এবার মাত্র পাঁচ মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়ে বিস্ময়কর নজির স্থাপন করেছেন শিশু জান্নাতুল নাঈম ফাহাদ। সাড়ে ৯ বছর বয়সী এই শিশুর বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নের মিরুককান্দি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি কুয়েত প্রবাসী।
জানা যায়, ফাহাদ পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার চরপাকুন্দিয়া গ্রামের দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। এখানেই তিনি পবিত্র কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছেন।
এ বিষয়ে দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মুফতি মো. শরিফুল ইসলাম জানান, হিফজ শুরু করার পরই আমরা ফাহাদের মধ্যে ভিন্ন রূপ প্রতিভা অনুভব করি। সে মাত্র পাঁচ মাসে হিফজ সম্পন্ন করেছে। আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি আরও জানান, তবে সে খুব ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির ছেলে। ফাহাদ ও তার মাদরাসার জন্য দেশবাসীর প্রতি দোয়া চেয়েছেন তিনি। নুরানি ও নাজেরা শাখায় পড়াশোনা শেষ করতে সময় লাগে প্রায় তিন বছর। সেখানে তার সময় লেগেছে মাত্র ৯ মাস।
তিনি জানান, ফাহাদের ঐকান্তিক ইচ্ছা, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রচেষ্টা ও পরিবারের সহযোগিতায় আল্লাহর অশেষ রহমতে সে এই মহা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। আমি তার উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করছি। সে যেন বড় হয়ে দেশবাসীর সেবা করতে পারে।
স্বপ্নে কেয়ামত হতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে অভিনয় ছেড়েছি: আন্না
দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে আছেন এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নাহিদা আশরাফ আন্না। এখন সংসারের পাশাপাশি ব্যবসা নিয়েই এখন তার ব্যস্ততা। হঠাৎ সিনেমা ছাড়া প্রসঙ্গে আন্না জানান, স্বপ্নে কেয়ামত হতে দেখে এক রাতের মধ্যেই অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে তওবা করেছি, আর কখনও অভিনয় করব না।
এ সময় তিনি বলেন, অভিনয়কে আমি সবসময় ভালোবাসি। হয়তো কারণবশত আমি কাজটা ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে পার্লার বিজনেস নিয়ে আমি খুবই হ্যাপি। কারণ, আমি এখানে শুধু মেকআপ নিয়ে কাজ করছি না, নারী উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করছি।
আন্না আরও জানান, আমি মান্না ভাই, ডিপজল সাহেবের সঙ্গে বেশি কাজ করেছি। এছাড়াও শাকিব, রিয়াজ, ফেরদৌস ভাইয়ের সঙ্গেও কাজ করেছি। বলতে পারেন, জায়েদ ভাই থেকে শুরু করে সবার সঙ্গেই কাজ করেছি। একদিক থেকে আমি অনেক লাকি। সবাই আমাকে অনেক ভালোবেসেছে এবং সবাইকে আমি সম্মান দিয়েছি। আমার কোনো শত্রু নেই, আলহামদুলিল্লাহ্।
তিনি বলেন, যখন আমি আমার কোনো সহকর্মীর নামে বাজে কথা শুনি, তখন খুব খারাপ লাগে। আগে তারকাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে মানুষ তেমন জানতে পারত না। কিন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে কিছু হলেই সবাই জেনে যায়, সমস্যাটা এখানেই। আমার একটাই চাওয়া, সিনিয়র-জুনিয়র সবাই তাদের ব্যক্তিগত জীবন হাইডে রাখুক। সবাই প্রোফেশনটাকেই হাইলাইট করুক। সবার জন্য আমার শুভকামনা।
আন্না আরও জানান, পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে আন্না’স মেকওভার অ্যান্ড স্কুল অব বিউটিফিকেশন কাজ করে যাচ্ছে। এটাকে আমরা একটা স্কুলের মতো করেছি। বাচ্চারা যেভাবে স্কুলে শেখে, এখানেও সেভাবেই মেকআপের স্কুলিংয়ের মতো করেছি। এই প্রফেশনে এসে আমি খুবই হ্যাপী। ছোটবেলা থেকেই মানুষকে সাজাতে পছন্দ করি।