নিজ উদ্যোগে নির্মিত মসজিদ উদ্বোধন করলেন আহমেদ শরীফ

অবশেষে নিজ গ্রামের বাড়িতে নিজ উদ্যোগে নবনির্মিত মসজিদের শুভ উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আহমেদ শরীফ। গত মার্চ মাসে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) মসজিদের উদ্বোধন করেন এই অভিনেতা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ আরমান উদ্দিন আহমেদ, ইউনাইটেড অনলাইন প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম সুমন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইসহাক মিয়া, মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় মুসল্লীগণ।

এ প্রসঙ্গে আহমেদ শরীফ বলেন, আজ আমার জন্য খুব খুশির দিন। আমি চিন্তা করেছিলাম একটা মসজিদ আমি কী করে করব। আমার ধারণাই ছিল না আমি পারব। আল্লাহর রহমতে এবং সবার দোয়ার কারণেই এই মসজিদ করতে পেরেছি।

আলোচিত এই অভিনেতা বলেন, এই মসজিদের টানে আমি দেশে চারবার এসেছি সুদূর আমেরিকা থেকে। ওখানে আমার ঘুম হয় না। আমি ঘুমাতে পারি না, যে আমার মসজিদের কী হলো? কখন পাব। কবে আমার স্থানীয়রা নামাজ পড়বে, আমি দেখে যেতে পারব। আজ সেই দিন, আমি দেখেছি আমার গ্রামের প্রিয় মুসল্লি ভাইয়েরা এখানে নামাজ আদায় করছেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে উক্ত নবনির্মিত মসজিদের শুভ উদ্বোধন হয়।

দুলালের সাথে পাখিদের মিতালী, তোতা ময়না ডাকলে ছুটে আসে শত শত পাখি

পাখিদের সঙ্গে গড়ে উঠেছে তার দারুণ সখ্যতা, এ যেনো দারুন মিতালী। তোতা ময়না ডাক দিলেই পাখিরা বুঝতে পারে তাদের ডাকা হচ্ছে। কাছাকাছি বা গাছের ডালে থাকা পাখিরা উড়ে এসে দুলালের কাছে। দুলাল হোসেনের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের জোড়মল্লিকা গ্রামে। পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা।

জোড়মল্লিকা ব্রীজের উত্তর পাশে তার ঝালমুড়ির দোকান। দোকানের পাশেই ঝোপঝাড়, গাছ পালা। শত শত শালিক আসে দুলালের আতিথেয়তা নিতে। প্রতিদিন পাখিদের খাবার হিসেবে চানাচুর দিতে হয় তাকে। পাখিদের খাওয়ানোর মাঝে আনন্দ পান, জীবন উপভোগ করেন। জীবনের নানা পথ ঘাট পেরিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা দুলালের আনন্দ আর উচ্ছাস এই পাখিদের নিয়ে।

পাখির সঙ্গে অভিনব সখ্যতার খবর এখন এলাকার মানুষের মুখেমুখে। অনেকেই দেখতে আসেন দুলালের দোকান ও তার পাখিদের। স্থানীয়রা জানান, পাখির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। পাখিরা তাকে অনুসরণ করে। সে পাখিদের খাবার দেয় যত্ন নেয়। ঝড়ে বাসা ভেঙে গেলে পাখির বাচ্চা নিয়ে বাড়িতে রেখে সেবাযত্ন করে ফিরিয়ে দেয় সে। সে ডাক দিলেই পাখিরা চলে আসে।

পাখি প্রেমিক দুলাল বিডি২৪লাইভ’কে বলেন, মানুষের মধ্যে হিংসা আর দ্বন্দ্ব, মানুষকে ভালোবাসলে ও দুংখ দেয়। পাখিদের মধ্যে হিংসা নাই, দুংখ পাবার ভয় নাই। হারানোর ভয় নাই। এজন্য পাখিদের ভালোবাসি। ওদের ডাক দিলে চলে আসে। মনটা ভরে যায়।

তিনি বলেন, মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবদার পাখিরা যেমন অস্থায়ী আমার ও অস্থায়ী ঠিকানা। তিনি যদি একটা ঘর দিতেন অন্তত শেষ নিঃশ্বাস নিজের নিড়েই নিতে পারতাম।

Check Also

Health for Life Nutrition A Guide to Living Well

Health for Life Nutrition A Guide to Living Well

In today’s fast-paced world, maintaining good health can seem overwhelming. But the truth is, a …