বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২১।বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বা বিএইসি বাংলাদেশের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও অন্যতম নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে আণবিক শক্তি উৎপাদন ও এটি নিয়ে গবেষণা করা।সম্প্রতি বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।আগ্রহী ও যোগ্য ব্যক্তিদের আবেদন করার জন্য আহব্বান করা হচ্ছে।
- ১।পদের নামঃ উপ-সহকারী প্রকৌশলী
- পদের সংখ্যাঃ ১৩
- শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সরকার অনুমোদিত যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা
- বেতনঃ ২৭,১০০।
২।পদের নামঃ জুনিয়র এক্সিকিউটিভ ট্রেইনি(মেকানিক্যাল)
- পদের সংখ্যাঃ ০১
- শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সরকার অনুমোদিত যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা
- বেতনঃ গ্রেড ১০।
৩।পদের নামঃ জুনিয়র এক্সিকিউটিভ ট্রেইনি(ইলেক্ট্রনিক্স)
- পদের সংখ্যাঃ ১৩
- শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সরকার অনুমোদিত যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা
- বেতনঃ গ্রেড ১০।
৪।পদের নামঃ জুনিয়র টেকনিশিয়ান (মেকানিক্যাল)
- পদের সংখ্যাঃ ৪১
- শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ
- বেতনঃ গ্রেড ১৬।
৫।পদের নামঃ জুনিয়র টেকনিশিয়ান (ইলেক্ট্রনিক্স)
- পদের সংখ্যাঃ ৪১
- শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ
- বেতনঃ গ্রেড ১৬।
সরকারি বেসরকারি সব ধরনের চাকরির খবর সবার আগে পাবেন এই ওয়েবসাইটে sottotv.com। তাই যেকোনো ধরনের চাকরির খবর পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে ।বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশন জব সার্কুলার ২০২১ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেখতে নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন -বিস্তারিত তথ্য দেখুন নিচের ছবিতে।
বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২১
আরো জানতে ভিজিট করুনঃ http://npcbl.portal.gov.bd
আবেদনপত্রের সাথে বাংলাদেশ পরমানুশক্তি কমিশনের অনুকুলে অফেরতযোগ্য ৫০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে। সাথে ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ,সকল মার্কশিট ও সনদপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
আবেদনের জন্য ভিজিট করুনঃ www.baec.gov.bd
আবেদনের নিয়ম: আবেদনপত্র অগামী ২১ এপ্রিল ২০২১ তারিখ অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে জিইপি/রেজিষ্ট্রি ডাক/কুরিয়ার সার্ভিসযোগে সচিব, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, পরমাণু ভবন, ই-১২/এ, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা ১২০৭ বরাবর পৌছাতে হবে।
প্রথমে বিএইসি পাট গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ভবনে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর স্থানান্তরিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৪ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বর্তমানে শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁও-এ অবস্থিত। ১৯৮৮ সালের পূর্বে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন, এরপর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পরমাণু কমিশন তাদের সকল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, ভৌত বিজ্ঞান, জৈব বিজ্ঞান ও প্রকৌশল।
এর মধ্যে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য অত্যাধুনিক পরমাণু চিকিৎসা সেবা প্রদান, আমদানীকৃত সকল খাদ্যদ্রব্যের তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ, বিকিরণজনিত নিরাপত্তা চর্চা প্রতিষ্ঠা, পারমাণবিক রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসাসামগ্রী ও ঔষধ জীবাণুমুক্তকরণ, খাদ্য সংরক্ষণ, উন্নতমানের পলিমারসামগ্রী উদ্ভাবন, খাদ্য ও পরিবেশের নানা উপাদানের রাসায়নিক বিশ্লেষণ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সর্বোপরি দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
লক্ষ্য:
- পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের লক্ষ্যে পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি সাধন দ্বারা আত্ননির্ভরশীলতা অর্জন।
উদ্দেশ্য:
- ভৌত, জীব ও প্রকৌশল শাখার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর মৌলিক, ব্যবহারিক ও উন্নত গবেষণা কর্মসূচীর অগ্রগতি সাধন।
- পারমাণবিক শক্তি (পারমাণবিক বিদ্যুৎ) বিষয়ক কর্মসূচীর বাস্তবায়ন।
- পারমাণবিক প্রযুক্তি নির্ভর সেবামূলক কর্মকান্ড ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তিক ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেয়া।
- কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ ক্ষেত্রে পরমাণু প্রযুক্তির প্রয়োগ।
- পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়ন।
- বিকিরণজনিত নিরাপত্তা চর্চা প্রতিষ্ঠাকরণ।
- খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণে পরমাণু প্রযুক্তির ব্যবহার।