যৌ”নজী”বনে বিপর্যয়ের নেপথ্যে মহিলাদেরও ভূমিকা রয়েছে। কিছু ভুল তাঁরা করে ফেলেন, যে কারণে যৌ”নজী”বনে নেমে আসে অবসাদ। কী সেই দিকগুলি?
১. উচ্চাশা- বলা হয়, যৌ”নজী”বনে উচ্চাশা না-থাকাই ভাল। সঙ্গীকে বুঝে সে”ক্স সম্পর্কে ধারণা তৈরি করা উচিত। উচ্চাশায় হতাশা বাড়ে। ২. গুরুত্বপূর্ণ ‘মুহূর্ত’টাই- অনেকেই সে”ক্স-এর সময়ে সন্তান-জন্ম বা আরও দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা করেন। এতে সে”ক্সলা”ইফে ব্যাঘাত ঘটে নিশ্চিতভাবেই।
৩. নিজের সম্পর্কে নিম্ন ধারণা- অনেকেই ভাবেন, সঙ্গীকে সন্তুষ্ট করতে পারছি তো? এই সব চিন্তা যৌ”নতা”য় অপূর্ণতা আনে। ৪. নিজের শরীর নিয়ে অসন্তুষ্টি- অত্যন্ত ক্ষতিকারক দিক। নিজেকে কুৎসিত ভাবার থেকে খারাপ কিছু হতে পারে কি?
৫. স”ঙ্গী নিয়ন্ত্রক হবেন- স”ঙ্গী”র মানসিক এবং শা”রী”রিক অবস্থা সবসময়ে একইরকম থাকবে, এমনটা ভাবা ভুল। ৬. সে”ক্স-এর বাড়তি চাহিদা- শরীর চাইছে বলেই খুব ঘনঘন স”ঙ্গ”মের দাবি যৌ”নজী”বনে দূরত্ব আনতে বাধ্য।
৭. পার্টনারে মনোযোগ- সর্বদা স”ঙ্গী”র সন্তুষ্টির কথা ভেবে চললে বিপদ আসবেই। নিজের সন্তুষ্টির কথাও ভাবুন।
যে ব্যায়াম করলে বী’র্যপাত বিলম্বিত করা যায়। জেনে নিন।
যৌ”ন মি”লন”কালে অনেকেরই খুব দ্রুত বী”র্যপা”ত ঘটে।স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি অনেক স্বামী দিতে পারে না। অনেকই দ্রুত বী”র্যপা”তন থেকে মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। আজ এই বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। ব্যায়াম করলে বী”র্যপা”ত বিলম্বিত করা যায় কিনা এই বিষয়ে।
প্রশ্নঃ পে”নি”সে মেয়েদের র্স্প”শ লাগলে বা চরম যৌ”ন আকাঙ্কা জাগলে বা মি”ল”নের একটু পর যখন যৌ”ন অনুভুতি চরমে গিয়ে বী”র্য বের হতে চায়, তার সময় কি কেগেল ব্যায়াম এর মাধ্যমে প্রলম্বিত করা সম্ভব? মানে যেমন – কিছু ঔষধ খাওয়ার পর যৌ”নস”ঙ্গম বা ওরাল সে’ক্স করলে খুব দ্রুত র্বী”য বের হয়না, অনেক সময় নিয়ে করতে পারি। কিন্তু ঔষধ না খেয়ে করলে আগের মতই খুব অল্প সময়ে বী”র্যপা”ত হয়ে যায়! ঐ অনুভুতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করে কিভাবে ঔষুধ (medicine) না খেয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে মি”ল”ন করতে পারবো? কেগেলে তো এটা হয় না?
উঃ হ্যাঁ, কেগেল ব্যায়ামের মাধ্যমে “ঐ” অনুভূতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করে দীর্ঘক্ষণ যৌ”নস”ঙ্গ”ম বা ওরাল সে”ক্স করা সম্ভব (যারার জানেন না তারা জেনে নিন ওরাল সে”ক্স কি ? এটি করা কি ক্ষতিকর ?)। সঠিক উপায়ে কেগেল ব্যায়াম করলে PC-পেশি শক্তিশালী হয় যার মাধ্যমে স’ঙ্গমের সময় বী”র্যপা”ত বিলম্বিত করা যায়। স”ঙ্গ”ম বা হ”স্তমৈ”থুন করতে করতে যখন মনে হবে আর একটু করলেই বী”র্যপা”ত হয়ে যাবে তখন PC-পেশী সংকুচিত করে স’ঙ্গম থামিয়ে দিন।
অতঃপর PC-পেশী ধীরে ধীরে শিথীল করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর। এরপর উ’ত্তেজনা খানিক কমলে আবার শুরু করতে পার। প্রথম প্রথম হয়তো ব্যাপারটা একটু কঠিন মনে হবে। কিন্তু এইভাবে কিছুদিন অভ্যাস করলে দেখবেন বী”র্যপা”তে”র উপর তোমার নিয়ন্ত্রণ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এর জন্য নিয়মিত কে”গে”ল এ”ক্সারসা”ইজ করা প্রয়োজন।
আপনি ঔষধ খাবার পরিবর্তে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্থায়ীত্ব প্রদায়ী ক”ন্ডো”ম ব্যবহার করতে পার। ওইসব কন্ডোমে এক বিশেষ রাসায়নিক লাগানো থাকে যাতে লি”ঙ্গে”র সংবেদনশীলতা কমে যায় এবং ফলস্বরূপ দীর্ঘক্ষণ স”ঙ্গ”ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিছু কিছু desensitizing জেলও বাজারে পাওয়া যায় যাদের ব্যবহারেও স”ঙ্গমকা”ল বৃদ্ধি করা সম্ভব। যদি একান্তই ঔষধ খেতে হয় তবে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অপরিহার্য, নাহলে হীতে বিপরীত হতে পারে।
স”ঙ্গ”ম করার সময় কখনো তাড়াহুড়ো করবেনা। ধীরে ধীরে “স্লো মোশনে” শুরু কর, সময়ের সাথে আস্তে আস্তে স্পীড বাড়াও (কথায় আছেনা “slow and steady wins the race”)। আরেকটা জিনিস মনে রাখবে – আলাদা আলাদা “পোজ” বা ভঙ্গিতে স”ঙ্গ”ম করলে যৌ”ন উ”ত্তেজ”নার হারও ভিন্ন ভিন্ন হয়। কোন পোজ বা ভঙ্গিতে স’ঙ্গম করলে বী”র্যপা”ত হতে বেশি সময় লাগছে সেটা জানতে বিভিন্ন পোজে স”ঙ্গ”ম করে দেখ।
উদাহরণস্বরূপ, অনেকেরই “ওমেন-অন-টপ” পজিশনে উ’ত্তেজনা ধীরে হয় এবং বী”র্যপা”ত বি”লম্বিত হয়। নিয়মিত একই নারীর সাথে স”ঙ্গ”ম করলেও বী”র্যপা”ত দেরিতে হতে পারে। যৌ”নস”ঙ্গ”মের কিছু পূর্বে একবার হ”স্তমৈ”থুন বা ওরাল সে”ক্সে”র মাধ্যমে বী”র্য বের করে নিলেও স”ঙ্গ”মের সময় বী”র্যপ”তন দেরিতে হবে। মনে রাখবেন শীঘ্রপতন প্রধানত একটি মানসিক সমস্যা।