চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায় বর্তমানে ৯৫% মানুষের একটাই প্রশ্ন যে– কিভাবে পড়লে চাকরির পরীক্ষায় মেলে সাফল্য! চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায় কি? কোন টিপস গুলো অনুসরণ করলে একজন চাকরিপ্রার্থী চাকরির জন্য সিলেক্টেড হবেন? চাকরি পরীক্ষায় সাফল্য লাভের সহজ পদ্ধতি বা কোলাকৌশল কি আদৌ রয়েছে? কি কি বিষয় মাথায় রাখলে পরীক্ষায় কোন কিছু এলোমেলো হবে না, বরং সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চাকরির পরীক্ষা দেওয়া যাবে।

মূলত আজকের এই প্রবন্ধে আমরা সেই সম্পর্কেই আলোচনা করব। সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনি কি একজন চাকরিপ্রার্থী? চাকরির জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন? বারবার পরীক্ষা দিচ্ছেন আর বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে বলবো— চাকরির পরীক্ষায় ভালো করতে হলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কেননা চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায় হিসেবে আমরা এমনই কিছু সহজ টিপস ও ট্রিকস আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি। যেটা ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েও আপনাকে চাকরি পাওয়ার জন্য অনেক বেশি সহযোগিতা করবে। তাহলে আসুন আলোচনা করি– চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায় ২০২৪ সম্পর্কে।

চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

আপনি যদি চাকরির পরীক্ষায় ভালো করতে চান, তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো প্র্যাকটিস। মনে রাখবেন– কোন বিষয় বারবার চর্চা করার মাধ্যমে আপনি তার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন, আর সেই বিষয়টা যত জটিল বা কঠিনই হয়ে থাকুক না কেন। তাই সবার প্রথমে আমরা আপনাদেরকে সাজেস্ট করব।

চাকরির পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে মনোযোগের সাথে পড়তে এবং বারবার যেকোন জটিল ও কঠিন বিষয় গুলো চর্চা করতে। পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসের কোন বিকল্প নেই। কেননা আপনি যদি মনোবল হারিয়ে ফেলেন এবং নার্ভাস ফিল করেন তাহলে আপনি অনেক অনেক পড়েও চাকরির পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন না। অতএব অবশ্যই আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং মনে জোর থাকতে হবে। আপনার এটা ধরে নেওয়া চলবে না যে– আপনি যেই চাকরির পরীক্ষাটা দিচ্ছেন সেটাতে টিকতে পারবেন না।

বরং সব সময় এমন ভাবে ভাবতে শিখবেন, যে এত এত মানুষের মাঝে আপনি অবশ্যই চাকরির এই পরীক্ষায় সিলেক্টেড হবেন। দেখুন আপনারা নিশ্চয়ই ল অফ অ্যাট্রাকশন শব্দটির সাথে পরিচিত। আর এই সম্পর্কে যদি অল্পবিস্তর জেনে থাকেন তাহলে এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন যে– এই প্রকৃতিতে এমন সব কিছু রয়েছে যেটা আমাদের মন চায় এবং আমরা সেই সব কিছু পেতে সক্ষম যেটা আমরা মন থেকে চাই। কারণ Law of attraction মানেই হলো:  আমি বা আপনি আমরা যে কেউ এই প্রকৃতির কাছে মন থেকে সবার প্রথমে যা চাইবো তাই পাব। তবে এই কথার অনেকেই বিতর্কিত মতামত প্রকাশ করেন।

অনেকেই এটা মনে করেন যে–  ল অফ অ্যাট্রাকশন শব্দটির অর্থ কখনোই আমাদের বাস্তবিক জীবনে প্রযোজ্য নয়। কিন্তু আপনি যদি আরেকটু ভালোভাবে ভাবার চেষ্টা করেন তাহলে নিশ্চয়ই এ বিষয়টি নজরে আসবে যে— ” আমাদের মন সর্বদা মনে মনে আলাদা কিছু চিন্তা করে”। যেমন ধরুন– আমাদের মন বা মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে এটা মনে করে যে–  এক কোটি টাকা ইনকাম করতে প্রচুর সময় লাগবে, প্রচুর কষ্ট হবে অথচ এই ব্রেন এক টাকা ইনকাম করায় এতকিছু মনেই করে না।

