পরিবার পরিকল্পনা নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি পরিবার পরিকল্পনা নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি কিভাবে নেবেন? চাকরির পরীক্ষায় আশানূরুপ ফলাফল করতে চাইলে কি কি করতে হবে! পরিবার পরিকল্পনা পরীক্ষার প্রশ্ন মূলত কোন কোন বিষয় বস্তুর ওপর ভিত্তি করে করা হয়ে থাকে? এমনই অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ান চাকরিপ্রার্থীরা। আর তাই আজকের এই আলোচনায় আমরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে এ টু জেড আলোচনা করার চেষ্টা করব।
আপনি যদি জানতে চান– এই চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা কিভাবে দেবেন, আপনার যোগ্যতা হিসেবে কি কি থাকতে হবে পাশাপাশি আবেদনের বয়সসীমা কত হতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে বলবো আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তো পাঠক বন্ধুরা আসুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা পর্ব শুরু করি আর জেনে নেই– পরিবার পরিকল্পনা নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
পরিবার পরিকল্পনা নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি
পরিবার পরিকল্পনা নিয়োগ পরীক্ষার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হলে আপনাকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নিয়োগ প্রশ্ন সাজেশন সংগ্রহ করতে হবে এবং সেটা ফুলফিল করতে হবে। সত্যি বলতে পরিবার পরিকল্পনা লিখিত পরীক্ষায় আপনি এতোটুকু চেষ্টা করলে প্রায় ১০০% মার্ক তুলতে সক্ষম হবেন। এজন্য আপনাকে পরিবার পরিকল্পনার সাজেশন সহ বিগত সালের প্রশ্ন সংগ্রহ করতে হবে এবং সেগুলোর সঠিক সমাধান খুঁজে বের করে আয়ত্ত করতে হবে। যেহেতু মাঝে মাঝেই পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বিশাল বড় বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দক্ষ ও উপযুক্ত জনবল নিয়োগের নিমিত্তে।
তাই আপনি চাইলে সহজেই এই অধিদপ্তরে চাকরি করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। তবে হ্যাঁ, পরিবার পরিকল্পনা নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার আগে আমরা আপনাদেরকে পরিবার পরিকল্পনা পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রশ্ন সাজেশন সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়াবলি সম্পর্কে জানাবো। তাহলে আসুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেই– কিভাবে কোন মাধ্যমে আপনি পরিবার পরিকল্পনা চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে পারবেন এবং চাকরিটি আপনার জন্য কনফার্ম হবে।
পরিবার পরিকল্পনা পরীক্ষা প্রস্তুতির সাজেশন
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নিয়োগ প্রশ্ন সাজেশন সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না। আমাদের মাঝে এক শ্রেণীর চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যারা চাকরির পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে এটা সম্পর্কে অবগত নন। সত্যি বলতে কোন পরীক্ষাই আপনার কাছে কঠিন মনে হবে না এবং ভয় হয়ে বা আতঙ্ক হয়ে দাঁড়াবে না, যদি আপনি ভাল প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকেন।
সেটা শিক্ষাজীবনের কোন পরীক্ষা হোক অথবা চাকরি জীবনের কোন পরীক্ষা। তবে হ্যাঁ, শিক্ষা জীবনে আপনি যে পরীক্ষাগুলো দিয়েছেন সেটা থেকে চাকরির পরীক্ষাগুলো অবশ্যই অবশ্যই কিছুটা হলেও আলাদা হবে। তাই দুটোকে আপনি একভাবে তুলনা করতে পারবেন না। তবে এটা বলা যায় পরীক্ষা তো পরীক্ষাই, সেটা হোক চাকরির পরীক্ষা বা অন্য কোন পরীক্ষা। মূলত ভালো মার্ক তোলার জন্য প্রস্তুতিটাই আসল। আর তাই পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নিয়োগ প্রশ্ন সাজেশন হিসেবে বাংলা ইংরেজি গণিত এবং সাধারণ জ্ঞানের জন্য আমরা যে বিষয়বস্তুগুলো অবশ্যই পড়ার পরামর্শ দেবো সেগুলো নিজে দেখুন:-
