পাঁচ বছর প্রেম করে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে করেন প্রেমিক স্বজলকে। তবে একই উপজেলার সামি নামের আরেক ছেলেরে সাথে চার বছর যাবৎ তার প্রেম। প্রেমিকের বাড়ি থেকে নিয়ে আসার পর আজ সোমবার বিকেলে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই তরুণী। ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর রায়পুরায়।তার আত্মহত্যার চেষ্ঠার বিষয়টি নিশ্চিত করে চাচাতো ভাই। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করেন স্বজনেরা। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে সামি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন মাস আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে একই গ্রামের স্বজলের সঙ্গে বিয়ে ওই তরুণীর। স্বজলের সঙ্গে প্রেম চলাকালে চার বছর আগে স্থানীয় স্কুলে পড়ার সময় সামির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। বিয়ের পরও সামির সঙ্গে যোগযোগ রক্ষা করেন তরুণী। বিয়ের পরপরই ঢাকায় কর্মস্থলে চলে আসেন স্বজল। এই সুযোগে মোবাইলে সামির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন তরুণী। এ নিয়ে কয়েক দফায় গ্রাম্য সালিসও হয়।
পাঁচ দিন আগে সালিস মীমাংসায় সংসার করবেন না বলে স্বজলকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন তরুণী। এরপর গত শনিবার সকালে সামির বাড়িতে অবস্থান নেন। সামির পরিবার তখন ঘর তালাবদ্ধ করে অন্যত্র চলে যায়। সামি আগেই গা-ঢাকা দেন। বিয়ের দাবিতে সামির বাড়িতেই অবস্থান করেন তরুণী। সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর সোমবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গত শনিবার ওই তরুণী জানিয়েছিলেন, স্বজলের সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের প্রেম ছিল। আর সামির সঙ্গে চার বছরের প্রেম। কিন্তু পরিবারের সম্মতিতে স্বজলকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সামির সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো। সামি তাঁকে মোবাইলে নিয়মিত ব্যালেন্স দিতেন। সামির বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার আগের দিন তিনি স্বজলকে তালাক দিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তালাকের কাগজ আসবে বলে জানান তিনি।
তরুণীস্বামীর ঘর ছেড়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই তরুণীর মা বলেন, ‘মেয়েকে বারবার বোঝাচ্ছি, মেয়ের যেটা ইচ্ছে সেটাই হোক। শত হলেও তো মেয়েকে ফেলে দিতে পারি না! বিষয়টি সমাধানে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
রায়পুরা থানার পরিদর্শক তদন্ত গোবিন্দ সরকার বলেন, ‘অবস্থানের পর ওই দিন ওই তরুণী বাবার বাড়ি চলে যায়, এতটুকুই জানা। আজকের ঘটনা জানি না। লিখিত অভিযোগ না পেলে পুলিশের কিছুই করার নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’