কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও তাঁর সাবেক দেহরক্ষীর ‘আত্মহত্যা’

মাগুরার শ্রীপুরের সারঙ্গদিয়া গ্রামে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে একই জেলা থেকে মাহমুদুল হাসান (২৩) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মাথায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাহমুদুল নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান।

জানা যায়, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তার। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তার গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর বৃহস্পতিবার সকালে মাহমুদুল হাসানের মরদেহ পাওয়া যায় মাগুরা পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদে।

লাবনী আক্তার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদেরপাড়া ইউনিয়নের পরালিদহ গ্রামের শফিকুল আজমের মেয়ে। তিনি খুলনা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আর মাহমুদুল হাসান নিজের সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে। তিনি দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হন। এর আগে তিনি খুলনায় কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি করেছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কামরুল হাসান। তিনি জানান, দুজনের লাশই উদ্ধার করা

কামরুল হাসান জানান, একসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন মাগুরায় পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদে আত্মহনন করা পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। তবে তাদের মৃত্যুর ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

কনস্টেবলের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মাহমুদুল ডিউটি শেষে ভোরে ব্যারাকে ফিরে ছাদে গিয়ে নিজ নামে ইস্যু করা শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর থুতনি দিয়ে গুলি ঢুকেছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনো জানা যায়নি।

About admin

Check Also

ঢাকা কলেজের সামনে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মরদেহ

ঢাকা কলেজের সামনে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মরদেহ

ঢাকা কলেজের সামনে থেকে একজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। …