পৃথিবীর সবথেকে ভ-য়ংক.র পাখি যে বি-ষাক্ত কোবরা কে জীবিত গি-লে ফেলে, বাদ যায়না ইদুর, বাদুর, খরগোশের মত প্রাণী, রইল সেই ভিডিও।

বন্ধুরা আজ পর্যন্ত না জানি আপনি কত রকমের পাখি দেখেছেন। যেগুলোর মধ্যে হয়তো কিছু পাখি অত্যন্ত সুন্দর এবং শান্ত স্বভাবের কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে, পৃথিবীতে এমন কিছু প্রজাতির পাখি রয়েছে যেগুলো আকারের পরিমাপে সিংহের থেকে বেশি ভয়ঙ্কর এবং হিংস্র প্রজাতির হয়ে থাকে। যেমন বড় বড় পশুদেরকে আক্রমণ করে এমনকি বিভিন্ন সময়ে তারা মানুষদেরকেও আক্রমণ করে স্বীকার করার জন্য। কিন্তু আজকে আমরা ঈগলের থেকে থেকে হিংস্র এবং ভয়ঙ্কর দুটি পাখি কে দেখাবো।

যারা আকারের তুলনায় ছোট হলেও এদের স্বীকার করার ধরন পৃথিবীর সবথেকে নিষ্ঠুর এবং ভয়ংকর তম। না জানি পাখিগুলো আকারে আরেকটু বড় হলে মানুষের কি অবস্থা করতো। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে আসি পৃথিবীর সবথেকে ভয়ঙ্কর শিকারি দুটি পাখিকে । সেক্রেটারি বার্ডঃ নাম শুনে অদ্ভুত মনে হতেই পারে, কিন্তু এই পাখির নামের পিছনের গল্প খুবই জনপ্রিয়। এই পাখিকে ইউরোপিয়ানরা 1800 সালে খুঁজে বের করেছিল।

সেই সময় সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত মানুষগুলো এক বিশেষ ধরনের পোশাক পড়তো। তারা ধূসর রঙের সাথে হাঁটু পর্যন্ত এবং কালো রং-এর প্যান্ট পরতো এছাড়াও হাঁসের পালক কানে লাগিয়ে রাখতো। তাদেরকে দেখতে অনেকটাই এই পাখির মতো লাগতো এই পাখির ডানা ধূসর রংয়ের সেটা অনেকটাই এদের মত দেখতে লাগে এবং এদের মাথায় ডানা থাকে যেটা কলমের মতো দেখতে লাগে। আর এই পাখির পা পর্যন্ত কালো লোমে ঢাকা থাকে যেটা প্যান্টের মতোই লাগে।

আর এজন্যই এই পাখির নাম রাখা হয়েছে সেক্রেটারি বার্ড। অন্যান্য পাখিদের থেকে এই পাখি একদমই আলাদা। কারণ তারা বেশিরভাগ সময় মাটিতে থাকে। এই পাখি প্রায় 1.5 মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় এরা তাদের ডাকে প্রায় 2.5 মিটার পর্যন্ত ছড়াতে পারে। সূর্য ডুবে যাওয়া পর্যন্ত এই পাখিগুলো দলবেঁধে নিজের সঙ্গীর সাথে শিকারের খোঁজ করতে থাকে। শুধু দুপুরে তারা একটু বিশ্রাম নেয়। এই সবকিছু জানার পরে আপনার মনে হতে পারে যে একটি সাধারন কোন পাখি।

কিন্তু আপনি যখন এদের শিকার করার পদ্ধতি দেখবেন তখন এদেরকে আর সাধারন পাখি মনে হবে না ।এরা সাধারণত ছোট পোকামাকড় ইঁদুর খরগোশ এবং সরীসৃপ কে শিকার করে। কিন্তু এই পাখির সব থেকে প্রিয় শিকার হলো বিষাক্ত সাপ। ভয়ঙ্কর বিষাক্ত সাপ এরা প্রথমে ঘাসের মধ্যে সাপের গর্ত খুঁজতে থাকে আর যখন পেয়ে যায় তখন এরা তাদের পা দিয়ে সেই গর্তে চারিদিকে লাফাতে থাকে। তারপর পাখি তার পায়ের সাহায্যে সাপটিকে আঘাত করতে থাকে। এদের পা দিয়ে আঘাত করার গতি এতটাই দ্রুত হয় যে যদি আপনার চোখের পলক ফেলেন তাহলে আপনি সেইটা দেখতে পাবেন না।

যদি কোন সাপ এদের থেকে পালানোর চেষ্টা করে তাহলে এরা তাদের ডানা কে বড় করে সাপের দিকে এগোতে থাকে আর পায়ের সাহায্যে আঘাত করতে থাকে। কখনো কখনো এই পাখিকে নিয়ে অনেক উঁচুতে উড়ে যায় এবং সেখান থেকে ফেলে দিয়ে তাকে মেরে ফেলে। এই পাখি তার শিকারকে ততক্ষণ পর্যন্ত পা এর থাবা সাহায্যে মারতে থাকে যতক্ষণ না সে মারা যায় কিংবা শান্ত হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই পাখির ঠোঁটে সাহায্যে সাপের শরীরকে ছিড়ে ফেলে আবার কখনো কখনো তো এরা পুরো সাপটি গিলে ফেলে।

শ্রাইক বার্ডঃএটা মাঝারি ধরনের পাখি এই পাখিগুলোর বাদামি এবং কালো রংয়ের হয়। আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই পাখিটি দেখতে সাদাসিধে হলেও এরা কিন্তু সিংহের মতো মাংসাশী প্রাণী। এরা শিকার করে খায় পোকামাকড় টিকটিকি ইদুর এবং অন্যান্য পাখিদের । এই পাখি শিকার করার সময় উঁচু গাছের ডালে বসে থাকে আর সেখান থেকে মাটিতে নজর রাখতে থাকে। এরা যদি কোন শিকারকে দেখতে পায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ করে।

শিকার ধরার পর এই পাখি সেই শিকারকে কাঁটাওয়ালা কাছে নিয়ে যায় এবং সেই গাছের কাটার সঙ্গে এই শিকার গুলোকে আটকে রাখে এর ফলে শিক্ষাকে খেতে সুবিধা হয়। আর অবশিষ্ট খাবারকে অন্য সময় এসে খাওয়া যায়। এছাড়াও অনেক সময় কিছু কিছু শিখার খুবই বিষাক্ত হয় যেগুলোকে সঙ্গে সঙ্গে খেলে এই পাখির মৃত্যু নিশ্চিত । সেজন্য এই পাখি তার বিষাক্ত শিকার গুলোকে সঙ্গে সঙ্গে না খেয়েই কাটার মধ্যে রেখে চলে যায় এবং দুই-তিনদিন পর ফিরে আসে আর ততক্ষনে শুকিয়ে যায় ।আর শুকিয়ে যাওয়ার কারণে শিকারের শরীরের সমস্ত বিষ নষ্ট হয়ে যায় ফলে কোনো চিন্তা ছাড়াই এই পাখিটার বিষাক্ত শিকারকে অনায়াসেই খেতে পারে।

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ

About admin

আমার পোস্ট নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন অথরা মেইল করতে পারেন admin@sottotv.com এই ঠিকানায়।