নাটোরে কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে (২২) বিয়ে করা আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার মাধ্যমে ছয় মাসের সংসার জীবনের অবসান হলো এই দম্পতির। অসম এই বিয়ে নিয়ে সারাদেশে তুমুল আলোচনা সৃষ্টি হয়েছিল।
শনিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারীপাড়া থেকে শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় স্বামী মামুনের দাবি তার তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। এলাকাবাসী মামুনের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার সকালে ফজরের নামাজ পড়ে মামুন বাড়িতে ঢুকে দরজায় নক করেন। কিন্ত তাতে কোনো সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে এসে দেখেন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছেন খাইরুন নাহার।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহে সে সংসার বেশি দিন টিকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে।
মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।