয়া যায় আমাদের বাংলাদেশে। যার মধ্যে ১১ টি সাধারণ ক্যাটাগরির এবং ১৬টি হচ্ছে পেশাগত বা কারিগরি ক্যাটাগরির।

বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট

বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট হলোঃ-

  • পররাষ্ট্র
  • প্রশাসন
  • পুলিশ
  • পরিবার পরিকল্পনা
  • সমবায়
  • ডাক
  • তথ্য
  • খাদ্য
  • বাণিজ্য
  • রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক
  • নিরীক্ষা ও হিসাব
  • কর
  • শুল্ক ও আবগারি

বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা

বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে চাইলে এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত পাশ করতে হবে। আমরা সাধারণত, স্নাতক বলতে ৪ বছর মেয়াদী কোর্স বুঝি। তবে আপনি চাইলে এইচএসসি পরীক্ষার পরবর্তীতে তিন বছরের ডিগ্রি সম্পন্ন করে মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর পাস করার পরবর্তীতে বিসিএস ক্যাডারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিসিএস ক্যাডার হতে কত পয়েন্ট লাগেঃ এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি/স্নাতক এবং মাস্টার্স মিলিয়ে আপনার যদি ১১.৫০ পয়েন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি বিসিএস ক্যাডার এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। কেননা শিক্ষাজীবনে একটি থার্ড ক্লাস রেজাল্ট থাকলেও বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। ধরুন:

  • এসএসসিতে আপনি পেয়েছেন= ৪.০০ পয়েন্ট
  • এইচএসসিতে পেয়েছেন= ২.৫০ পয়েন্ট
  • ডিগ্রী বা স্নাতকে পেয়েছেন= ৩.০০ পয়েন্ট এবং
  • মাস্টার্সে পেয়েছেন= ৩.০০ পয়েন্ট।

অতএব আপনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, এইচএসসিতে কম পয়েন্ট থাকলে বিসিএস ইন্টারভিউ পরীক্ষা থেকে বাদ পড়ার বেশি সম্ভাবনা থেকে থাকে।

বিসিএস ক্যাডারের বেতন কতঃ একজন বিসিএস ক্যাডার চাকরির শুরুতে ৯ম গ্রেডে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে থাকে। আর ৯ম গ্রেডের বেতন স্কেল ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা। চাকরিতে প্রবেশের সময়ে একটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পেয়ে মুল বেতন দাঁড়ায় ২৩,১০০/- টাকা। তবে ক্যাডারের ধরন অনুযায়ী বেতনের তারতম্য হয়ে থাকে।

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা বয়স কত

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা বয়স হলো ১৮ থেকে ৩০ বছর।

বিসিএস ক্যাডার হতে গেলে কোন বিষয়ে পড়াশোনা করা বেশি ভালোঃ বিসিএস ক্যাডার হতে গেলে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে পড়ার প্রয়োজন পড়ে না। কেননা এক্ষেত্রে আপনি কোন বিষয়ে পড়েছেন তার থেকে বেশি জরুরী আপনার কি কি দক্ষতা রয়েছে এবং আপনি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ক্ষেত্রে কতটুকু যোগ্য। তাই যেকোনো বিষয় থেকে আপনি বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।

বিসিএস ক্যাডার হতে কত বছর লাগেঃ বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য মোটামুটি ৪ বছরের মত সময় লাগে। পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে চূড়ান্ত ফলাফল পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আপনাকে সময় দিতে হবে ১.৫ থেকে প্রায় ০৪ বছর।

About admin

Check Also

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক পাঠক বন্ধুদের জানাই স্বাগতম। কেননা আজ আমরা– বিদায় অনুষ্ঠানের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *