সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে আগের দুই বারের দেখায় জয়ের দেখা পায়নি ব্রাজিল। তবে শেষমেষ জালের দেখা মিলল ব্রাজিলের। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল ছিল গোলশূন্য। বিরতির পর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠেছিল ম্যাচ। তবে তিতেকে হতাশ হতে দেননি ক্যাসেমিরো। ম্যাচের ৮৩ তম মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্রাজিলকে লিড এনে দেন তিনি। তবে সে গোল আর সোধ করতে পারেনি সুইসরা।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একাধিক পরিবর্তনে আক্রমণের ধার বাড়ায় সেলেসাওরা। গোলও এসেছিল ৬৪ তম মিনিটে। কিন্তু ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দুর্দান্ত সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি। ম্যাচের মাত্র ৭ মিনিট বাকি থাকতে ক্যাসেমিরোর পা থেকে আসে সেলেসাওদের এ জয়ের গোল।
এই একটিমাত্র গোলেই ইউরোপের শক্তিশালী দল সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ‘জি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে নিয়েছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
খেলা দেখতে গেছেন মালিক, ৫ গরু নিয়ে গেল চোর!
নেত্রকোনার মদনে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে চায়ের দোকানে যান লুৎফর রহমান। খেলা শেষে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখতে পান তাঁর পাঁচটি গরু নেই। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পাঁচটি গরুসহ তিন চোরকে গ্রেপ্তার করেছে মদন থানার পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানি গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জোসেফ মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে রানা (৩০) ও জয়পাশা গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া বয়াতির ছেলে মুসা (৩৬)।
পুলিশ জানায়, কেশজানি গ্রামের লুৎফর রহমান ২৩ নভেম্বর রাতে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে চায়ের দোকানে যান। খেলা শেষে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখতে পান তাঁর পাঁচটি গরু নেই। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মদন থানায় একটি মামলা করেন তিনি। এ ঘটনার সন্দেহে মুসাকে আটক করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুর রহমান জোসেফ ও রানাকে গ্রেপ্তার করেন।
পরে বারড়ী এলাকার দষাশির একটি জঙ্গল থেকে পাঁচটি গরু উদ্ধার করা হয়। মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তারসহ চুরি হওয়া পাঁচটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পাঁচটি গরু জিম্মায় রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হবে।