কিশোরগঞ্জে পরকীয়ার জের ধরে মামিকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ভাগ্নে মো. মামুন (৩০)। রোববার (২৪ জুলাই) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আমিন ১৬৪ ধারায় মামুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ঘাতক মো. মামুন কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হারুয়া কলেজ রোড ক্লাসিক গলির সোহরাব উদ্দিনের ছেলে।
অন্যদিকে নিহত রেকসোনা আক্তার (৩০) একই এলাকার গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ওয়াসীমুদ্দিন ছাত্রাবাসের বিপরীতের একটি বাসায় স্বামী মো. তাইজুল ও তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মাদ দাউদ আসামি মো. মামুনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে রান্না করার সময় রেকসোনার ভাড়া বাসায় গিয়ে তার ওপর চড়াও হয় মামুন। এক পর্যায়ে রেকসোনাকে ঘরের মধ্যে ফেলে তাকে ছুরি দিয়ে জবাই করে মামুন। এতে ঘটনাস্থলেই রেকসোনার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নিহত রেকসোনার স্বামী মো. তাইজুল বাদী হয়ে মামুনকে একমাত্র আসামি করে শনিবার (২৩ জুলাই) রাতে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
আসামি মামুনকে রবিবার (২৪ জুলাই) আদালতে পাঠালে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে মামি রেকসোনাকে হত্যার বর্ণনা দেয়।