আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। জাতির পিতা বলে গেছেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরিতা নয়।’ আমরা যথাযথভাবে সে কথা মেনে চলছি। আমরা আমাদের দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”
আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৮৩ তম বিএমএ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শপথের মধ্য দিয়ে কমিশন প্রাপ্ত অফিসারদের দেশের প্রতি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে সবাইকে।’ তিনি জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
এদিকে আশাবাদ ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকের নবীন অফিসাররা উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।’ এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প্যারেড কমান্ডার মেজর নাইম হাসনাইনের নেতৃত্বে অফিসার ক্যাডেটরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।
আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণার পর চেয়ার ভাঙচুর
আজ বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ৩ ডিসেম্বর বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে ফেসবুকে চেয়ার ছোড়াছুড়ির একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। উপস্থিত নেতা-কর্মীরা জানান, শনিবার বিকেলে কমিটি ঘোষণার পরপরই দর্শক সারির নেতাকর্মীদের একটি অংশ সম্মেলন-স্থলের চেয়ার ভাঙচুর করেন।
এদিকে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে এহতেশামূল আলমকে সভাপতি ও মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলকে আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছেন সদ্য সাবেক কমিটির সহসভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, সাধারণ সম্পাদক পদে অপরিবর্তিত রয়েছেন সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছেলে মোহিত-উর-রহমান শান্ত।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, শনিবার বিকেলে সম্মেলন শেষে অতি উৎসাহী কিছু লোক সম্মেলন-স্থলের কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। কার সমর্থকরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।
এর আগে গত ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সম্মেলনস্থলে কমিটি ঘোষণা হয়নি। একই বছরের ১০ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া মহানগর কমিটিতে সভাপতি হন এহতেশামুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন মোহিত উর রহমান।