২৫ বছর বয়সী উসমান আরশাদের স্বপ্ন আগামী বছরের হজে অংশগ্রহণ করা। এ উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের পাঞ্জাব জেলার ওকারা থেকে পবিত্র নগরী মক্কায় পথে হেঁটে রওয়ানা হয়েছেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের গণমাধ্যম গালফ নিউজের খবর অনুযায়ী, হজ পূরণে স্বপ্নযাত্রায় উসমান সাথে নিয়েছেন শুধুমাত্র একটি ছোট ব্যাকপ্যাক, একটি কালো ছাতা ও একজোড়া ট্রেকিং জুতা।
একাধিক স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আরশাদ তার নিজ শহর ওকারা থেকে গত ১ অক্টোবর এই যাত্রা শুরু করেন। আট মাসের মধ্যে তিনি তার স্বপ্নের গন্তব্যে পৌঁছাবেন বলে আশা করছেন। উসমান আরশাদ ইরান, ইরাক, কুয়েতসহ পাঁচটি দেশ পাড়ি দিয়ে সৌদি পৌঁছবেন। এতে পাকিস্তানি ওই তরুণকে ৫ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে হবে। এখন প্রতিদিন তিনি গড়ে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ হাঁটছেন। গত বছর আরশাদ হেঁটে ৩৪ দিনে ‘শান্তিপূর্ণ পাকিস্তানের প্রচারণা’র অংশ হিসেবে ওকারা অঞ্চল থেকে চীন সীমান্তের খুঞ্জেরাব পাস পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ২৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। মূলত তখন থেকেই হেঁটে হজ যাত্রার কথা তার ভাবনায় আসে।
উসমান জানান, ‘যখন আমি খুঞ্জেরাব থেকে ফিরে আসি, তখন আমি হজের জন্য মক্কায় হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এটাই সেই যাত্রা যা প্রত্যেক মুসলমানের কাম্য। আমি পায়ে হেঁটে এই স্বপ্নের যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ আমি হাঁটতে ভালোবাসি’। তিনি আরো জানান, এই যাত্রার জন্য তার এবং তার পরিবারের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বা ৬৮০০ ডলার খরচ হবে। তিনি প্রায় এক বছর ধরে এই সফরের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও ভিসা সংগ্রহ ছাড়াও তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
ওসমান তার এই দীর্ঘ যাত্রায় সারাদিন হাঁটার পর রাতে তিনি মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা স্থানীয়দের বাসায় অবস্থান করছেন। তার ব্যাগে কয়েকটি কাপড়, মোবাইল ফোন, চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক, ছাতা, টর্চ, পানির বোতল এবং একটি ওষুধের বক্স রয়েছে। আরশাদ বলেন, আমার যদি অন্য কিছুর প্রয়োজন হয় তবে আমি কিনে নেব। কারণ আমি ভারী জিনিস বহন করতে চাই না, এতে আমার গতি কমিয়ে দেবে।