চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। বিরোধী দেয়া ১৩১ রানের টার্গেটও পেরোতে পারেনি পাকিস্তান। আর বাবর আজম বাহিনী আগের ম্যাচে হেরেছিল ভারতের বিপক্ষে। ফলে টানা দুই হারের ফলে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে তারা। যদিও সেমিফাইনালে যাওয়ার ক্ষীণ আশা এখনও বেঁছে আছে তাদের, তবে সেটা প্রায় অসম্ভবের কাতারেই পড়ে।
বর্তমানে দুই ম্যাচের দুটিতেই হারা পাকিস্তান সুপার টুয়েলভের ২ নম্বর গ্রুপে আছে টেবিলের পাঁচে। তাদের রানরেট -০.০৫০। ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে ভারত। ৩ পয়েন্ট করে আছে দুইয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিনে থাকা জিম্বাবুয়ের। ২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে চার নম্বরে। অর্থাৎ, বাকি তিন ম্যাচে জিতলেও সেমিফাইনালে যাওয়া অনেকটা অসম্ভব পাকিস্তানের জন্য।
এছাড়া ২ নম্বর গ্রুপ থেকে দুটি দল সেমিফাইনালে যাবে। সেই দৌড়ে টেবিলের সেরা তিনটি স্থানে থাকা ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে অন্য দলগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে। কেননা, প্রতিটি দলেরই এখনো তিনটি করে ম্যাচ বাকি। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের পরের তিন ম্যাচে জিতলে পয়েন্ট হবে যথাক্রমে ১০ ও ৯। জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। আবার পাকিস্তান বাকি তিন ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৬। অর্থাৎ, সুপার টুয়েলভের বাধা পেরোনো পাকিস্তানের জন্য কঠিনই।
উল্লেখ্য, শক্তির বিচারে পাকিস্তান জিম্বাবুয়ের চেয়ে কয়েক গুণ এগিয়ে। কিন্তু পার্থে দুদলের ম্যাচে যারা চোখ রেখেছেন, তারা হয়তো একপাক্ষিকতার কোনো আভাসই পাননি! পাকিস্তানের চোখে চোখ রেখে সমানে সমানে লড়েছে জিম্বাবুয়ে। রুদ্ধশ্বাস সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১ রানে জিতেছে রোডেশীয়রা।কজিম্বাবুয়ের ১৩০ রানের অল্প পুঁজি, এরপর পেস তোপে পাকিস্তানের ধুঁকতে থাকা। শেষদিকে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে জয়ই ছিনিয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শান মাসুদ। জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা নিয়েছেন ৩ উইকেট, ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।