ইংরেজিঃ আজকাল ইংরেজি না জানলে চাকরি হবে না এমনটা ধারণা রয়েছে মানুষের। কেননা চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজির প্রয়োজনীয়তা এতটাই গভীর প্রভাব ফেলে। তাইতো পরিবার পরিকল্পনা চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য সবার আগে আপনাকে নিজের ইংরেজি জ্ঞান এর ভিত্তি মজবুত করতে হবে অর্থাৎ আপনাকে বেসিক টা খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।
পরবর্তীতে আপনি আপনার ইচ্ছামত যেকোনো একটি চাকরির নোট বই কিনে নিতে পারেন। যেটা ইংরেজি বিষয়ের উপর জানতে বা পরীক্ষার প্রস্তুতি আরো ভালোভাবে নিতে আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
তবে এ পর্যায়ে আমরা সাজেশন হিসেবে যে বিষয়বস্তুগুলো তুলে ধরব সেগুলো হলো:-
ইংরেজি প্রশ্ন সাজেশন |
১. Parts of speech |
২. Tense A টু Z |
৩. Article |
৪. Voice |
৫. Narration I |
৬. Dioms and Phrases |
৭. Synonym & Antonym |
৮. Correction |
৯. Abbreviation |
১০. Spelling |
১১. Bengali to English translation |
১২. English to Bengali translation |
বাংলাঃ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা থেকে ২০ মার্কের প্রশ্ন এসে থাকে। তাই অবশ্যই এই বিষয়েও আপনাকে ভালো প্রস্তুতি নিতেই হবে। এখন কথা হচ্ছে বাংলার ক্ষেত্রে আপনি কোন বিষয়বস্তুর ওপর অধিক বেশি ফোকাস করবেন? আসুন নিজের চার্টটি এক নজরে পড়ে ফেলি এবং জেনে নেই।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বাংলা প্রশ্ন সাজেশন সম্পর্কে:-
বাংলা প্রশ্ন সাজেশন |
১. কারক ও বিভক্তি |
২. ভাষা ও শব্দ |
৩. সন্ধি বিচ্ছেদ |
৪. সমাস |
৫. বানান শুদ্ধি |
৬. বাগধারা |
৭. অনুবাদ |
৮. প্রবাদ প্রবচন ও বাক্য সংকোচন |
৯. এক কথায় প্রকাশ |
১০. পারিভাষিক শব্দ |
১১. বিপরীত শব্দ ও সমার্থক শব্দ |
১২. ধ্বনি ও বর্ণ |
১৩. বইয়ের রচিয়তা দের জীবনী |
১৪. কবি সাহিত্যিকদের জন্ম মৃত্যু সাল |
১৫. গুরুত্বপূর্ণ কবিতার পঙ্গুক্তি উল্লেখ |
এক কথায়, বাংলা ব্যাকরণের দিকে অধিক বেশি জোর দিতে হবে এবং গদ্য পদ্য বিষয়ের লেখকদের জন্ম মৃত্যু এবং তাদের লেখা কবিতার গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইন ভালোভাবে পড়তে হবে। এবার আসুন জেনে নেই পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে আপনি গণিতে অবশ্যই কোন বিষয়গুলো পড়বেন।
গণিতঃ চাকরির পরীক্ষায় আপনি যদি গণিতে ভালো মার্কস তুলতে চান তাহলে 6 থেকে 10 পর্যন্ত আপনি যে যে অংক করেছেন সেগুলো রিভাইস করবেন ব্যাস তাহলেই যথেষ্ট। কেননা যে কোন চাকরির পরীক্ষায় এমন কি বিসিএস পরীক্ষাতেও সিক্স টু টেন ম্যাথমেটিক্স থেকে প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। তবুও বোঝার সুবিধার্থে অবশ্যই নিচের চার্টটি এক নজরে পড়ে ফেলুন।
সুতরাং জেনে নিন গণিতের ক্ষেত্রে আপনি কোন কোন বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা রাখবেন:-
গনিত প্রশ্ন সাজেশন |
১. ঐকিক নিয়ম |
২. লাভ ক্ষতি |
৩. পরিমিতি |
৪. অনুপাত |
৫. সূচক ও লগারিদম |
৬. ফাংশন |
৭. পরিমাপ ও একক |
৮. সুদকষা ও সাধারণ সমস্যাবলী |
৯. ত্রিভুজ চতুর্ভুজ ঘনক ক্ষেত্রফল |
১০. কোন-বৃত্ত, বর্গ ও ঘন সেই সাথে উৎপাদক নির্ণয় |
সাধারণ জ্ঞানঃ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন গুলোর মত কিছুটা চিকিৎসা বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে করা হয়।
এর জন্য আপনাকে মূলত যেগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে তা হলো:-
সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন সাজেশন |
১. রোগব্যাধির ধরন, কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার |
২. প্রাথমিক চিকিৎসা অর্থাৎ ফাস্ট এইড |
৩. রক্তের গ্রুপ |
৫. স্বাস্থ্য টিপস |
৬. পুষ্টি উপাদানসমূহ |
পরিবার পরিকল্পনা লিখিত পরীক্ষায় ভালো মার্ক তোলার চিন্তাভাবনা করলে অবশ্যই আপনাদের এই সাজেশন ফুল ফুল করতে হবে। আশা করি পরিবার পরিকল্পনা নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও পরামর্শ সম্পর্কে আমাদের এই টিপস গুলো আপনাদের বেশ কাজে আসবে। আর হ্যাঁ, যারা চাকরির পরীক্ষার মানবন্টন সম্পর্কে জানেন না সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পরবর্তী পয়েন্টটি পড়ুন।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নিয়োগ পরীক্ষার মানবন্টন