তাই যদি আমরা এটা মনে করতে পারি যে, এক কোটি টাকা ইনকাম করা কোন ব্যাপারই না তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের কাছে ঠিক এক টাকার মতোই সহজ হয়ে যাবে। ঠিক এমনই করে আমরা প্রকৃতির কাছে যদি কোন কিছু মন থেকে চাই এবং এটা মনে মনে চিন্তা করি যে আমার দ্বারা এই কাজটি করা সম্ভব হবে তার মানে অবশ্যই হবে।

মূলত আলোচনার এ পর্যায়ে ল অফ অ্যাট্রাকশন বিষয়টি নিয়ে আসার  একটাই কারণ, সেটা হচ্ছে— আমাদের মাঝে বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার হলে উপস্থিত হয়ে শুধুমাত্র এটা চিন্তা করেন যে— পরীক্ষা দিতে থাকি, হঠাৎ করে ভাগ্যে থাকলে টিকেও যেতে পারি।  মূলত বেশি সংখ্যক মানুষ এটা চিন্তাই করে না যে— সে এই যে পরীক্ষা দিতে এসেছে। সে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সিলেক্টেড হবে এবং চাকরিতে জয়েন করবে।

আর এর পাশাপাশি আমাদের মাথায় বাজে একটা চিন্তা তো অবশ্যই রয়েছে। সেটা হলো আজকাল টাকা, ঘুষ, দালালি ছাড়া কোন চাকরিই নেই। তাই বলবো আপনি যদি চাকরির পরীক্ষায় ভালো করতে চান এবং চাকরির পরীক্ষায় সিলেক্টেড হতে চান তাহলে প্রথমত নিজের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করুন এবং নিজের মনের ভেতরের ভ্রান্ত ধারণা ঝেড়ে ফেলুন।

পাশাপাশি আরো যে কৌশলগুলো আপনি অবলম্বন করবেন তা আমরা পরবর্তী ধাপে আপনাদেরকে স্টেপ বাই স্টেপ জানাবো। তাহলে চলুন এ পর্যায়ে চাকরি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে কোন কোন পয়েন্ট গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

চাকরির পরীক্ষায় ভালো করতে হলে করণীয়

চাকরির পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে আপনাকে যে কয়েকটি সহজ কাজ করতে হবে সেগুলো হলো:

  • ✓ পড়ার জন্য না পড়ে জানার জন্য পড়তে হবে।
  • ✓ সবসময় মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে
  • ✓ গুলিয়ে ফেলার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে
  • ✓ অতিরিক্ত চাপ বা স্ট্রেস থেকে মুক্ত হতে হবে
  • ✓ ধৈর্যশীল হতে হবে
  • ✓ পরীক্ষা কে ভয় বা আতঙ্কের মনে না করে বরং উপভোগ করার চেষ্টা করতে হবে 
  • ✓ সর্বদা সজাগ থাকতে হবে
  • ✓ নেতিবাচক সকল প্রকার চিন্তা বাদ দিয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনায় মনোনিবেশ করতে হবে
  • ✓ বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে
  • ✓ অনলাইনে কোন জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানার জন্য এনালাইসিস করতে হবে
  • ✓ প্রতিদিন মক টেস্ট করতে হবে
  • ✓ প্রতি সপ্তাহে পড়া রিভিশন দিতে হবে
  • ✓ একদিন নয় বরং প্রত্যেকদিন একটু একটু করে পড়তে হবে প্র্যাকটিস করতে হবে
  • ✓ আমি পরীক্ষায় খারাপ করব সেল করতে পারি এমন ধরনের চিন্তায় বাদ দিতে হবে
  • ✓ সব সময় খোস মেজাজে থাকতে হবে
  • ✓ যেকোন বিষয়কে তামাশা হিসেবে না নিয়ে সিরিয়াসলি নেওয়ার চিন্তা আনতে হবে মনে এবং 
  • ✓  নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।

আশা করা যায় আপনি যদি চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে এই বিষয়গুলো নিজের মধ্যে আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই চাকরির পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। 

কিভাবে পড়লে চাকরির পরীক্ষায় ভালো করা যায়?

