খুলনার দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ রহিমা খাতুনের সন্ধান মিলেছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা খুলনার দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুল হায়দার।
গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রহিমা খাতুন। ঘণ্টা পার হলেও তিনি বাসায় ফিরে আসেননি। পরে মায়ের খোঁজে সন্তানরা নিচে নেমে ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
২৭ দিন পর ময়মনসিংহে উদ্ধার করা একটি মরদেহকে নিজের মায়ের বলে দাবি করেছিলেন রহিমা বেগমের তিন মেয়ে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৩ মিনিটে রহিমা খাতুনের মেয়ে (মরিয়ম মান্নান) ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন। ফেসবুর স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন ‘আর কারো কাছে আমি যাবো নাহ! কেউকে আর বলবো নাহ আমার মা কোথায়! কেউকে বলবো নাহ আমাকে একটু সহোযোগিতা করুন! কেউকে বলবো নাহ আমার মাকে একটু খুঁজে দিবেন! কেউকে আর বিরক্ত করবো নাহ! আমি আমার মাকে পেয়ে গেছি!
এর আগে এ ঘটনায় করা মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা থেকে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর প্রক্রিয়া মেনে ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই। এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু এর মধ্যে রহিমা বেগমকে খুঁজে পাওয়ার তথ্য জানাল পুলিশ।
এক পরিচিতের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা বেগম: পুলিশ
খুলনার মহেশ্বরপাশায় নিখোঁজ রহিমা বেগমকে (৫২) অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক পরিচিতের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করছে পুলিশ।
নিখোঁজের প্রায় একমাস পর আজ শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বোয়ালমারী থানা এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মহানগরের একটি দল।
খুলনা মহানগরের দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, অভিযান পরিচালনাকারী দলের সঙ্গে তিনিও ফরিদপুর গিয়েছেন। রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে তাঁরা এখন খুলনার পথে।
রহিমা বেগম স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন জানিয়ে ওসি বলেন, ‘তিনি সেখানে কুদ্দুস মোল্ল্যা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ছিলেন। ২৮ বছর আগে এ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখানে তিনি স্বাভাবিকভাবে থাকছিলেন। কিন্তু উদ্ধার করার পর তিনি আর কথা বলছেন না।’
এদিকে এ ঘটনার পরই ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তিনি লিখেছেন, ৭১ টিভি এবং প্রথমআলো থেকে আমাকে কল দিয়ে আমাকে জানালো আমার মা’কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনার পুলিশ সুপার কল দিয়ে জানালেন আমার ছোট বোনকে আমার মা’কে পাওয়া গিয়েছে। আমার থেকে খুশি এই মুহুর্তে কেউ নেই।আমি এই মুহুর্তে খুলনা যাচ্ছি। ধন্যবাদ সকলকে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে নিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা। এরপর থেকে প্রায় একমাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
আমাকে ভুল বুঝবেন নাহ: মরিয়ম মান্নান
প্রায় ২৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন মরিয়ম মান্নান।
যেখানে তিনি লিখেছেন, সন্তান মা’কে খুজবে খুব স্বাভাবিক। আপনার মা হারিয়ে গেলে আপনিও খুজতেন।ফুলপুরের লাশ পর্যন্ত গিয়েছি মা’কেই খুজতে।ফুলপুর থানার অসি কে আমি তাদের দেয়া একটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই কল দেই। ওখানে যাই ডিএনএ টেস্টের জন্য আবেদন করি।আমার মা’কে আমি খুজেছি,সব যায়গায় যেয়ে একটা কথাই বলেছি আমার মা’কে চাই।মা যদি আত্নগোপন করেন তাকে এনে শাস্তি দিন তাও আমার মা আমার চোখের সামনে এনে দিন দয়াকরে।
