এবার জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দেড় হাজার আর্জেন্টিনা সমর্থককে খিচুড়ি খাওয়ানো ও বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা করেছেন মাসুদুর রহমান নামের এক যুবক। মাসুদুর রহমান বাড়ি সরিষাবাড়ি পৌর এলাকার চর ধানাটা গ্রামে। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, এবার বিশ্বকাপ উপলক্ষে আর্জেন্টিনা সমর্থক মাসুদুর রহমান আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ১ হাজার ৬০ ফিট পতাকা বানিয়ে র্যালি করে। তারপর থেকেই মাসুদুর রহমানের পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনার প্রতিটি খেলায় খিচুড়ি, বিরিয়ানি এবং মিল্লি ভাত ভোজনের আয়োজন করেন।
এ বিষয়ে আর্জেন্টিনা সমর্থক মাসুদুর রহমান জানান, আমি এ পর্যন্ত দেড় লাখ টাকা খরচ করেছি। খিচুড়ি, বিরিয়ানি এবং মিল্লি ভাতসহ যাবতীয় আয়োজন করে এসব টাকা খরচ করেছি। আজ ১৮ ডিসেম্বর রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা।
তিনি জানান, এ খেলা উপভোগ করতে সরিষাবাড়ির চর ধানাটা গ্রামে মরহুম মমতাজ সরকারের বয়লারে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর পাশাপাশি ১৫শ’ আর্জেন্টিনা সমর্থকদের জন্য খিচুড়ির আয়োজন করা হবে।
এ সময় তিনি আরও জানান, এবার মেসিরা অসাধারণ ফুটবল খেলছে। এবার বিশ্বকাপ শিরোপা তার পছন্দের দল আর্জেন্টিনার ঘরেই যাবে। আর্জেন্টিনা শিরোপা জিতলে তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৫টি গরু জবাই দিয়ে ঐতিহ্যবাহী মিল্লি ভাত খাওয়ানোও হবে বলে জানান তিনি।
বিজয় দিবসে বেলুনের বদলে নিরাপদ কনডম দিয়ে হাসপাতাল সাজসজ্জা
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সৌন্দর্য বর্ধন ও সাজসজ্জায় বেলুনের বদলে সরকারি নিরাপদ কনডম ব্যবহার করা হয়। এর দায়ে হাসপাতালের দায়িত্বরত জরুরি বিভাগের ইনচার্জকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুস সোবাহানের স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অব্যাহতি পাওয়া মো. রেজাউল করিম হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সরল সোজা মানুষ। কিনে এনে বেলুন ফুলিয়েছি। কিন্তু কীভাবে কী হলো বুঝতে পারলাম না।
এদিকে অব্যাহতি পত্র ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সৌন্দর্য বর্ধন ও সাজসজ্জার অংশ হিসেবে বেলুনের সঙ্গে সরকারি নিরাপদ কনডম ব্যবহার করেন রেজাউল করিম। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে দৃষ্টিগোচর হয়। তাই হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো) ডা. মো. মফিজুল ইসলামকে সভাপতি, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দারকে সদস্য সচিব করে, জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সৌমিত্র সরকার ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. কাজী শাহ মো. আব্দুল্লাকে সদস্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুস সোবাহান বলেন, সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সৌন্দর্য বর্ধন ও সাজসজ্জায় বেলুনের বদলে সরকারি নিরাপদ কনডম ব্যবহার করা হয়েছে। তাই জরুরি বিভাগের ইনচার্জকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় চার সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।