নরসিংদীতে লটকনের বাম্পার ফলন, ১৬৮ কোটি টাকা বিক্রির আশা!

নরসিংদী জেলা লটকনের জন্য বিখ্যাত। অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে চাষিরা লটকন চাষে ঝুঁকছেন। নরসিংদীর লটকন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া চাষি এবং ব্যবসায়ীদের আশা এবার দামও ভালো পাবেন।

নরসিংদী কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৮শত ২০ হেক্টর জমিতে লটকনের আবাদ হয়েছে। যা হেক্টর প্রতি ১৫ টন হারে ২৪ হাজার মেট্রিক টন লটকনের ফলন পাওয়া যাবে। আর উৎপাদিত এ লটকন পাইকারি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যার মূল্য পাওয়া যাবে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা।

পলাশ উপজেলার লটকন চাষী দীপু দে বলেন, কম খরচে লাভজনক ফসলের মধ্যে অন্যতম ফল হলো লটকন। লটকন বাগান শুরু করতে প্রথমে খরচ ও সময় বেশি লাগলেও পরবর্তী সময়ে বিঘা প্রতি ১৪/১৫ হাজার টাকার বেশি খরচ হয় না। সে তুলনায় লাভ বেশি হয়। কখনও কখনও এত বেশি ফল আসে যে গাছের কান্ড ও ডাল পর্যন্ত দেখা যায় না। একটি পূর্ণবয়স্ক লটকন গাছে ৬ থেকে ৯ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মরজাল বাজারের লটকন ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, নরসিংদী থেকে লটকন কিনে ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। বর্তমানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও এই লটকন রফতানি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রকারভেদে পাইকারি মণপ্রতি দাম ওঠে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।

নরসিংদী কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: সাইদুর রহমান বলেন, নরসিংদী জেলার শিবপুর, পলাশ, বেলাব ও রায়পুরা উপজেলার লাল মাটিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও খনিজ উপাদান বিদ্যমান, তাই এখানে লটকনের ভালো ফলন হয়।

About admin

Check Also

দৈনিক আধা লিটার দুধ দিচ্ছে পাঁঠা!

গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নে দুধ দিচ্ছে একটি পাঁঠা। তাও দিনে আধা লিটার করে। পাঁঠাটিকে …