ভারতে এবার ত্রিকোণ প্রেমের একটি ঘটনা ঘটেছে এবং এই ঘটনার জেরে না ফেয়ার দেশে চলে গিয়েছে সেই প্রেমিক অয়ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনা নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং সেই সাথে কেন তাকে না ফেরার দেশে পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
প্রেমিকার সঙ্গে দ্বন্দ্বে কি খুন? নাকি হরিদেবপুরে অয়ন মণ্ডল খুনের পিছনে ত্রিভুজ প্রেম? শনিবার রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি পুলিশ। তবে, তদন্তকারীরা ত্রিভুজ প্রেমের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তাদের মতে, বর্তমানে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
একটি প্রেমের ত্রিভুজটিতে, আয়ান এবং তার বান্ধবী ছাড়া তৃতীয় ব্যক্তি হলেন প্রেমিকার মা। অয়নের বাবা অমল মণ্ডলও শনিবার দাবি করেছেন, ‘বান্ধবী এবং তার মা দুজনেই অয়নকে ভালোবাসতেন। আমার ছেলে কি করবে? একটাই ছেলে!’
অয়নের বন্ধুরা দাবি করেছেন, বান্ধবীর মায়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা জানা গেছে। এর আগে প্রেমিকার বাবা ওই কারণে একবার অয়নকে মারধর করেছিলেন। বান্ধবীর বাবা ও স্বজনরা অয়নের বাড়ি যাত্রা পছন্দ করেননি।
প্রেমের ত্রিভুজ সম্পর্কে আয়ানের এক বন্ধু দাবি করেছেন, “বান্ধবীর মা তাকে প্রায়ই বাড়িতে ডাকতেন।” জানাজানি হতেই গোলমাল বাধে। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে আমরাও গিয়েছিলাম।’ একই সুর শোনা গেল অয়নের পরিবারের সদস্যদের কণ্ঠেও।
অয়নের মাথার পেছনে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সেই থেকে পুলিশ এবং অয়নের বন্ধুদের একাংশ অনুমান করেছিল, প্রবল চিৎকার না হলে একাধিকবার হামলা চালানো সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, ওই দিন অয়নকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে তলব করা হয়েছিল এবং অয়ন মারামারি বন্ধ করতে প্ররোচিত হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, আট বছর ধরে প্রেমিকা প্রীতির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অয়নের। একদিন অয়ন সেখানে পৌঁছায় যখন প্রীতি বাড়িতে থাকে না। এরপর বান্ধবীর মা রিমা জানা অয়নকে ঘরে নিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন। আর বললেন, এক সফরে ভিন্ন ফল হবে কেন? কেউ জানবে না. এসো আয়ান। এরপর থেকে বান্ধবীর মায়ের সঙ্গে অয়নের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর প্রীতি বাসায় না থাকলে অয়ন ওখানে যেত। আবার অয়ন প্রীতির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে থাকে।
মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানার পর আয়ানের বান্ধবীর মনেও ক্ষোভ হয়েছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, অয়ন হত্যার পর তার বান্ধবী শুধু স্বাভাবিক নয়, লাশ নিখোঁজের পর অয়নের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল। অয়নের পরিবার জানিয়েছে, একাদশীর দিন ওই তরুণী অয়নের মাকে ফোন করেছিলেন। অয়নের খোঁজ করেন। এ-ও জানান যে অয়নের মোবাইল বন্ধ। অয়নের মা সেদিন দাবি করেছিলেন, “একাদশীর দিন দুপুরে ফোন করে আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে অয়নকে খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি বলি, না হয় এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছে।
অয়নের মায়ের দাবি, একাদশীর বিকেলে ওই তরুণী দীর্ঘক্ষণ অয়নের বাড়িতে থেকেছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়েও কথা বলেছেন। শেষমেশ, পুলিশে যোগাযোগ করার কথা বলে ওই তরুণী বিদায় নেন। অয়নের মা জানান, তাদের বাড়িতে থাকার সময় ওই তরুণী মাঝেমধ্যে ফোন করে কার সঙ্গে কথা বলছিলেন। তবে ফোনের ওপারে কে ছিলেন তা জানাতে পারেনি আয়ানের পরিবার।
উল্লেখ্যে, বিভিন্ন সময় দেখা যায় প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নানা বিপত্তি শুরু হয়। এবং নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে। এবার ভারতের হরিদেবপুরের ঘটেছে এমনি একটি ঘটনা যেখানে ত্রিভুজ প্রেমের বলি হয়েছে প্রেমিক।