‘তোমাদেরও মা-বোন আছে,আমাকে বুড়ি দেখানোর জন্য অস্থির কেন:’পূর্ণিমা’

ঢালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমা। এখন বড়পর্দায় নিয়মিত না হলেও, টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোয়ে উপস্থাপনা কিংবা বিচারক হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি বেশ সরব। দুই দশক ধরে পর্দায় মাতিয়ে রাখা এই অ’ভিনেত্রীর সৌন্দর্যে এখনো ভাটা পরেনি। দিন দিন যেন আরো সুন্দরী হচ্ছেন তিনি। তেমনই দিন দিন ভক্ত সংখ্যাও বাড়ছে তার। পূর্ণিমা’র এই সৌন্দর্যের র’হস্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় অনেক আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি পূর্ণিমা’র বয়স নিয়েও

আন্দাজ লাগাতে দেখা যায় তাদের। এমনকি বিভিন্ন ফটোশপ দিয়ে তাকে বুড়ি হলে কেমন দেখাবে সেই ছবিও পোস্ট করতে দেখা যায় অনেককে। তবে ভক্তদের এই বিষয়টি মোটেও পছন্দ করেন না অ’ভিনেত্রী। রীতিমতো মনঃক্ষুণ্ণ তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারটা কেমন ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে অ’ভিনেত্রী বলেন, এই দীর্ঘ জার্নিটা নিয়ে বলতে গেলে দুই এক লাইনে শেষ হবে না। তবে একটা ঝামেলা হয়েছে, এই দীর্ঘ সময়ে অনেক মানুষ আমাকে অনেক রকম ধারণা করে।

একে তো আমা’র বয়স নিয়ে। আমি এতোদিন কাজ করেছি আমা’র কী’ তাহলে ৪০, ৫০ বছর বয়স। এছাড়াও ফেসবুকে লাইভে এলে বাজে কমেন্ট করা শুরু করে।

তিনি আরো বলেন, আমি কবে বুড়ি হবো, কবে আমা’র বয়স হবে। আমাকে মনে হয় বুড়ি দেখার জন্যেই সবাই মুখিয়ে থাকে।অ’ভিনেত্রী বলেন, আমি বুড়ি হলে তো তোম’রা ক্রাশ লিখতে পারবা না। মানুষ বয়সের সঙ্গে বুড়ি হবেই। তোমাদেরও মা আছে, বোন আছে সবাই বয়সের সঙ্গে বুড়ি হবে। এতো অস্থির কেন আমাকে বুড়ি দেখানোর জন্য।

দর্শকদের উদ্দেশ্যে পূর্ণিমা বলেন, তোম’রা এপ্যারিসিয়েশন করো আমি এখনো পর্যন্ত আছি, ভালো কাজ করছি এবং তোমাদের ভালো ভালো কাজ দিতে পারছি। কে বুড়ি হলো, কার বয়স কতো এই বদনাম গুলো করো না।

ক্যারিয়ারের ভালো দিক হিসেবে অ’ভিনেত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে আমি এখনো পর্যন্ত সুন্দরভাবে সম্মান নিয়ে কাজ করছি। সিনেমা এবং টেলিভিশনে একসঙ্গে কাজ করে গেছি, যেটা অনেকেই পারে না। এখন সিনেমায় না থাকলেও আমি মানুষের মনে, টেলিভিশনে আছি। মানুষ পছন্দ করছে, ভালোবাসছে এটাই।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমা’র আমা’র’ ছবির মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে পথচলা শুরু করেন পূর্ণিমা। এর আগে স্বপন চৌধুরী পরিচালিত ‘শত্রু ঘায়েল’ ছবিতে অ’ভিনয় করেছিলেন শি’শুশিল্পী হিসেবে। তবে প্রযোজক মতিউর রহমান পানুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে এলেও প্রথম ছবিতে সাফল্য পাননি পূর্ণিমা।

পরবর্তী সময়ে পূর্ণিমা নিজেকে শীর্ষ নায়িকার পর্যায়ে নিয়ে যান। অ’ভিনয় করেন শতাধিক ছবিতে। এসব ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘সুলতান’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘হূদয়ের কথা’, ‘শা’স্তি’, ‘সুভা’, ‘রাক্ষুসী’, ‘আকাশছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘মনের সাথে যু’দ্ধ’, ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’।

Check Also

Health for Life Nutrition A Guide to Living Well

In today’s fast-paced world, maintaining good health can seem overwhelming. But the truth is, a …