আজকে মা’কে পাওয়া গিয়েছে,আমি মায়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। মায়ের সাথে এখনো দেখা হয়নি,কথাও হয়নি।মায়ের কোন ভিডিও অথবা অডিও পাইনি যেখানে মা বলেছেন তিনি আত্মগোপন করেছেন। সকলের কাছে কাছে গিয়েছি মা’কে খুজে পেতে, যাদের কাছে গিয়েছি তারা জানেন কি চেয়েছি আমি।মা’কে চাওয়া ছাড়া আর কিছু চাওয়া আমার ছিলো নাহ।এখনো নেই।দয়াকরে আমার মা’কে আমার মায়ের সাথে আমার দেখা নাহ হওয়া পর্যন্ত আমাকে ভুল বুঝবেন নাহ।আমি মাকে খুঁজেছি,সন্তান হিসেবে আমার দায়িত্ব তাঁকে খোঁজা। মা এই তিরিশ দিন কোথায় ছিলো কিভাবে ছিলো সেটা আপনাদের মতো আমারও প্রশ্ন। আমার মায়ের সাথে আমাকে কথা বলতে দিন। আমার মায়ের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত আমাকে সহোযোগিতা করুন।মা যদি আত্নগোপন করেও থাকেন তবুও তাকে খোঁজার দায়িত্ব আমার।
আমি মা’কে খুজতেছি বলে আমাকে বলা হচ্ছে মায়ের আত্নগোপনে আমি জরিত? তাহলে আমার কি করা উচিত ছিলো? যখন শুনেছি আমার মা নিখোঁজ তখন চুপ করে বসে থাকা উচিত ছিলো?যারা প্রথমদিন থেকে বলছিলেন মা আত্মগোপন করেছেন তাদের কথা শুনে মা’কে আর খুজতাম নাহ?মা’কে খুজেছি বলে আমাকে আমাকে দোষী করা হবে?
আপনারা আমাকে যে যাই দোষ দিন নাহ কেন,প্রথম দিন থেকে আমি ছুটিতেছি মা’য়ের জন্য।আজকে পেয়েও গিয়েছি।বারবার বলেছি মা আত্মগোপন করলে সামনে আনুন শাস্তি দিন আমার কলিজা জুরাক।আমার কলিজা শান্ত হইছে।মায়ের চেহারাটা দেখেই আমার শান্তি।আপনারা যে যাই বলেন, এখন আমার মা আমার সামনে। মা’কে খুঁজে পাওয়ার লড়াই ছিলো আমার। আপনারা সহোযোগিতা করেছেন।আপনাদের সহোযোগিতায় আজকে আমার মা’কে খুজে পেয়েছি।
প্রথম দিনের মতোই আজকেও আমার একটাই চাওয়া মা’কে ছাড়া কিছুই চাইনা।মাকে নিয়ে এই খুলনা শহর ছেড়ে দিবো,মাকে নিয়ে দূরে চলে যাবো।মা’কে চাওয়া ছাড়া কিছুই চাওয়ার নাই।যে যায়গা নিয়ে মামলা সেই জায়গাও চাই নাহ।শুধু মাত্র মা’কে চাই।মা’কে আমার কাছে নাহ পাওয়া পর্যন্ত আপনাদের সকলের সহোযোগিতা কামনা করছি।এবং আমি জানি একজন মা’কে তার সন্তানদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পৃথিবীর সকল মানুষ আমার পাশে থাকবেন। আমি খুশি, এক মুহুর্তের জন্যও বিচলিত নই।মাকে খুজতে যেয়ে যদি আমাকে দোষী হতে হয় আমি সেই দোষ মাথা পেতে নেওয়ার শক্তি এবং সাহস রাখি, ইনশাআল্লাহ।
খুলনা থেকে গোপালগঞ্জ-চট্টগ্রাম ঘুরে ফরিদপুরে যান রহিমা
খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে (৫২) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিখোঁজের প্রায় ২৮ দিন পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ দুইদিন আগেই রহিমা বেগমের সন্তান মরিয়ম মান্নান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে দাবি করেন, তার মায়ের মৃত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এমন দাবির দুইদিন পরেই তাকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক রহস্য ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে খুলনার দৌলতপুর থানায় ব্রিফিং করেন মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম, রহিমা বেগম ফরিদপুরে আছেন। পরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের নির্দেশে আমাদের দক্ষ কিছু কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।’
রহিমার অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছিল না জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘রহিমা বেগম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার সকল ডিজিটাল ডিভাইস বন্ধ করে রেখেছিল। তাকে আমরা কোনোভাবেই ট্র্যাক করতে পারছিলাম না। গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে যে বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই বাড়ির দুই নারীর সঙ্গে তিনি বসে গল্প করছিলেন, তবে আমাদের অফিসাররা তাকে উদ্ধারের পর কোনো কথার জবাব দেননি। সেই থেকে তিনি নির্বাক রয়েছেন।’
পুলিশের ভাষ্য, ফরিদপুরের সেই বাড়ি আটক কুদ্দুস মোল্লার, যিনি রহিমাদের খুলনার বাসায় ভাড়া থাকতেন। খুলনা শহরে পাটকলের শ্রমিক ছিলেন কুদ্দুস। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে রহিমার ছেলে মিরাজ একবার কুদ্দুসের বোয়ালমারীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রহিমাদের সঙ্গে কুদ্দুসের তেমন সম্পর্ক ছিল না।
কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তিনজনকে আটকের কথা জানিয়ে কেএমপির কর্মকর্তা মোল্লা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ওই বাড়ি থেকে আমরা তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে এসেছি। তারা হলেন কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী, ছেলে ও তার (কুদ্দুস) ভাইয়ের স্ত্রী। এই তিনজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, গত ১৭ আগস্ট ওই বাড়িতে রহিমা বেগম গিয়েছিলেন। প্রথমে তারা রহিমাকে চিনতে পারেনি। পরে একপর্যায়ে তাকে চিনতে পারে। তখন তাকে সাবেক বাড়িওয়ালা হিসেবে বেশ সেবাযত্ন করেন (কুদ্দুস ও তার বাড়ির লোকজন)। পরবর্তী সময়ে তাদের কাছে (রহিমা) জানান, এর আগে তিনি গোপালগঞ্জের মকছেদপুর ও চট্টগ্রামে ছিলেন।’
উদ্ধার হওয়া রহিমাকে শুরুতে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হবে। নিখোঁজ রহস্য উদঘাটনে সেখান থেকে তাকে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হবে।
আমার কলিজা শান্ত হয়েছে: মরিয়ম মান্নান
খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা থেকে প্রায় ২৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মরিয়ম।
যেখানে তিনি সবাইকে তাকে ভুল বুঝতে নিষেধ করেছেন এবং মাকে তার কাছে ফিরিয়ে দিতে সকলে তার পাশে থাকবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার মায়ের সাথে আমাকে কথা বলতে দিন। আমার মায়ের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত আমাকে সহোযোগিতা করুন। মা যদি আত্নগোপন করেও থাকেন তবুও তাকে খোঁজার দায়িত্ব আমার।
এদিকে রোববার সকালে মরিয়ম মান্নান এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, এই মাত্র দূর থেকে আমি আমার মাকে খুলনা ভিকটিম সেন্টারে দেখলাম। আমি আমার মা’কে খুঁজেছি, পেয়েছি।আমার কলিজা শান্ত হয়েছে।আজকে উনত্রিশদিন পরে আমি জানলাম আমার মা ভিকটিম সেন্টারে আছেন।আমি নিজের চোখে মা’কে দেখেছি।এটাই আমার শান্তি। এর থেকে শান্তি আমার আর কিছুই নেই।আমি চাই আমার মায়ের সাথে কথা বলতে,আমি চাই আমার মাকে জড়িয়ে ধরতে।
এসময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, র্যাব, পুলিশ, প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। সেইসঙ্গে তাকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের নাম উল্লেখ করে তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান।
সবশেষ পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার সকল বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের যারা প্রথমদিন থেকে আমার পাশে ছিলেন,যাদের জন্য আমি নিশ্বাস নিয়েছি। আজকে আমি ২৯দিন পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবো,ইনশাআল্লাহ।