সব মিলিয়ে সত্তর (৭০) মার্ক এর পরীক্ষা হয়ে থাকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নিয়োগ পরীক্ষায়। এ সম্পর্কে ধারণা পেতে নিচের প্রশ্নটি দেখুন।
পরিবার পরিকল্পনা চাকরির ভাইভা পরীক্ষাঃ আপনি যদি পরিবার পরিকল্পনা চাকরির লিখিত পরীক্ষায় টিকে যান তাহলে কেল্লাফতে। কেননা নিজেকে যদি একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আপনার কনফিডেন্স থেকে থাকে তাহলে অন্যান্য চাকরির ভাইভা পরীক্ষা যেমন ভাবে হয়ে থাকে মূলত পরিবার পরিকল্পনা চাকরির ভাইভা পরীক্ষাটাও সেই একই নিয়মে হয়ে থাকে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের শূন্য পদ সমূহ কি কিঃ ইতিমধ্যে আমরা পরিবার পরিকল্পনা নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন এ সম্পর্কে মূলত গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুই আলোচনা করেছি। অনেকেই জানেন না পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে মূলত কোন কোন পদে নতুন জন বলেন নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই এ পর্যায়ে আমরা শূন্য পদের নামসমূহ তুলে ধরবো। যথা:-
- ফার্মাসিস্ট
- মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব)
- মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (রেডিও)
- হেলথ এডুকেটর
- সাঁটলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর
- ইপিআই টেকনিশিয়ান
- অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
- টেলিফোন অপারেটর
- ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর
- ওয়ার্ড মাস্টার
- লিনেনকিপার
- ইনস্ট্রুমেন্ট কেয়ারটেকার
- টিকিট ক্লার্ক
- স্টেরিলাইজার-কাম-মেকানিক
- কম্পিউটার অপারেটর
- ফিল্ড ট্রেইনার
- প্রধান সহকারী
- হিসাবরক্ষক
- উচ্চমান সহকারী
- গবেষণা সহকারী
- সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর
- পরিসংখ্যান সহকারী
- গুদামরক্ষক
- কোষাধ্যক্ষ
- সহকারী লাইব্রেরিয়ান
- কিচেন সুপারভাইজার
- রেকর্ডকিপার
- কার্ডিওগ্রাফার
- গাড়িচালক
- ইলেকট্রিশিয়ান
- অফিস সহায়ক
- এমএলএসএস/নিরাপত্তা প্রহরী
- নিরাপত্তা প্রহরী
- ওয়াচম্যান
- কুক হেলপার
- পরিচ্ছন্নতাকর্মী
মূলত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে উল্লেখিত এই পথ সমূহে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর দক্ষ ও উপযুক্ত জনোবল নিয়োগ দেওয়া হয়। আর পদভেদে আবেদনকারী প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বয়সসীমা দক্ষতা অভিজ্ঞতার তারতম্যতা থেকে থাকে।
চাকরির পরীক্ষায় টিকে যাওয়ার টিপস
আপনি যদি চাকরির লিখিত ও ভাইবা উভয় পরীক্ষায় আসনের ফলাফল করতে চান তাহলে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। পাশাপাশি আরও যে সাজেশনগুলো আমরা আপনাদেরকে সাজেস্ট করব এগুলোও মেনে চলা জরুরী। যথা:-
- পরীক্ষার আগে সম্পূর্ণ কোর্স কমপ্লিট করতে হবে অর্থাৎ বই ভালোভাবে পড়তে হবে।
- বিগত দুই তিন বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করতে হবে
- বেসিক সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে খুব ভালোভাবে
- পরীক্ষা কে ভয় বা টেনশন হিসেবে না নিয়ে একাগ্রতার সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে
- প্রশ্নপত্রে উত্তর লেখার আগে প্রশ্নপত্রটি ভালোভাবে পড়তে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর কমপ্লিট করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে
- যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে সহযোগিতার চেষ্টা করতে হবে প্রশ্ন ভালভাবে পড়ে অতঃপর আনসার করার কথা ভাবতে হবে
- সবশেষে অবশ্যই পরীক্ষার শেষে পরীক্ষার ফলাফল জানতে নিয়মিত ওয়েবসাইট চেক করতে হবে।
কেননা চাকরির পরীক্ষার লিখিত অংশের ফলাফল প্রকাশের পর ভাইবার জন্য ডাকা হয়। তাই আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার ফলাফল না জানতে পারেন তাহলে ভাইবার সময়সীমা পেরিয়ে যেতে পারে। যেটা অবশ্যই আপনার জন্য সুখকর নয়।