গাজীপুরের মহানগরীর তারগাছ এলাকায় দাম্পত্য কলহের জেরে এক গৃহবধূকে বাড়ির ছাদে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে তার স্বামী। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী সুজন পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জোনাকি আক্তার (২২) সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার থানার সুরিগাঁও গ্রামের রাকির আলীর মেয়ে। তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় হেলপার পদে চাকরি করতেন।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা জনৈক সুজন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় জোহেনার। সুজন পেশায় রডমিস্ত্রি। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে তারগাছ এলাকার দুলাল মেম্বারের বাড়ির নিচতলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল তারা। জোহেনার বাবা-মা থাকেন একই বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায়।সাংসারিক খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলায় তারা আলাদা ছিলেন। শুক্রবার বিকালে স্বামী সুজন স্ত্রী জোনাকিকে নিয়ে স্থানীয় একটি মেলায় ঘুরতে গিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে এসে ভাড়া বাসার ৫ তলার ছাদে নিয়ে যান সুজন। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুজন ধারোলো অস্ত্র দিয়ে জোনাকির গলা কেটে পালিয়ে যায়। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চিৎকার শুনে ছাদে গিয়ে জোনাকিকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।