দেশে জ্বালানি মজুত নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে জানিয়েছে জ্বালানি তেলের আমদানিকারক বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এলসি সংকটের কারণে সম্প্রতি আমদানি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেই সংকট দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিপিসি বলছে দেশে তেলের সংকট নেই। যা মজুত আছে তাতে আগামী এক মাস চলা যাবে। এছাড়াও আরও ছয় মাসের তেল অর্ডার (আমদানির আদেশ) করা আছে বলেও জানিয়েছে বিপিসি।
দেশে প্রধান জ্বালানি তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয় ডিজেল। বছরে এর চাহিদা ৫৫ লাখ টন। এর মধ্যে ৪৫ লাখ টনই আমদানি করা হয়, দেশের গ্যাস খনি ও তেল কূপ থেকে মেলে আরও ১০ লাখ টন।
বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন ডিজেলের মজুত রয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার টন। এ ছাড়া ফার্নেস অয়েল আছে প্রায় ৮২ হাজার ৮০০ টন, অকটেন মজুত ১৪ হাজার ৩০০ টন, জেট ফুয়েল ৫৮ হাজার ৭০০ টন, পেট্রল প্রায় ১৭ হাজার ৬০০ টন এবং কেরোসিনের মজুত আছে ১৩ হাজার ৪০০ টন। দেশে ডিজেলের মজুতের সক্ষমতা ৬ লাখ টনের বেশি। অকটেন মজুতের ক্ষমতা ৪৬ হাজার টন, পেট্রল ৩২ হাজার টন, কেরোসিন ৪২ হাজার টন। আর ফার্নেস অয়েল মজুত রাখা যায় ১ লাখ ৫০ হাজার টন।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জ্বালানি সরবরাহ ও মজুতের বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আগামী ৩২ দিনের ডিজেল এবং ৯ দিনের অকটেন মজুত আছে। এছাড়াও ৬ মাসের তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে বলেও দাবি করেন বিপিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ডিজেল দেশে মজুত রয়েছে। আর অকটেন রয়েছে ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন। আগামী ৩০ জুলাই দেশে পৌঁছাবে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল।
তিনি আরও বলেন, দেশে ৪৪ দিনের জেট ফুয়েল এবং ৩২ দিনের ফার্নেস অয়েল মজুত আছে। ফলে গ্রাহকদের তেল কম কেনার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হলেও তেলের সরবরাহ ঠিক রাখার পরিকল্পনা নেওয়া আছে বলেও দাবি করেন বিপিসি চেয়ারম্যান।