অন্ধকার, পানিভর্তি ৮০ ফুট গভীর কূপে ১০৪ ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছে ১০ বছর বয়সী রাহুল সাহু নামের এক কিশোরকে। গত শুক্রবার ৮০ ফুট গভীর কূপে পড়ে গিয়েছিল ওই কিশোর। এরপর ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ), সেনা এবং পুলিশের প্রায় ৫০০ সদস্যর চেষ্টায় ১০৪ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাকে।
রাহুল সাহুকে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, কূপের মধ্যে একটি সাপ ও একটি ব্যাঙ ছিল। ছেলেটিকে উদ্ধারের প্রতিটি সেকেন্ড, মিনিট এবং ঘণ্টা যেমন রুদ্ধশ্বাস ছিল, কূপের মধ্যে ১০৪ ঘণ্টা সাপ এবং ব্যাঙের সঙ্গে কাটানোও ততটা বিপজ্জনক ছিল। সরু জায়গায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। অক্সিজেনের অভাব। আর সেই স্বল্প পরিসরেই একসঙ্গে মানুষ, সাপ আর ব্যাঙ। সেটাও আবার কয়েক সেকেন্ড বা মিনিট নয়, ১০৪ ঘণ্টা!
জেলা শাসক জিতেন্দ্র শুক্ল বিষয়টি জানতে পেরেই শিউরে ওঠেন। কিন্তু কূপের ভেতরে যে রাহুলের সঙ্গে আরো দুই ‘সঙ্গী’ রয়েছে, খবরটি প্রকাশ্যে আনেননি জেলা শাসক। এতে রাহুলের পরিবারের সদস্যরা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, ওই সরু জায়গায় থেকেও তিনটি প্রাণীর কেউই কারো ক্ষতি করেনি। এই ঘটনাকে অনেকেই ‘চমৎকার’ বলে দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাহুলকে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা স্ট্রেচারে করে টানেল থেকে বের করে আনেন। পরে, তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বিলাসপুরের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যার জন্য একটি সবুজ করিডোর তৈরি করা হয়েছিল।
‘এটি আমাদের সকলের জন্য একটি সম্মিলিত বিজয়… রাহুল বর্তমানে স্থিতিশীল এবং আমরা তাকে সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করছি’, বলেন জেলা শাসক জিতেন্দ্র শুক্লা। মিঃ শুক্লা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাহুলকে তার লড়াইয়ের মনোভাবের জন্যও প্রশংসা করেন।
প্রায় সাড়ে চার দিন ধরে আটকে থাকার পর কূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ বছরের রাহুল সাহুকে। তার উদ্ধারে যেন হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে পুরো ছত্তিশগড়। চার দিন ধরে তার জন্য প্রার্থনা করেছে ছত্তিশগড়ের মানুষ। রাহুলকে উদ্ধারের পর মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল টুইট করে বলেছেন, ‘আমাদের ছেলে দারুণ সাহসী। ১০৪ ঘণ্টা তার সঙ্গী ছিল একটি সাপ এবং একটি ব্যাঙ। আজ গোটা ছত্তিশগড় খুশি। ‘