চাকরির পরীক্ষায় অন্য কারো বানানো নিয়মে নয় বরং আপনার তৈরি করা রুটিন অনুযায়ী নিজের তৈরি করা নিয়ম অনুযায়ী পড়াশোনা করবেন। ইনশাল্লাহ আশা করা যায় আপনি তাহলে ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা চাকরির পরীক্ষা কে অন্যভাবে নেওয়ার কোনই প্রয়োজন নেই।  একটা বিষয় যদি লক্ষ্য করেন তাহলে অনেকেরই নজরে আসবে— প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও এবং প্রাতিষ্ঠানিক লেভেলে ভালো রেজাল্ট করা সত্ত্বেও কিছু মানুষ চাকরির পরীক্ষায় অত্যন্ত খারাপ মার্ক পেয়ে থাকেন।

আর এর অন্যতম কারণ চাকরির পরীক্ষা কে একেবারেই ভিন্ন রকম ভাবে মাথায় গেঁথে নেওয়া। আর এজন্যই জানা বিষয়ক তখন আমাদের কাছে অজানা মনে হয় এবং আমরা অনেক সহজ জিনিস ভুল করে বসি। তাই মূল কথা ভয় না পেয়ে চাকরির পরীক্ষা কে সহজ ভাবে গ্রহণ করতে হবে এবং নিজেকে যতটুকু সম্ভব যোগ্য করে তুলতে হবে।

সরকারি বেসরকারি চাকরির জন্য মূলত নির্দিষ্ট একটি সিলেবাস থাকে। আপনি যদি সেই সিলেবাস অনুযায়ী বিভিন্ন বই পড়তে থাকেন এবং সেগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করেন তাহলে চাকরির পরীক্ষা আপনার কাছে অত্যন্ত সহজ মনে হবে। তাই সিলেবাস অনুযায়ী আপনি সেই বইগুলো শুধুমাত্র কভার করবেন। এর জন্য আপনাকে যেভাবে পড়তে হবে:-

  1. প্রতিদিন পড়ার সঙ্গে লেগে থাকতে হবে
  2. প্রতিদিন প্র্যাকটিস করতে হবে
  3. প্রত্যেকটা সপ্তাহে পড়া রিভিশন করতে হবে
  4. প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় মক টেস্ট দিতে হবে
  5. অনলাইনে পড়াশোনা করতে হবে এবং একটি বিষয়কে বিভিন্নভাবে জানার ও বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় সিলেক্টেড হওয়ার উপায়ঃ

সরকারি বেসরকারি যেকোনো চাকরিতে যদি আপনি জয়েন করতে চান এবং পরীক্ষায় ভালো মার্ক পেয়ে উত্তীর্ণ হতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম সঠিক প্রস্তুতি নিতে হবে।

পাশাপাশি যে সাতটি কথা মাথায় রাখবেন সেগুলো হলো:

  • পরীক্ষার গুরুত্বকে মনেপ্রাণে মানা
  • কনসেপ্ট সর্বদা ক্লিয়ার রাখা
  • নিজের মধ্যে লেখার অভ্যাস তৈরি করা
  • সঠিক রুটিন তৈরি করে নেওয়া
  • নিজের এনার্জি টাইম নির্বাচন করা
  • একটি নয় বরং সকল বিষয়কে সমান গুরুত্ব দেওয়া
  • শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিলে একটি স্টাডি গ্রুপ খুলে বারবার সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। 

কেননা কখনো কখনো ছোটদের কাছে থেকেও আমরা এমন অনেক কিছুই শিখে ফেলতে পারি যেটা আমাদের জীবনে খুবই প্রয়োজন। তাই পড়াশোনা বিষয়ে কোনো সমস্যা হলে সেটা ক্লিয়ার করতে বা কনসেপ্ট এর সকল বিষয়ে ভালোভাবে বোঝার সুবিধার্থে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ফেলতে পারেন। যেখানে আপনার সমস্যা বা আপনার প্রশ্ন আপনি শেয়ার করবেন অন্যরাও তাদের প্রশ্ন ও সমস্যাগুলো শেয়ার করবে এবং সবশেষে আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সমাধান সবাই জানতে পারবেন।

এতে করে মূলত পড়ার আগ্রহ তৈরি হয় সেই সাথে সেই সঠিক উত্তরগুলো মাথায় খুব ভালোভাবে গেঁথে যায়। আর তাছাড়াও এখন মানুষ মোবাইলে অনেক বেশি আসক্ত তাই মোবাইলে অযথা বাজে সময় অতিবাহিত না করে আপনি এই কাজের কাজগুলো করে ফেলতে পারেন যেটা আপনার চাকরি জীবনে কাজে আসবে।

চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায়

চাকরির পরীক্ষায় সর্বোত্তম ভালো করার টিপস ও ট্রিকসঃ

চাকরির পরীক্ষায় সর্বোত্তম মার্ক পেতে চাইলে আরো যে বিষয়গুলো আপনার নজরে রাখা জরুরী সেগুলো হলো:

