অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পেট ফেঁটে জন্ম নেওয়া সেই শিশু ফাতেমা

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় মায়ের পেট ফেঁটে জন্ম নেয়া সেই শিশু ফাতেমা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। সেই সাথে ফাতেমার সাথে দেখা করার জন্য সময় বেধে দেয়া হয়েছে এবং শিশুর সাথে দেখা করতে যাওয়া লোকদের সাথে অশোভন আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে শিশু ফাতেমার দাদা মো. মোস্তাফিজির রহমান এমন অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে ফাতেমার দাদা মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আজ ছোটমণি নিবাসে আসার পর আমাদের দেখা করার ২০ মিনিট সময় বেধে দেয়। পরে আমি না গিয়ে শিশুর দাদি সুফিয়া খাতুন ও আমার নাতনি জান্নাতকে পাঠাই। তারা গিয়ে দেখে এসে আমাকে জানায় ফাতেমা ডায়রিয়া হয়েছে ও স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। একই সাথে তার শরীরে অসংখ্য মশার কামড়ের চিন্হ রয়েছে।

পরে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আমার সাথে বাজে আচরণ করে ছোটমণি নিবাসে কর্মচারীরা। এর কিছুক্ষন পরেই চিকিৎসার জন্য ফাতেমাকে আমার সামনে দিয়েই হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তবে, আমি যেতে চাইলে তারা আমাকে নেননি। পরে আমি বের হয়ে চলে আসছি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফাতেমার সাথে দেখা করতে গেলে ৩০ মিনিট সময়ের জন্য আমাদের দেখা করতে দেয়। ওই দিনও আমাদের সাথে বাজে আচরণ করে।

অসুস্থ হওয়া বা হাসপাতালে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আজিমপুরে অবস্থিত ছোটমণি নিবাসের উপ-তত্বাবধায়ক জুবলি বেগম রানু গণমাধ্যমকে বলেন, ওই শিশুর দাদা প্রতি সপ্তাহে এসে সারাদিন বসে থাকে। তাদের খাওয়া দাওয়া করাতে হয়। তাছাড়া, আমার এখানে মহিলা জগৎ। এখানে একজন পুরুষ মানুষ সারাদিন কিভাবে থাকে। তাই, তাদের জন্য ৩০ মিনিট সময় বেধে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাচ্চা লালনপালন করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে শিশু কল্যাণ বোর্ড। বাচ্চা দেখাশোনা করার দায়িত্ব আমার। কখন বাচ্চাকে হাসপাতালে নেব, চিকিৎসা করাব সেটা আমাদের বিষয়। তিনি অভিযোগ দিলে শিশু কল্যাণ বোর্ড দিতে পারেন।

শিশুর অসুস্থতার কথা আবারও জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাচ্চাটার সমস্যা হচ্ছে, সে দিনে তিন থেকে থেকে চারবার পায়খানা করে। এটা কোন সমস্যা না বলেও জানান তিনি।

গত ১৬ জুলাই ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাক-চাপায় এক দম্পতি ও তাদের ছয় বছরের মেয়ে নিহত হয়। এসময় ট্রাক চাপায় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পেট ফেটে এক মেয়ে সন্তান জন্ম দেন। উপজেলার কোর্ট ভবন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিশুটির নাম রাখা হয় ফাতেমা। পরে শিশুটিকে রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত ছোটমণি নিবাসে আনা হয়।

১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়: আমান

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে, অন্য কারো কথায় নয়। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, লোডশেডিং বন্ধ ও জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আমাদের ঘোষিত কর্মসূচিতে আমাদের পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে গুলি করে।

নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন। রাজপথে ফয়সালা হবে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এরই মধ্যে পাঁচজন রক্ত দিয়েছেন। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে তারা বলে গেছেন আমাদের রক্তের ঋণ তখনই শোধ হবে, যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, যখন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।’ পাঁচজন কেন, যদি পাঁচ হাজারও শহীদ হতে হয়; এই দেশে শেখ হাসিনার অধীন কোনো নির্বাচন হবে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমান বলেন, প্রস্তুতি নিন, কর্মসূচি আসছে; কাঁচপুর, টঙ্গী ব্রিজ, মাওয়া রোড, আরিচা রোড, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া—সারা বাংলাদেশ বন্ধ করে দেবেন। এ বাংলাদেশ চলবে না। আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে দেশ চলবে না কারো কথায়। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা শহীদ হব, কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অধীন কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকারের বিদায় ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরব।

About admin

Check Also

ঢাকা কলেজের সামনে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মরদেহ

ঢাকা কলেজের সামনে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মরদেহ

ঢাকা কলেজের সামনে থেকে একজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। …