  • পর্যাপ্ত ঘুম
  • স্বাস্থ্যের যত্ন
  • এবং সুন্দর উপস্থাপনা।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ পরীক্ষা শব্দটির অর্থ অনেকটাই প্রেসার দায়ক। আর আমাদের জীবনে আশা পরীক্ষাগুলো সত্যিই কঠিন। সেটা সেটা লিখিত পরীক্ষা হোক বা মৌখিক অথবা শারীরিক। আমরা মানুষ আর মানুষের পুরো জীবনটাই মূলত একটি পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা কঠিন হোক বা জটিল এই বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবে ধারণ করতে হবে মস্তিষ্কে। নইলে অনেক অনেক পড়ার পরেও আপনি অবশ্যই ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন না। 

আমাদের মাঝে আমরা এমন কেউ কেউ রয়েছি যারা পরীক্ষার কথা মাথায় আসলেই নাওয়া খাওয়া ভুলে গিয়ে সারাদিন সারারাত শুধু পড়া নিয়েই ব্যস্ত থাকি। কিন্তু এমনটা করে মূলত পড়ার কোন উন্নতি ঘটে না বা পরীক্ষাতে ভালো মার্কও পাওয়া সম্ভব হয় না। বরং এতে করে আমাদের শরীর ভেঙে পড়ে এবং আমরা অসুস্থ হয়ে পরি। আর এটা তো সকলেই জানি একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। আর এর ব্যতিক্রম ঘটলে মানুষের ব্রেনে বাজে রকম প্রেসার পরে এবং স্মৃতিশক্তি ধারণক্ষমতা হ্রাস পায়। 

চাকরির পরীক্ষায় ভালো উপায়

তাই স্বাভাবিকভাবেই যদি আপনি চাকরির পড়াগুলো মনে রাখতে চান তাহলে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। আর শরীর সুস্থ থাকলে আপনি যদি ভালো থাকেন তবেই পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হবে এটাই আশা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ। তাই সবসময় চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর এবং শরীর মন দুটোকেই ভালো রাখার। 

স্বাস্থ্যের যত্নঃ পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণে আমরা ঘুমের মতো একইভাবে স্বাস্থ্যের প্রতি অযত্নশীল হয়ে পরি। সঠিক সময় খাওয়া-দাওয়া না করার কারণে আমাদের শরীর অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। আর তাই আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং স্বাস্থ্যের যথাযথ যত্ন নিতে হবে।

এ সময়টা জ্যাকফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।  আর হ্যাঁ শুধু পরীক্ষার কারণে নয় মূলত জীবনটাই উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। কেননা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তি হচ্ছে প্রকৃত সুখী। তাই সবসময় স্বাস্থ্যের যত্ন নেবেন এবং নিজের রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন পাশাপাশি চেষ্টা করবেন রিলাক্স মোডে পরীক্ষার হলে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার। 

সুন্দর উপস্থাপনাঃ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনি যে কোন প্রশ্ন অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। আর আমরা প্রত্যেকে জানি মানুষ সব সময় সুন্দর কিছুকেই পছন্দ করে এবং সৌন্দর্যকেই ভালোবাসে। তাই পরীক্ষায় ভালো মার্ক পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে উপস্থাপনাটা ভালোভাবে শিখতে হবে এবং অন্যের থেকে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা জানতে হবে।

আর এতে করে আপনার কি উপকারিতা হবে সেটা তো বুঝতেই পারছেন। তাই লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি মৌখিক পরীক্ষার সময় যাতে আপনার অঙ্গভঙ্গি ঠিক থাকে আপনি সাবলীল ভাষায় সুষ্ঠু ও স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে পারেন তার প্র্যাকটিস করবেন। এক কথায় চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার উপায় হচ্ছে চর্চা চর্চা চর্চা। আপনি যত বেশি চর্চা করবেন তত বেশি শিখবেন, তত বেশি জানবেন এবং তত ভাল ফলাফল করবেন। 

About Sotto TV

Check Also

একজন সাব-ইন্সপেক্টরের ক্ষমতা কী কী

একজন সাব-ইন্সপেক্টরের ক্ষমতা কী কী

একজন সাব-ইন্সপেক্টরের ক্ষমতা কী কী, সাব ইন্সপেক্টর বলতে কী বোঝায়, সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে চাকরি করলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *